ইহুদিরা দাবি করে, ওরা হজরত মূসা আ:-এর ধর্মানুসারী একটি জাতি। বনি ইসরাইলে ইহুদিরা ছিল একটি প্রভাবশালী গোত্র। ইহুদিরা কোনো ভূমিতে স্থায়ীভাবে থাকতে পারে না কেন? ইতিহাসের দিকে চোখ রাখলে চমৎকার তথ্য বেরিয়ে আসে এ বিষয়ে, যা অবাক করার মতো। তাদের অপকর্ম, জুলুম, অপকৌশল, খোদাদ্রোহিতা, অবাধ্যচারিতা, স্থবিরতা, আত্মম্ভরিতা, অহঙ্কার, লোভ-লালসা, বিশ্বাসঘাতকতা, ধোঁকাবাজি, প্রতারণা, ষড়যন্ত্রপ্রিয়তা এবং আইনের প্রতি অশ্রদ্ধার কারণে কোনো ভূমিতে তারা স্থায়ীভাবে টিকতে পারেনি। বিশেষ করে বায়তুল মোকাদ্দাসকে কেন্দ্র করে তারা যুগ যুগ ধরে বিভিন্ন ধরনের অপকর্মে লিপ্ত হয়েছে। তারা অত্যন্ত অহঙ্কারী জাতি। রাসূল সা:-এর নবুয়তের আগে ইহুদিরা আরব পৌত্তলিকদের এই বলে শাসাত- ‘এ যুগের নবীর আগমনের সময় আসন্ন হয়ে উঠেছে। ওই নবী এলে আমরা তাঁর নেতৃত্বে আদ ও ইরাম জাতিকে যেভাবে পাইকারি হত্যা করা হয়েছিল, তোমাদের সেভাবে কচুকাটা করব।’
যখন রাসূল সা: আগমনের কথা প্রকাশ পেলো, তখন সাধারণ লোকেরা ইসলাম গ্রহণ করল। আর তারা ভাবল, নবীকে নিয়ে যাদের আমরা কচুকাটা করার হুমকি দিয়েছি ওরাই নবীর অনুসারী হয়ে গেল। এ অবস্থা দেখে তারা রাসূল সা:-এর চরম বিরোধিতা শুরু করে দেয়।
ইতিহাস সাক্ষী দেয়- ইহুদি জাতিটি শত শত বছর ধরে একবার এ ভূখণ্ড আবার ও ভূখণ্ডে গেলেও কোথায়ও তারা স্থায়ীভাবে থাকতে পারেনি। ভূমিহারা ইহুদি জাতির বিপর্যয় নিয়ে তাফসিরে মাআ’রেফুল কুরআনে ছয়টি ঘটনার উল্লেখ আছে। যথা- ১. মসজিদে আকসার প্রতিষ্ঠাতা হজরত সোলায়মান আ:-এর ওফাতের পর প্রথম ঘটনাটি সংঘটিত হয়। বায়তুল মোকাদ্দাসের শাসনকর্তা ধর্মদ্রোহিতা ও কুকর্মের পথ অবলম্বন করেন। মিসরের জনৈক সম্রাট তার ওপর চড়াও হয়ে বায়তুল মোকাদ্দাস থেকে স্বর্ণ ও রৌপ্যের আসবাবপত্র লুট করে নিয়ে যান, কিন্তু নগরী ও মসজিদকে বিধ্বস্ত করেননি।
২. এর প্রায় ৪০০ বছর পরে সংঘটিত হয় দ্বিতীয় ঘটনাটি। বায়তুল মোকাদ্দাসে বসবাসকারী কিছু ইহুদি মূর্তিপূজা শুরু করে দেয় এরং অবশিষ্টরা অনৈক্যের শিকার হয়ে পারস্পরিক দ্বন্দ্ব-কলহে লিপ্ত হয়। পরিণামে পুনরায় মিসরের জনৈক সম্রাট তাদের ওপর আক্রমণ চালান এবং নগরী ও মসজিদ প্রাচীরেরও কিছুটা ক্ষতিসাধন করেন। এরপর এদের অবস্থার যৎকিঞ্চিত উন্নতি হয়।
৩. এর কয়েক বছর পর তৃতীয় ঘটনাটি ঘটে। যখন বাবেল সম্রাট বুখতা নছর বায়তুল মোকাদ্দাস আক্রমণ এবং শহরটি পদানত করে প্রচুর ধনসম্পদ লুট করে নেন। তিনি অনেক লোককে বন্দী করে সাথে নিয়ে যায় এবং সাবেক সম্রাট পরিবারের জনৈক ব্যক্তিকে নিজের প্রতিনিধিরূপে নগরের শাসনকর্তা নিযুক্ত করেন।
৪. এর কারণ নতুন সম্রাট ছিল মূর্তিপূজক ও অনাচারী। তবে সে বিদ্রোহ ঘোষণা করলে বুখতা নছর পুনরায় বায়তুল মোকাদ্দাস আক্রমণ করেন। এবার তিনি হত্যা ও লুটপাটের চূড়ান্ত করে দেন। আগুন লাগিয়ে সমগ্র শহরকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেন। এ দুর্ঘটনাটি হজরত সোলায়মান আ: কর্তৃক মসজিদ নির্মাণের প্রায় ৪১৫ বছর পর সংঘটিত হয়। এরপর ইহুদিরা এখান থেকে নির্বাসিত হয়ে বাবেলে স্থানান্তরিত এবং সেখানে চরম অপমান, লাঞ্ছনা