নিউইয়র্কে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় ১৮ অগাস্ট মঙ্গলবার ভোররাতে বাংলাদেশী দুই ভাইসহ তিনজন নিহত এবং অপর ভাইসহ দু’জন আহত হয়েছেন। নিউইয়র্ক স্টেট পুলিশ জানায়, বাফেলো থেকে নিউইয়র্কে ফেরার সময় রচেস্টার এলাকায় বিপরীত দিক থেকে (ভুল পথে) আসা একটি গাড়ির সাথে মোজাম্মেল হক রাসেল (৩০) চালানো গাড়ির সংঘর্ষ হয়। যুক্তরাষ্ট্র ছাত্রলীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক ও ময়মনসিংহ বিভাগ তারুণ্য নামক একটি সংগঠনের নেতা রাসেল অকুস্থলে মারা যান। তার গাড়িতে থাকা ছোট ভাই হিমেল এ জয় (২৪) এরও প্রাণবায়ু উড়ে গেছে অকুস্থলেই। অপর ভাই আনিসুল হক আপেল (২৩) এবং তাদের সাথে থাকা কেনেডি অপি(১৮) কে নিকটস্থ স্ট্রং মেমরিয়্যাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের অবস্থা আশংকা মুক্ত বলে পুলিশ উল্লেখ করেছে। ভুলপথে চালানো গাড়ির ড্রাইভার ৮১ বছর বয়েসী চার্লস বারগারস্টোকও অকুস্থলেই মারা গেছেন। তিনি ওহাইয়োর বাসিন্দা।
নিহতরা নিউইয়র্ক সিটির এস্টোরিয়ায় সপরিবারে বসবাস করছিলেন। দুর্ঘটনায় পতিত হয় সিটি থেকে ২৬০ মাইল দূর আরআইটির সন্নিকটে। তাদের বাবা ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার সন্তান এবং নিউইয়র্কে বোর্ড অব ইলেকশন কমিশনের কর্মকর্তা
সিরাজুল ইসলাম ভূইয়া অশ্রুসিক্ত কন্ঠে এ সংবাদদাতার কাছে জানান, কদিন থেকেই ওরা বিশ্বখ্যাত নায়েগ্রা জলপ্রপাত দেখতে যাবার বায়না ধরেছিল। সেজন্যেই সেখানে গিয়েছিল। গভীর রাতে ফেরার পথে এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় পতিত হলো,যে জন্যে ওরা দায়ী নয়। টহল পুলিশ আমাকে টেলিফোনে জানায় যে, ভুলপথে আসা গাড়ির ড্রাইভার এজন্যে দায়ি।
লাশ ময়না তদন্তের পর নিউইয়র্কে এনে দাফন করা হবে বলে জানান সিরাজুল ইসলাম। এ দুর্ঘটনায় কমিউনিটিতে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এক বিবৃতিতে গভীর শোক এবং নিহতদের পরিবারের প্রতি সহমর্মিতাজ্ঞাপণ করেছেন আমেরিকায় ময়মনসিংহ বিভাগের বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এরমধ্যে রয়েছেন শরাফ সরকার, মোর্শেদা জামান, হুমায়ূন কবীর এবং ফরিদ আহমেদ। এদিকে, দুর্ঘটনায় গভীর উদ্বেগ এবং নিহতদের জন্যে শোক জানিয়েছেন নিউইয়র্কে কন্সাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুননেসা।
দুঃখজনক খবর
very pathetic news