বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক, বিপিএল অব ইউএসএ’র সভাপতি এবং জামাইকা বাংলাদেশ ফ্রেন্ডস সোসাইটির ক্রীড়া সম্পাদক সুমন খানের জৈষ্ঠ পুত্র মৃত্যুবরণকারী রায়হান তানজিল খানের (১৪) নামাজে জানাজা শেষে তার মরদেহ নিউজার্সীতে দাফন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বাদ মাগরিব জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারে (জেএমসি) অনুষ্ঠিত তার জানাজায় বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশী অংশ নেন। জানাজায় ইমামতি করেন জেএমসি’র পেশ ইমাম ও খতিব আলহাজ আবু জাফর বেগ। রায়হানের মরদেহ শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে নিউজার্সীর মর্লবরো কবর স্থানে দাফন করা হয়। জানা যায়, রায়হান তানজিল খান বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় রায়হান জ্যামাইকাস্থ নিজ বাসাতেই ইন্তেকাল করে। তার বয়স হয়েছিলো ১৪ বছর। সে শারীরিকভাবে অসুস্থ এবং শয্যাশায়ী ছিলো। গত কয়েকদিন ধরে তার শারীরিক অবস্থা আরো খারাপের দিকে যাচ্চিলো। বুধবার সকালে তার মা খাবার খাইয়ে ঘরের বিছানায় রেখে যাওয়ার পর আবার বেলা ১১টার দিকে পরিবারের লোকজন তার খোঁজ নিতে এসে তাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। বিকেলে নিউইয়র্ক সিটি কর্তৃপক্ষ রায়হানের মরদেহ জন্য নিয়ে যায়। ময়নাতদন্ত শেষে রায়হানের মরদেহ বৃহস্পতিবার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে বাদ মাগরিব জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারে নামাজে জানাজার পর তার মরদেহ পাক ফিনেরাল হোমে রাখা হয়েছে। শুক্রবার সকালে তার মরদেহ বাংলাদেশ সোসাইটি ইনক’র ক্রয়কৃত নিউজার্সীর মার্লবরো কবর স্থানে দাফন করা হয়। জামাইকা বাংলাদেশ ফ্রেন্ডস সোসাইটির প্রধান উপদেষ্টা, সভাপতি মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আল আমীন রাসেল সহ অন্যান্য উপদেষ্টা ও কর্মকর্তা, কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, ক্রীড়ামোদী ও খেলোয়ার সহ বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশী জানাজায় অংশ নেন।
জেএমসিতে জানাজা নামাজের আগে উপস্থিত মসল্লীদের উদ্দেশ্যে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন জেএমসি পরিচালনা কমিটির সেক্রেটারী মনজুর আহমেদ চৌধুরী ও রায়হান তানজিল খানের বাবা সুমন খান। জানাজায় বিপুল সংখ্যক প্রবাসী ক্রীড়ামোদীও অংশ নেন। জানাজা শেষে উপস্থিত প্রবাসীরা লাইনে দাঁড়িয়ে শেষবারের মতো রায়হান-কে দেখে নেন। প্রথমে তার মা-বাবা সহ পরিবারের সদস্যরা রায়হান-কে দেখেন। এসময় তার মা কান্নায় ভেঙে পড়েন। ফলে সেখানে হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।