যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আগামী ৩ নভেম্বর। এদিন রাতে ডেমোক্রেটিক দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জো বাইডেন ডেলাওয়ার অঙ্গরাজ্যের উইলমিংটন নগরীর চেইজ সেন্টার থেকে বক্তব্য দেবেন। অন্যদিকে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউস ও নিকটবর্তী তার হোটেলের মধ্যে যাওয়া-আসা করবেন।
ট্রাম্পের প্রচার শিবির থেকে ওয়াশিংটন ডিসিতে তার সমর্থকদের উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। কোভিড-১৯ সতর্কতার কারণে ওয়াশিংটন ডিসিতে সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা চলছে। নিষেধাজ্ঞা মেনে হোটেলের সমাবেশের পাশাপাশি হোয়াইট হাউসের আঙিনায় সমর্থকদের জড়ো করার প্রয়াস নেওয়া হয়েছে ট্রাম্প শিবির থেকে।
গতকাল শনিবার ট্রাম্প বলেছেন, মঙ্গলবার রাত খুব আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে। ৩ নভেম্বর নির্বাচনে কী হতে যাচ্ছে, তা নিয়ে সর্বত্র উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
তবে নির্বাচনের রাতে ট্রাম্প হোটেল না হোয়াইট হাউসে থাকবেন-এ নিয়ে রিপাবলিকান শিবির কোনো নিশ্চিত ঘোষণা দেয়নি। সুইং স্টেট হিসেবে পরিচিত পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যে প্রচারে যোগ দেওয়ার আগে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, নির্বাচনের আগের তিন দিন আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। নির্বাচনের রাতটি খুব আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে। তিনি এখনো নিশ্চিত না হলেও ধারণা করছেন, হোয়াইট হাউস ও হোটেলের সীমিত আয়োজনের মধ্যে ঘোরাফেরা করবেন।
এদিকে, শনিবার ডেমোক্র্যাট প্রচার শিবির থেকে জানানো হয়েছে, নিজের শহর থেকেই জো বাইডেন সমর্থকদের উদ্দেশে বক্তব্য দেবেন। নির্বাচনের দিনটিতে ডেলাওয়ার অঙ্গরাজ্যেই থাকবেন বাইডেন। কোভিড সতর্কতার কারণে চেইজ সেন্টারের সমাবেশ খুবই সীমিত হবে। সামাজিক দূরত্ব বজায়, মাস্ক পরাসহ উপস্থিত লোকজনের জন্য পিপিই বাধ্যতামূলক করা হবে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নির্বাচনের ফলাফল মেনে নেওয়ার নিশ্চিত কোনো প্রতিশ্রুতি দেননি। অনেক আগে থেকেই তিনি বলে আসছেন, দেখবেন কী হচ্ছে! ডাকযোগে ভোট নিয়ে আগাম অনেক কথাই বলে আসছেন তিনি। ভোট জালিয়াতি হতে পারে, সঠিকভাবে গণনা না-ও হতে পারে-এমন কথাও তিনি বলে আসছেন।
অন্যদিকে, জো বাইডেন পরিষ্কারভাবে বলে আসছেন, নির্বাচনের নিশ্চিত ফলাফল পাওয়ার পর তিনি তা মেনে নেবেন এবং বিজয়ী প্রার্থীকে অভিনন্দন জানিয়ে বক্তৃতা দেবেন। শেষ মুহূর্তে দেখা যাচ্ছে, জাতীয় জনমত জরিপে জো বাইডেন এগিয়ে আছেন। নির্বাচনী উত্তাপ এখন ফ্লোরিডা, পেনসিলভানিয়াসহ কয়েকটি সুইং স্টেটে।
ফ্লোরিডায় বিপুল সংখ্যক শ্বেতাঙ্গ লোকজন ভোট দিতে লাইন দিচ্ছেন। ডেমোক্রেটিক পার্টির সমর্থকদের আশা, বাইডেন ব্যাপক ভোটে জয়ী হবেন। অন্যদিকে, ট্রাম্পের সমর্থকেরা মনে করেছেন, ২০১৬ সালের মতোই বিস্ময় অপেক্ষা করছে। ফলাফল যা-ই হোক, নির্বাচন নিয়ে আমেরিকার প্রতিটি নগরীতে উত্তেজনা চলছে। এর মধ্যে কোনো কারণে ট্রাম্প নির্বাচনের ফলাফল মেনে না নিলে মঙ্গলবার রাত থেকেই আমেরিকাজুড়ে বিক্ষোভ-সহিংসতার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ নিয়ে প্রস্তুতি গ্রহণ করার কথা জানিয়েছে নগরীগুলো।