নিউইয়র্কে পৃথক তিনটি ঘটনায় একদিনে মৃত্যুবরণকারী তিনজন বাংলাদেশী-আমেরিকান যুবকের নামাজে জানাজে শুক্রবার (৭ আগষ্ট) অনুষ্ঠিত হয়েছে। জানাজা শেষে তাদের মধ্যে দুজনের দাফন শুক্রবার সম্পন্ন হয়েছে এবং একজনের মরদেহ শনিবার (৮ আগষ্ট) দাফন করা হবে। গত ৫ আগষ্ট বুধবার তিনজন বাংলাদেশী-আমেরিকান যুবক মৃত্যুবরণ করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুবরণকারী যুবকরা হচ্ছেন প্রথম আলো উত্তর আমেরিকা’র সাংবাদিক ও লেখক মাহবুব রহমানের দ্বিতীয় ছেলে মার্যান রহমান (২৫), কমিউনিটি অ্যাক্টিভিষ্ট তানভির মিয়া (২৮) ও নিউইয়র্কের জামিআ ইসলামিক সেন্টার (মসজিদ অফ উডহ্যাভেন)-এর ইমাম ও খতীব, বিশিষ্ট আলেম মাওলানা শায়েখ আসআ’দ আহমদ-এর বড় ছেলে মহসিন আহমদ (২৮)। এদের মধ্যে মার্যান একটি সুইমিং পুলে, তানভির লেক জর্জে সাঁতার কাটতে গিয়ে মৃত্যুবরণ করেন এবং মহসিন আহমদ-কে তার গাড়ীতে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তাদের মৃত্যুর সঠিক কারণ এখনো জানা যায়নি।
জানা গেছে, মার্যান রহমানের নামাজে জানাজা শুক্রবার বাদ জুম্মা জ্যামাইকার জেএমসি (জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টার)-এ অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন ইমাম শামসে আলী। পরে তার মরদেহ ওয়াশিংটন মেমোরিয়ালের মুসলিম কবর স্থানে দাফন করা হয়েছে।
অপরদিকে মহসিন আহমেদ-এর নামাজে জানাজা শুক্রবার সকাল ১০টায় ওজনপার্কের দেশী সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন মরহুমের পিতা নিউইয়র্কের জামিআ ইসলামিক সেন্টার (মসজিদ অফ উডহ্যাভেন)-এর ইমাম ও খতীব, বিশিষ্ট আলেম মাওলানা শায়েখ আসআ’দ আহমদ। মহসিনের মরদেহ নিউজার্সীর কবর স্থানে দাফন করা হয়েছে।
এছাড়াও তানভির মিয়ার নাজামে জানাজা শুক্রবার বাদ জুম্মা ব্রঙ্কসের পার্কচেষ্টার জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন মসজিদের ভারপ্রাপ্ত ইমাম মাসুদ ইকবাল। জানাজা শেষে তানভিরের মরদেহ স্থানীয় ফিউনেরাল হোমে রাখা হয়েছে। তার মরদেহ শনিবার (৮ আগষ্ট) নিউজার্সীর মুসলিম কবর স্থানে দাফন করার কথা।
উল্লেখ্য, জানাজাগুলোতে মৃত্যুবরণকারী বাংলাদেশী যুবকদের পরিবারের সদস্য সহ তাদের আতœীয়-স্বজন, ঘনিষ্ট বন্ধু-বান্ধব এবং বিপুল সংখ্যক মুসল্লী অংশ নেন এবং বেদনা-বিধুর শোকাহত পরিবেশে তাদের মরদেহ-কে বিদায় জানান। বিদায় বেলায় শেষবারের মতো তাদের মুখ দেখতে গিয়ে অনেকে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। প্রবাসী বাংলাদেশীদের অনেকেই তাদের এই মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না। স্বজনদের শোক জানানোর ভাষাও খুঁজে পাচ্ছেন না প্রবাসীরা।