মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারের পথে রয়েছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। রিপাবলিকান পার্টির এ প্রার্থী নির্বাচন নিয়ে বারবার মিথ্যা বলছেন বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে। ট্রাম্পের এ মিথ্যার অভিনব প্রতিবাদ করল এমএসএনবিসি নামের একটি সংবাদমাধ্যম, তার ভাষণ সম্প্রচার বন্ধ করে দিলো সংবাদমাধ্যমটি।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম এমএসএনবিসি হোয়াইট হাউস থেকে সরাসরি অনুষ্ঠান প্রচার করে থাকে। আজ শুক্রবার ভাষণ দিচ্ছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ সময় এমএসএনবিসি চ্যানেলে অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করছিলেন ব্রায়ান উইলিয়ামস নামের চ্যানেলটির এক সাংবাদিক। তিনি বলেন, ‘আবারও আমরা একটি ব্যতিক্রমী অবস্থান নিচ্ছি। আমরা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বক্তৃতা সম্প্রচারই শুধু বন্ধ করছি না, আমরা তাকে সংশোধন করেও দিচ্ছি।’
ট্রাম্পের ভাষণের বিষয়ে এ সাংবাদিক বলেন, ‘আমাদের দেশ যে জায়গায় অবস্থা করছে, সেখানে এ বক্তব্য বিপজ্জনক।’ ট্রাম্পের ভাষণ বন্ধ করে দেওয়ার সময় চ্যানেলটির অপর সাংবাদিক শেপার্ড স্মিথ বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট যা বলছেন তা সর্বান্তকরণে অসত্য।’
এদিকে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনএনের সাংবাদিক এন্ডারসন কুপার বলেছেন, ‘বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ব্যক্তিকে আমরা দেখছি, যেন রোদে পোড়া স্থূল কচ্ছপের মতো। ভাসতে ভাসতে যে মনে করছে তার সময় শেষ হয়ে আসছে।’
দুদিন পর আজ শুক্রবার জনসম্মুখে ভাষণ দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউজ থেকে তার দেওয়া ১৬ মিনিটের ভাষণের সময় তাকে বিমর্ষ দেখা গেছে। ভাষণে ট্রাম্প বলেন, ‘যদি বৈধভাবে ভোট গণনা হয়, তাহলে আমি সহজেই জিতে যাই।’ তিনি। বলেন, ‘অবৈধভাবে ভোট গণনা করা করা হচ্ছে। তারা আমাদের কাছ থেকে নির্বাচন চুরি করার চেষ্টা করতে পারেন।’
এমন কথাবার্তা বলায় ট্রাম্পের পক্ষে রিপাবলিকান পার্টির লোকজনকেও প্রকাশ্যে কোনো অবস্থান নিতে দেখা যাচ্ছে না। অনেকেই ভোট গণনা শেষ না হওয়ার আগেই নির্বাচন নিয়ে অভিযোগ করায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমালোচনাও করছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ঘিরে সবার চোখ এখন পাঁচ অঙ্গরাজ্যের দিকে। এ রাজ্যগুলো হলো- অ্যারিজোনা, জর্জিয়া, নেভাদা, পেনসিলভানিয়া ও নর্থ ক্যারোলাইনা। এসব রাজ্যে দুই প্রার্থীর মধ্যে ব্যবধান এতটাই কম যে যেকেউ জয়ী হতে পারেন। এসব রাজ্যের ভোট গণনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত কাউকেই বিজয়ী চিন্তা করা যাচ্ছে না। তবে সিএনএন বলছে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী এখন পর্যন্ত ২৫৩টি ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট পেয়েছেন। আর ডোনাল্ড ট্রাম্প পেয়েছেন ২১৩টি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে হলে একজন প্রার্থীকে ২৭০টি ইলেক্টোরাল ভোট পেতে হবে, যাতে অনেকটাই এগিয়ে জো বাইডেন।