বল হাতে গড়পড়তায় ভালোই করেছেন। কিন্তু ফেরার ম্যাচে ব্যাট হাতে জ্বলে উঠতে পারলেন না সাকিব আল হাসান। করলেন মাত্র ১৫ রান। ১৩ বলে। ছক্কার মার নেই। চাঁর হাকালেন দুটি।
বরিশালের বিরুদ্ধে জয়ের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে দলীয় চার রানের মাথায় দুই উইকেট হারায় জেমকন খুলনা। দুজনকেই সাজঘরে ফেরান বরিশালের পেসার তাসকিন আহমেদ। ইমরুল কায়েস রানের খাতাই খুলতে পারেননি। এনামুল হক বিজয় করতে পারেন মাত্র চার রান।
বিজয়ের আউটে পর ওয়ান ডাউনে ব্যাট হাতে নামেন সাকিব আল হাসান। সবার চোখ ছিল তার উপর। নির্বাসন কাটিয়ে সাকিব কেমন ব্যাট করেন, তাই ছিল দেখার। দীর্ঘদিন পর ফেরা বলেই শুরু থেকেই ধীরে সুস্থে এগিয়েছেন তিনি। রিস্কি শট খেলেননি।
আস্তে আস্তে রান করতে থাকেন। সিঙ্গেলস আর ডাবলসেই থাকেন সন্তুষ্ট। যখনই হাত খুললেন, বিপদ বাড়ল। সুমনকে এক বাউন্ডারি মারার পর থিতু হতে চাইলেন। কিন্তু দ্বিতীয় বাউন্ডারি হাঁকানোর পরই বিদায় নেন তিনি। আর সেটা ম্যাচের ষষ্ঠ ওভারেই। সুমন খানের প্রথম বল ডট। দ্বিতীয় বলেই সপাটে চার হাঁকান। তৃতীয় বল ডট। চতুর্থ বলে আউট সাকিব।
পুল করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু স্কয়ার লেগে ওঠে ক্যাচ। তা দক্ষতার সঙ্গে তালুবন্দী করেন আফিফ। বল হাতে এই আফিককে আউট করেছিলেন সাকিব। সেই শোধটা হয়তো নিলেন আফিফ। সব মিলিয়ে ৩৬ রানে চার উইকেট হারিয়ে রীতিমতো কাপাকাপি অবস্থা তখন জেমকন খুলনার।
বল হাতে তিন ওভারে ১৮ রানে এক উইকেট নেন সাকিব। ইকোনমি রেট ৬.০০। শহিদুল (৪.২৫) ছাড়া সাকিবের রেটই সবচেয়ে ভালো খুলনার হয়ে।