আরেকবার প্লে অফে স্বপ্নভঙ্গ বিরাট কোহলিদের। ব্যাট হাতে হলো না বড় স্কোর। লো স্কোরিং ম্যাচে উত্তেজনা ঢেলে শেষ অবধি জয় হায়দরাবাদের। আইপিএল থেকে বিদায় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে ওয়ার্নারের সানরাইজার্স হায়দরাবাদ।
শুক্রবার রাতে এলিমিনেটর ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে বেঙ্গালুরু তোলে সাত উইকেটে ১৩১ রান। জবাবে উইলিয়ামসন-হোল্ডারের দৃঢ়তায় দুই বল হাতে রেখে ৪ উইকেটে হায়দরাবাদ তোলে ১৩২ রান। বিপদে দলের হাল ধরে অপরাজিত ৫০ রানের সুবাদে ম্যাচ সেরা হায়দরাবাদের কেন উইলিয়ামসন।
গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচেই হাসল না কোহলির ব্যাট। টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই কোহলির উইকেট হারায় বেঙ্গালুরু। দলীয় সাত রানে হোল্ডারের বলে বেঙ্গালুরু অধিনায়ক বিদায় নেন ৬ রানে। পাড়িকলও (১) হোল্ডারের শিকার।
রান যা এসেছে তা ফিঞ্চ ও ভিলিয়ার্সের সৌজন্যে। ৪৩ বলে ৫৬ রান করে ফেরেন ভিলিয়ার্স। ৩০ বলে ৩২ রান করেন ফিঞ্চ। পরের পাঁচ ব্যাটসম্যানদের মধ্যে কেউ উল্লেখযোগ্য রান তুলতে পারেননি। ৪ ওভারে ২৫ রানে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন হায়দরাবাদের ক্যারিবীয় পেসার জেসন হোল্ডার।
সহজ জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুতে হোঁচট খায় হায়দরাবাদও। হারায় ওপেনার শ্রীবত গোস্বামীকে (০)। অধিনায়ক ওয়ার্নারও (১৭) টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। মণিষ পান্ডে ব্যক্তিগত ২৪ রানে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন জাম্বার বলে। প্রিয়ম গার্গ (৭) চাহালের শিকার। ১১.৫ ওভারে ৬৭ রানে ৪ উইকেট হারানো হায়দরাবাদ পড়েছিল শঙ্কায়।
পঞ্চম উইকেটে সেই শঙ্কা দূর করেন উইলিয়ামসন ও হোল্ডার। ধীর গতি হলেও রানের চাকা সচল রাখেন দুজন। শেষ ওভারে ৬ বলে হায়দরাবাদের দরকার ছিল ৯ রান। সাইনির প্রথম দুই বলে আসে এক রান। নাটকীয়তার আভাস মিলছিল তখন। কিন্তু পরের দুই বলে সপাটে দুই চার মেরে সব উত্তেজনায় জল ঢেলে শূন্যে উড়াল দেন হোল্ডার। দারুণ এক জয় পায় হায়দরাবাদ।
উইলিয়ামসন ও হোল্ডার দুজনই থাকেন অপরাজিত। ৪৪ বলে দুটি করে ছক্কা-চারে বরাবরর ৫০ রানে অপরাজিত কিউই অধিনায়ক উইলিয়ামসন। ২০ বলে তিন চারে ২৪ রানে নট আউট হোল্ডার।
রোববার দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে দিল্লি ক্যাপিটালসের মুখোমুখি হবে সানরাইরার্স হায়দরাবাদ। এই ম্যাচে জয়ী দল ফাইনাল খেলবে আগামী ১০ নভেম্বর মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের সঙ্গে।