ও দুর্গতির মাঝে ৭০ বছর অতিবাহিত হয়। অতঃপর ইরানের সম্রাট বাবেলে চড়াও হয়ে বাবেল অধিকার করে নেন। তিনি নির্বাসিত ইহুদিদের প্রতি দয়াপরবশ হয়ে তাদের পুনরায় সিরিয়ায় পৌঁছে দেন এবং তাদের লুণ্ঠিত দ্রব্যসামগ্রীও তাদের হাতে প্রত্যার্পণ করেন। এ সময় ইহুদিরা নিজেদের কুকর্মের জন্য অনুতপ্ত হয়ে তওবা করে এবং নতুনভাবে বসতি স্থাপন করে ইরান সম্রাটের সহযোগিতায় আগের নমুনা অনুযায়ী মসজিদে আকসা পুনঃনির্মাণ করে।
৫. ইহুদিরা সেখানে পুনরায় সুখে-স্বাচ্ছন্দ্যে জীবন যাপন করে অতীতকে সম্পূর্ণ ভুলে যায়। তারা আবার ব্যাপকভাবে পাপ কাজে লিপ্ত হয়ে পড়ে। হজরত ঈসা আ:-এর জন্মের ১৭০ বছর আগে এ ঘটনাটি সংঘটিত হয়। আন্তাকিয়া শহরের প্রতিষ্ঠাতা সম্রাট ইহুদিদের ওপর চড়াও হন। তিনি ৪০ হাজার ইহুদিকে হত্যা এবং ৪০ হাজারেরও বেশি বন্দী ও গোলাম বানিয়ে সাথে নিয়ে যান। তিনি মসজিদেরও অবমাননা করেন, কিন্তু মসজিদের মূল ভবনটি রক্ষা পায়। পরবর্তী পর্যায়ে এ সম্রাটের উত্তরাধিকারীরা শহর ও মসজিদকে সম্পূর্ণ ময়দানে পরিণত করে দেন। এর কিছু দিন পর বায়তুল মোকাদ্দাস রোম সম্রাটের দখলে চলে যায়। তারা মসজিদের সংস্কার সাধন করেন এবং ৮ বছর পর হজরত ঈসা আ: দুনিয়াতে আগমন করেন।
৬. হজরত ঈসা আ:-এর সশরীরে আকাশে উত্থিত হওয়ার ৪০ বছর পর ষষ্ঠ ঘটনাটি ঘটে। ইহুদিরা রোম সম্রাটের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে। ফলে রোমকরা শহর ও মসজিদ পুনরায় বিধ্বস্ত করে আগের মতো ধ্বংসস্তূপে পরিণত করে। তখনকার সম্রাটের নাম ছিল তাইতিস। তিনি ইহুদি বা খ্রিষ্টানও ছিলেন না। কেননা, তার অনেক পর কনস্টানটাইন প্রথম খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করেন। এরপর থেকে খলিফা হজরত ওমর রা:-এর আমল পর্যন্ত মসজিদটি বিধ্বস্ত অবস্থায় পড়ে ছিল। হজরত ওমর রা: এটি পুনঃনির্মাণ করেন।
এ ছাড়া; ৭. রাসূল সা:-এর আমলে তাকে হত্যা, সুদ ব্যবস্থা ও বিভিন্ন ধরনের অপকর্মের কারণে ইহুদিদের বনু কাইনুকা ও বনু জিয়র গোত্রকে বহিষ্কার করা হয়। ফলে তাদের বেশির ভাগ খায়বারে গিয়ে আশ্রয় গ্রহণ করে।
৮. পরবর্তীতে খায়বারবাসী ইহুদিদের সাথে নিয়ে মদিনার ইসলামী রাষ্ট্র নিয়ে বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্র শুরু হয়। এরই ফলে খায়বার যুদ্ধ ঘটেছিল। খায়বার যুদ্ধে ইহুদিরা পরাজিত হয়ে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে চলে যায়। তবে বেশির ভাগ সিরিয়াতে আশ্রয় গ্রহণ করে। সেখানে গিয়ে অতঃপর মুসলমানদের ধ্বংস করার জন্য রোমানদের উসকে দেয়। ফলে তাবুক অভিযান সংঘটিত হয়।
৯. হজরত খালিদ রা:-এর হাতে যখন রোমক সম্রাট হিরাক্লিয়াসকে শোচনীয়ভাবে পরাজিত করে মুসলমানরা সিরিয়া দখল করে, তখন আশ্রয় নেয়া ও স্থানীয় ইহুদিরা ইউরোপ ও আফ্রিকার বিভিন্ন প্রান্তে চলে যায়।
১০. দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে হিটলার জার্মানি থেকে ইহুদিদের বিতাড়িত করেন। নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করেন ৬০ লাখ ইহুদিকে। অন্যদের তাড়িয়ে দেন। হিটলারের হাত থেকে বাঁচার জন্য তারা আশ্রয় নেয় মুসলমানদের পবিত্র ভূমি মসজিদুল আকসার কিনারে। তবে এখানে এসে তারা আবার অপকর্মে লিপ্ত হয়। ইতিহাস সাক্ষী দেয়, তারা কেন কোনো ভূমিতে স্থায়ীভাবে টিকেনি।
