বাজারে আসা ভ্যাকসিন কি নতুন চেহারায় ফেরা মারণ করোনাভাইরাসকে ঘায়েল করতে সক্ষম? এনিয়ে পুরো দস্তুর প্রশ্ন ব্রিটেনে। কারণ, শীতের লন্ডনে নতুন করে জাঁকিয়ে বসা করোনা আগের থেকে শুধু শক্তিশালীই নয়, তার সংক্রমণ ছড়ানোর ক্ষমতা অন্তত ৭০ শতাংশ বেশি। ফলে ওই ভাইরাসকে চটজলদি বাগে আনতে ভ্যাকসিন কতটা কার্যকরী হবে, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই সংশয় প্রকাশ করতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহল। একইসাথে করোনার এই নতুন স্ট্রেন কতটা বেশি প্রাণঘাতী, তা নিয়ে এখনো তথ্য অধরা। ফলে উদ্বেগ বাড়ছে।
অবশ্য, আশা ছাড়তে নারাজ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তিনি বলেছেন, ‘নতুন চেহারায় ফেরা করোনাকে ভ্যাকসিন জব্দ করতে পারবে না, এমন কোনো প্রমাণ এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।’
মুখ্য বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা প্যাট্রিক ভ্যালান্সও বলেছেন, ভ্যাকসিন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সক্ষম হবে। তবে সামগ্রিকভাবে লন্ডন ও দক্ষিণ-পূর্ব ইংল্যান্ডের করোনা পরিস্থিতি যে ভয়ঙ্কর, তা খোলাখুলি স্বীকার করে নিয়েছেন ব্রিটেনের স্বাস্থ্যসচিব ম্যাট হ্যানকক। তড়িঘড়ি কড়া লকডাউন জারি কিংবা বড়দিনের উৎসব বাতিল করেও নিশ্চিন্ত হতে পারছে না ব্রিটিশ সরকার। জোর দেয়া হচ্ছে টিকাকরণে। চলতি সপ্তাহেই অন্তত পাঁচ লাখ টিকা দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্রিটেনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী। ফলে ঘোর সঙ্কটে ব্রিটিশ সরকার। নতুন করে মুখ থুবড়ে পড়তে পারে অর্থনীতি। অবস্থা সামাল দিতে সোমবার জরুরি বৈঠকে বসেন জনসন। তবে শুধু ব্রিটেন নয়, অস্ট্রেলিয়া, ইতালি, দক্ষিণ আফ্রিকাতেও করোনার নতুন স্ট্রেইনের সন্ধান পাওয়া গেছে। রোববার ইতালির স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ব্রিটেন থেকে আসা এক নাগরিকের দেহে নতুন স্ট্রেন পাওয়া গেছে। নতুন চেহারায় ফেরা করোনার থাবা থেকে বাঁচতে সতর্ক কানাডা।