অনেক আশা জাগিয়েছিল এই ভ্যাকসিনটি। করোনার বিরুদ্ধে এক ডোজেই কাজ হবে, প্রতিশ্রুতি ছিল এমনই। জনসন অ্যান্ড জনসনের সেই ভ্যাকসিনও এবার মুখ থুবড়ে পড়ল। সোমবার জনসন অ্যান্ড জনসন কর্তৃপক্ষ ভ্যাকসিন ট্রায়াল বন্ধ করতে বাধ্য হল। ভ্যাকসিন ট্রায়ালে অংশগ্রহণকারীরা অসুস্থ হয়ে পড়ায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
জনসন অ্যান্ড জনসনের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, “আমরা অস্থায়ীভাবে ভ্যাকসিনের ট্রায়াল বন্ধ রাখতে বাধ্য হলাম। ফেজ ৩ এনসেম্বেল ট্রায়ালও বন্ধ রাখতে হচ্ছে। কারণ অংশগ্রহণকারীরা অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছে।”
মাত্র দু’সপ্তাহ আগেই ৬০ হাজার মানুষের উপর ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু করে জনসন অ্যান্ড জনসন। অন্যান্য সংস্থার ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে দুটো ডোজের প্রয়োজনীয়তা থাকলেও নতুন আশার আলো দেখায় এই ভ্যাকসিনটি। কারণ দেখা যায় এক ডোজেই সুফল মিলছে। দ্রুত গতিতে শুরু হয় তৃতীয় দফার কাজ।
জনসন অ্যান্ড জনসনের সম্ভব্য প্রতিষেধটির নাম এডি২৬কোভ২এস। গত জুলাই মাসে প্রথম হনুমানের দেহে এই ভ্যাকসিনটি প্রয়োগ করে সাফল্য পান বিজ্ঞানীরা। দেখা যায়, কোভিডের বিরুদ্ধে প্রতিরোধক্ষমতা গড়ে তুলতে পারছে ভ্যাকসিনটি। এরপরে ১ হাজার প্রাপ্তবয়স্ক মার্কিন নাগরিকের উপর এই ভ্যাকসিন প্রযুক্ত হয়।
জনসন-গবেষকরা বিবৃতি দিয়ে জানান, যারা ভ্যাকসিন নিয়েছেন তাদের মধ্যে ৯৮ শতাংশের শরীরেই অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। এই অ্যান্টিবডি সক্রিয় থাকছে ২৯ দিন। অর্থাৎ ২৯ দিন প্যাথোজেন থেকে কোষরক্ষার ভরসা জোগায় এই ভ্যাকসিন।
যে কোনো ভ্যাকসিন তৃতীয় দফার ক্লিনিকাল ট্রায়াল সফলভাবে পার করতে পারলে তবেই তাকে ব্যবহারের উপযোগী বলে ধরা হয়। জনসন অ্যান্ড জনসনের ক্ষেত্রে ৬০ হাজার মানুষের ওপর সম্ভব্য ভ্যাকসিন পরীক্ষা শুরু হয়ে যায়। এবার তীরে এসে সেই তরীই ডুবল।