যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হতে চলেছেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন। নতুন সরকারের প্রস্তুতি হিসেবে কেবিনেট সদস্যদের বিষয়টি এখন আলোচনায়। সর্বত্রই গুঞ্জন কে কে স্থান পাচ্ছেন বাইডেনের নতুন প্রশাসনে। এই আলোচনায় ইতোমধ্যেই স্থান পেয়েছে গুগলের সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তা ও স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বাঙালি অধ্যাপক অরুণ মজুমদার। যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যমের খবরে আভাস দেওয়া হয়েছে, এই ভারতীয় বাঙালি জ্বালানি মন্ত্রী হতে পারেন।
কেবিনেট ও অন্যান্য বিভিন্ন পদের দৌড়ে অন্তত চারজন বাংলাদেশিও রয়েছেন বলে শোনা যাচ্ছে। তারা হলেন- সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত ওসমান সিদ্দিক, ওয়াশিংটনের সিয়াটলের অ্যাটর্নি তাহমিনা ওয়াটসন, মিশিগানের অ্যাটর্নি মৌসুমী এম. খান এবং ভার্জিনিয়ার তরুণ ডেমোক্র্যাটিক নেতা আনিকা রহমান। তবে তাদের কারোর বিষয়টিই নিশ্চিত নয়। জানা গেছে, এদের মধ্যে কেউ কেউ বাইডেন-কমলার ট্রানজিশন প্রশাসনে যোগদানের ইচ্ছাপোষণ করে লবিং শুরু করছেন।
ওয়াশিংটন পোস্ট, দ্য স্ট্যানফোর্ড ডেইলি জানিয়েছে, বাইডেনের মন্ত্রীসভায় অরুণ মজুমদারের থাকার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি এনার্জি বা জ্বালানি মন্ত্রী হতে পারেন।
বাংলাদেশ ও ভারতের বাইরে কোনো দেশে এখন পর্যন্ত কোনো বাঙালি মন্ত্রী নেই। এই অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রে অরুণ যদি মন্ত্রী হতে পারেন, তা হলে তা অবশ্যই এক বড় কৃতিত্ব হিসেবে চিহ্নিত হবে। অপরদিকে, বাংলাদেশি কেউ যদি বাইডেনের নতুন প্রশাসনে স্থান পায় সেটিও হবে বাংলাদেশিদের কাছে অনেক গর্বের, অহঙ্কারের।
উল্লেখ্য, ওবামা প্রশাসনে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নীনা আহমেদ উপদেষ্টা হিসেবে ছিলেন। অপরদিকে, ভারতীয় বাঙালি অরুণ মজুমদার যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার আমলে জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের একটি ইউনিটের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। বাইডেনের অধীনে এই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে যারা এগিয়ে রয়েছেন তিনি তাদের মধ্যে রয়েছেন।
ওয়াশিংটন পোস্টের খবর অনুযায়ী, অরুণ মজুমদার তিনি দুই দলের কাছেই জনপ্রিয়। তাই তিনি এনার্জিমন্ত্রী হলে সিনেটের অনুমোদন পাওয়া সহজ হবে। তাই তিনি এনার্জিমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন।