ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়ে সেটি আইসিসিকে না জানানোর দায়ে সাকিব আর হাসানকে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ক্রিকেটেরে অভিভাবক সংস্থা। যদিও শুনানিতে সাকিব আল হাসান বলেছেন, বিষয়টিকে তিনি অতটা গুরুত্ব দেননি যে কারণে আইসিসিকে রিপোর্ট করার প্রয়োজনীতা অনুভব করেননি। কিন্তু তাতে মন গলেনি আইসিসির। তারা সাকিব আর হাসানকে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
আরো অনেকের মতো সাবেক ভারতীয় অধিনায়ক রাহুল দ্রাবিরও মনে করেন লঘু পাপে গুরুদণ্ড দেয়া হয়েছে সাকিব আল হাসানকে। খবরটি প্রকাশের পরই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন ‘দ্য ওয়াল’। রাহুল দ্রাবির মনে করেন, সাকিব আল হাসানকে এই অপরাধে এতবড় শাস্তি দেয়া মোটেই যুক্তি সংগত নয়। কারণ সাকিব তো আর ম্যাচ পাতায়নি। তাই আইসিসিকে এই সিদ্ধান্ত পুনির্বিবেচনা করারও আহ্বান জানিয়েছেন রাহুল দ্রাবির।
এক টুইটার পোস্টে নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে দ্রাবির। লিখেছন, ‘অবিশ্বাস্য! সাকিবের ওপর বেশি কঠোররতা হয়ে গেল না? সেকি ম্যাচ পাতানোর সাথে জড়িত ছিল?
আমার মনে হয়, তার একমাত্র ভুল জুয়াড়ির প্রস্তাবের বিষয়টি আইসিসি ও এর দুর্নীতি দমন ইউনিটকে না জানানো। এ জন্য দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা খুবই কঠোর শাস্তি হয়ে গেল। আমি আশা করবো যে আইসিসি তাদের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করবে।’
সাবেক শ্রীলঙ্কান অলরাউন্টার রাসেল অরনল্ডও বিষয়টিতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। তিনি টুইটারে লিখেছেন, জুয়াড়ির প্রস্তাবের বিষয়ে রিপোর্ট না করার জন্য আরো একজন ক্রিকেটারের শাস্তি হলো। কিন্তু এই বিষয়গুলো যারা করছে তাদের কী হচ্ছে? কারা এই জুয়াড়ি? তাদের নাম প্রকাশ করা হোক।
প্রসঙ্গত ইতোপূর্বে একই ধরনের অপরাধে শ্রীলঙ্কার সাবেক অধিনায়ক সনথ জয়সুরিয়াসহ বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার শাস্তি পেয়েছিলেন।