টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে জুড়ে গেল একটি নতুন নাম। অর্থাৎ আগামী বছর অস্ট্রেলিয়ায় আয়োজিত হতে চলা ছোট ফরম্যাটের লড়াইয়ে এক নতুন দলকে দেখতে পাবে ক্রিকেট দুনিয়া। যার নাম পাপুয়া নিউগিনি (পিএনজি)।
দুবাইয়ে টুর্নামেন্টের কোয়ালিফায়ারে কেনিয়াকে হারিয়ে প্রথমবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যোগ্যতা অর্জন করল তারা। বিশ্ব ক্রিকেটে উদয় হল এক নতুন দেশের। কেনিয়াকে ৪৫ রানে হারিয়ে বিশ্বকাপে খেলা প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেছিল পাপুয়া নিউগিনি। তবে তারা তাকিয়ে ছিল নেদারল্যান্ডস বনাম স্কটল্যান্ডের ম্যাচের দিকে। ডাচবাহিনী স্কটদের হারিয়ে দেয় ঠিকই, কিন্তু কোয়ালিফাই করার জন্য তাদের প্রয়োজন ছিল ১২.৩ ওভারে ১৩১ রান। সেই লক্ষ্যপূরণ করতে না পারায় নেট রান রেটে এগিয়ে যায় পাপুয়া নিউগিনি। তাই সেই ম্যাচ শেষ হতেই সেলিব্রেশনে মেতে ওঠেন দ্বীপরাষ্ট্রের ক্রিকেটাররা। দলের এমন সাফল্যে উচ্ছ্বসিত পিএনজির অজি কোচ জো ডয়েস। বলছেন, “ভীষণ আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছি। এই স্মরণীয় দিনটি দেখতে দু’বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে।” তবে এখনই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলার চাপ ক্রিকেটারদের কাঁধে চাপিয়ে নিতে নারাজ তিনি। বলছেন, “সেসব কাল থেকে ভাবা যাবে। আপাতত এই মুহূর্তটাকে উপভোগ করতে চাই। ক্রিকেটারদের জন্য এবং গোটা দেশের জন্য এটা একটা বিরাট সাফল্য।”
এদিন ব্যাট হাতে শুরুতেই ধস নেমেছিল পিএনজির টপ-অর্ডারে। মাত্র ১৯ রানে ছ’টা উইকেট খুইয়ে বসে তারা। তবে নর্ম্যান ভানুয়া ৪৮ বলে ৫৪ রান করে দলকে খাদের মুখ থেকে টেনে তোলে। যোগ্যতা অর্জনের আশা জিইয়ে রাখতে ১২ ওভারে ১১৮ রান করতে হত কেনিয়াকে। কিন্তু পিএনজি বোলাররা তেমনটা হতে দেননি।
পাপুয়া নিউগিনির পাশাপাশি আসন্ন বিশ্বকাপে দেখা যাবে আয়ারল্যান্ডকেও। গ্রুপ পর্বের ফাইনালে জার্সি ওমানকে পরাস্ত করতেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করেন আইরিশরা। স্বাভাবিকভাবেই আগামী বছর বিশ্বের তাবড় তাবড় দেশগুলির পাশাপাশি এই দুই দলের পারফরম্যান্স দেখতেও মুখিয়ে ক্রিকেটপ্রেমীরা।