যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যের ফিনিক্স শহরে চাকরি হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছিলেন বাংলাদেশি আবুল আহসান হাবিব (৫২) ও তার স্ত্রী সোহেলি আক্তার (৪৩)। যে কারণে তাদের সংসারে চলছিল নানা জটিলতা। ঝগড়া, মারামারিও চলছিল দুজনের মধ্যে। একবার পুলিশ ডেকে স্ত্রীকে সরিয়েও নিতে বলেছিলেন হাবিব। মনমালিন্যের পর সব ঠিকঠাক হলেও স্ত্রীকে খুন করে বসেন, নিজেও আত্মহত্যা করেন তিনি।
গতকাল রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ফিনিক্স শহরের লাভিন এলাকায় নিজেদের বাসভবনে এ খুন ও আত্মহত্যার ঘটনাটি ঘটনার হাবিব। জানা গেছে, প্রথমে স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়ার পর হাবিব পুলিশকে ফোন দেন তার স্ত্রীকে বাড়ি থেকে সরিয়ে নিতে। পরে তিনি তার ছেলের সঙ্গে সময় কাটান। পুলিশ সদস্যরা এসে দুজনের সঙ্গেই কথা বলেন। এ সময় সোহেলি আক্তারকে তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের ব্যাপারেও সতর্ক করে পুলিশ।
এর কিছুক্ষণ পর সোহেলি নিজেই পুলিশকে ফোন করে। ৯১১ নম্বরে ফোন করে কথা বলার সময় গুলির ঘটনা ঘটে। ফোনের অপর প্রান্তে থাকা পুলিশ সদস্য গুলির আওয়াজ শোনেন। এ সময়ের মধ্যেই খুন ও আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে। পুলিশ হাবিবের বাড়ি গিয়ে স্বামী-স্ত্রীকে মৃত অবস্থায় পায়। ফিনিক্স পুলিশ বিভাগের সার্জেন্ট টমি থম্পসন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সার্জেন্ট টমি থম্পসন বলেন, ‘হাবিব-সোহেলির প্রতিবেশি ফোন করে আমাদের ঘটনার বিবরণ দেন। তারা নিজেদের ঘর থেকে ঘটনাটি দেখতে পেরেছিলেন।’
হাবিব-সোহেলির প্রতিবেশি ক্যাথরিন রদ্রিগেজ বলেন, আমি দেখতে পাচ্ছিলাম কী ঘটছে। আমাদের দরজা-জানালা দিয়ে দেখা যাচ্ছিল। বুঝতে পারছিলাম কোনো বড় অপরাধ ঘটছে। আমরা পুলিশকে কল দিয়ে জানিয়েছি বিষয়টা।
করোনাভাইরাসের কারণে চাকরি হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছিলেন হাবিব-সোহেলি। যে কারণে তাদের মধ্যে অবস্থান প্রতিকূলতা সৃষ্টি করে। ফিনিক্সের পারিবারিক সহিংসতা পরামর্শক সেন্টারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মরিয়াহ মাহুন বলেন, ভাইরাসটি ঘরে ঘরে সহিংসতা বাড়াচ্ছে। এই খুন-আত্মহত্যার ঘটনাটি সে কারণেই ঘটে থাকতে পারে।