বৃহস্পতিবার গভীর রাতে নিউ ইয়র্ক থেকে দেশে ফিরেই শুক্রবার দুপুরেই রাজধানীর গুলশানে একটি রিটেইল শপ উদ্বোধন করেছেন সাকিব আল হাসান। দেশে ফেরার ২৪ ঘণ্টা না পেরুতেই লোকারণ্য পরিবেশের মাঝে রিটেইল শপের উদ্বোধন করে করোনা বিধি ভঙ্গ করেছেন দেশসেরা এই ক্রিকেটার!
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কোয়ারেন্টিন বিধিতে লেখা আছে- ‘কোনো বাংলাদেশি নাগরিক বিদেশ থেকে দেশে ফিরে আসার পর তার যদি করোনা নেগেটিভের মেডিকেল সার্টিফিকেট না থাকে তাহলে তাকে অবশ্যই প্রথম ১৪ দিন ঢাকায় প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। আর তার যদি সেই সার্টিফিকেট থাকে তাহলে সেই যাত্রীকে ১৪ দিন নিজ বাড়িতে অথবা স্বেচ্ছা কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।’ বাংলাদেশ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক প্রসাশন নাসিমা সুলতানাও বিষয়টি পরিষ্কার করে জানিয়েছেনÑ ‘কোনো বিদেশ ফেরত যাত্রী যদি করোনা নেগেটিভের মেডিকেল সার্টিফিকেট সঙ্গে নিয়ে আসেন তাহলে তাকে নিজ বাসায় অথবা নিজের তত্ত্বাবধানে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন পালন করতে হবে।’ স্বাস্থ্যসেবা অধিদপ্তরের এই নিদের্শাবলী স্পষ্ট জানাচ্ছে- সাকিব আল হাসান কোয়ারেন্টিন বিধি পালন করেননি। বিদেশ থেকে দেশে ফিরে ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে তিনি লোকজনের ভিড়ের মধ্যে এসেছেন। গুলশানে যে দোকানে তিনি ফিতে কেটে উদ্বোধন করেছেন সেখানেও সামাজিক দূরত্ব পালনের ছিঁটেফোটা কিছুই ছিল না। গায়ে গা লাগিয়ে ছবি তোলার উৎসবের মেজাজে আর যাই হোক, সামাজিক দূরত্ব পালন করা যায় না!
গুলশানে সাকিব যে দোকানটি উদ্বোধন করেছেন তাদের কর্তৃপক্ষের দাবি এতে কোয়ারেন্টিনের কোনো বিধি-বিধান ভঙ্গ হয়নি। এই রিটেইল শপের কর্তা খালেদুর রহমান সাংবাদিকদের জানান- ‘আমরা জানি যে কোনো যাত্রীর করোনা নেগেটিভের মেডিকেল সার্টিফিকেট থাকলে এবং বিমান বন্দরে মাপা তাপমাত্রা অনুযায়ী জ্বর না থাকলে তার আর কোয়ারেন্টিনের প্রয়োজন হয় না।’
তার দাবি তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে খোঁজ নিয়ে মৌখিকভাবে এই তথ্য জেনেছেন। সেই তথ্য সাকিবের কাছে দিয়েছেন এবং তারপর সাকিব এই কর্মসূচিতে অংশ নিতে সম্মত হয়েছেন।
আইসিসি’র এক বছরের নিষেধাজ্ঞা সাকিব আল হাসানের শেষ হয়েছে ২৯শে অক্টোবর।
২০শে নভেম্বর থেকে বিসিবি’র টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট লীগে খেলতে সাকিব দেশে এসেছেন। আগামী সোমবার সাকিবের ফিটনেস টেস্ট হবে। সেই ফিটনেস টেস্টের আগে অবশ্য বিসিবি সাকিবের করোনা টেস্ট করাবে।