জাহানারার দল পারেনি, তবে প্রথমবারের মতো নারী আইপিএল খেলতে গিয়ে বাজিমাত করেছেন বাংলাদেশের সালমা খাতুন। সোমবার রাতে উইমেন টি–টোয়েন্টি চ্যালেঞ্জের শিরোপা জিতেছে তার দল ট্রেইলব্লেজার্স। ১৬ রানে হারিয়েছে সুপারনোভাসকে।
ফাইনাল ম্যাচে চমক দেখিয়েছেন সালমা। ডেথ ওভারে তিন উইকেট নিয়ে প্রতিপক্ষকে দুমড়ে মুচড়ে দিয়েছেন তিনি। ম্যাচ সেরা হয়তো সালমা নয়, তবে তার ৪ ওভারে ১৮ রানে তিন উইকেটের বোলিং ফিগার মুগ্ধ করেছে ভক্তদের।
শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করতে নেমে সালমার দল ট্রেইলব্লেজার্স করে ৮ উইকেটে ১১৮ রান। ১১৯ রানের লক্ষ্য তাড়ায় আগের দুই আসরের চ্যাম্পিয়ন সুপারনোভাস থামে ১০২ রানে। প্রথমবারের মতো নারী আইপিএলের শিরোপা জয়ের আনন্দে ভাসে ট্রেইল ব্লেজার্স।
শেষ দুই ওভারে সুপারনোভাসের দরকার ছিল ২৮ রান। ১৯ ওভারে দুর্দান্ত বোলিংয়ে ট্রেইলব্লেজর্সের শিরোপা অনেকটাই নিশ্চিত করে ফেলেন সালমা। তার দ্বিতীয় বলে রান আউট হয়ে ফেরেন আনুজা পাতিল। পরের বলে নেন সবচেয়ে বড় উইকেট, বোল্ড করে ফেরান হারমানপ্রিতকে। ৩৬ বলে অধিনায়ক করেন ৩০।
পঞ্চম বলে সালমা উইকেট নেন আরেকটি। বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক এই ওভারে দেন মাত্র ৪ রান। শেষ ওভারে ২৪ রানের প্রয়োজনে আর পেরে ওঠেনি সুপারনোভাস।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ট্রেইলব্লেজার্সেরে হয়ে ব্যাট হাতে আলো ছড়ান স্মৃতি মান্ধানা। তার সঙ্গে টপ অর্ডারের দুই ব্যাটসম্যানের সহায়তায় মোটামুটি চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে দলটি। অধিনায়ক মান্ধানা ৪৯ বলে করেন ৬৮ রানের দারুণ ইনিংস। হাকান ৫টি চার ও তিনটি ছক্কা। ডটিন ২০ ও রিচা ঘোষ করেন ১০ রান। পরের ছয় ব্যাটসম্যান আউট হন ১০ রানের আগে। ব্যাট হাতে মাঠে নামার সুযোগ হয়নি বাংলাদেশের সালমা খাতুনের। ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন ট্রেইলব্লেজার্স অধিনায়ক।
তিন দলের টুর্নামেন্টে দলের হয়ে তিন ম্যাচেই খেলেছেন সালমা। প্রথম ম্যাচে প্রতিপক্ষের ৮ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর বোলিং পেয়ে দুই ওভারে ৪ রান দিয়ে উইকেটশূন্য ছিলেন, দল পেয়েছিল বড় জয়। পরের ম্যাচে দলের হারলেও একটি উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। আর ফাইনালে তো দেখালেন রীতিমতো চমক।