একমাস আগে ডিয়েগো ম্যারাডোনা পাড়ি দিয়েছেন না ফেরার দেশে। গত ২০ নভেম্বর হার্ট অ্যাটাকে মারা যান তিনি। কিন্তু ফুটবল জাদুকরের মৃত্যু নিয়ে রহস্য চলছেই। এবার তাকে নিয়ে বিস্ফোরক এক তথ্য দিলেন আর্জেন্টাইন গ্রেটের একসময়ের ব্যক্তিগত চিকিৎসক আলফ্রেদো কাহে।
ইনট্রাটেবলস নামে একটি অনুষ্ঠানের আলাপচারিতায় কাহে বলেছেন, ‘তার মস্তিষ্কের ক্ষতি হয়েছিল, কিন্তু অ্যালঝেইমারের সমস্যা তেমনটা ছিল না। তাকে যে ওষুধ দেওয়া হচ্ছিল, তা ঠিক ছিল না। ডিয়েগো শান্তি চেয়েছিলেন, একটা শান্ত পরিবেশ দরকার ছিল। ওই ওষুধের কারণে তিনি তা পাচ্ছিলেন না।’
মাদকাসক্তির কারণে ম্যারাডোনা যখন জীবন-মৃত্যুর দোলাচলে, তখন মরণাপন্ন এই ফুটবল গ্রেটকে চিকিৎসা দিতে মুখ ফিরিয়ে নেন আর্জেন্টিনার চিকিৎসকরা। তখন এই কঠিন সময়ে তৎকালীন কিউবান প্রেসিডেন্ট ফিদেল কাস্ত্রোর আমন্ত্রণে ২০০০ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত দেশটিতে পুনর্বাসনে ছিলেন ম্যারাডোনা।
কাহে মনে করেন, গত ৪ নভেম্বর সাবডুরাল হেমাটোমার অস্ত্রোপচারের পর ম্যারাডোনার উচিত ছিল কিউবায় ফিরে যাওয়া। তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক লিওপোলদো লুকুয়েকেও লা হাবানায় নিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করেছিলেন সাবেক এই ফিজিশিয়ান।
কিউবায় একদিন ম্যারাডোনা আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন দাবি করে কাহের বলেন, ‘একদিন ডিয়েগো তার গাড়িতে ছিলেন। তখন হঠাৎ করে বাসের সামনে গাড়ি নিয়ে নিজেকে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্ত ভাগ্যক্রমে তিনি বেঁচে যান।’