আবার ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাকে কেন্দ্র করে ঊনবিংশ শতকে যে জঘন্যতম কর্মকাণ্ড ঘটেছে তা বিশ্বের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ। ফিলিস্তিন মুক্তি সংগ্রামের নেতা ইয়াসির আরাফাতকে হত্যা করার জন্য ইহুদিদের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ ছিল তৎপর। তাকে বেশ কয়েকবার হত্যার চেষ্টা করা হয়। ১৯৮২ সালে অ্যারিয়েল শ্যারন বৈরুতে আরাফাতকে হত্যার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। ১৯৮৫ সালে অল্পের জন্য তিউনিসিয়ায় ইসরাইলি বোমা হামলা থেকে আরাফাত রক্ষা পান। ২০০১ সালের ডিসেম্বরে ইসরাইলি মিসাইল রামাল্লায় তার দফতরে আঘাত হানে। এর অল্প আগেই তিনি সেখান থেকে বেরিয়ে যান। পরে তাকে বিষ প্রয়োগে হত্যা করা হয়।
মার্কিন সাংবাদিক স্টিফেন লেন্ডম্যান এক প্রতিবেদনে জানান, ‘ওয়াশিংটনের সম্মতি নিয়েই ইসরাইল আরাফাতকে হত্যার সময় ও পদ্ধতি বেছে নেয়। তারা ভেবেছিল, কোনো প্রমাণ থাকবে না। কিন্তু তারা ভুল ভেবেছিল।’ গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ তাকে যে বিষ প্রয়োগে হত্যা করেছিল, তার নাম পোলোনিয়াম-২১০। এটি এমন একটি বিষ যে, তার এক গ্রামের ১০ লাখ ভাগের এক ভাগই মানুষের মৃত্যু ঘটাতে পারে। মোসাদ গুপ্তহত্যায় বিশ্বের সেরা। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তারা ‘সফল’।
ইসরাইল রাষ্ট্রকে পাকাপোক্ত করার জন্য পরপর চারটি যুদ্ধ করে আরব দেশগুলোর ওপর অতর্কিতে সামরিক হামলা চালিয়ে আরব ভূখণ্ড দখল করে নেয় ইহুদিরা। ১৯৪৮ সালে প্রথম ফিলিস্তিনিদের নিজ ভূমি থেকে উচ্ছেদ করে অবৈধ ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা হয়। তারপর থেকে প্রতিনিয়ত ফিলিস্তিনি মুসলমানদের ওপর চালিয়ে এসেছে অত্যাচার, নিপীড়ন, নির্যাতনসহ চরম অমানবিক কার্যক্রম। আর তাদের কুবুদ্ধির মদদ দিচ্ছে পরাশক্তি আমেরিকা। ইসরাইলের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এর অভিভাবকের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে আমেরিকাই। ১৯৪৮ সালে ইসরাইল যখন স্বাধীনতা ঘোষণা করে তখন যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট হ্যারি ট্রুম্যান ইহুদি রাষ্ট্রটিকে স্বীকৃতি দিতে সময় নিয়েছিলেন মাত্র ১১ মিনিট। ১৯১১ সালে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লর্ড বেলফোরের ঘোষণার মাধ্যমে ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়। অন্যান্য পশ্চিমা রাষ্ট্র দীর্ঘকাল ধরে একই নীতি অনুসরণ করে আসছে। প্রত্যহ ফিলিস্তিনি মুসলমানদের ওপর অত্যাচার নিপীড়ন হচ্ছে। পুরো গাজায় এখন শুধু অশান্তির বাতাস। পুরো উপত্যকা জ্বলছে, আর ঝরছে আরবদের প্রাণ। রক্ষা পাচ্ছে না নিষ্পাপ শিশুরাও। ১৯১৭ সালে বেলফোর ঘোষণার সময় ফিলিস্তিনে ইহুদি ছিল ৮ শতাংশ। এর মধ্যে বহিরাগত ইহুদিরা ৬ শতাংশ। বাকি ৯২ শতাংশই ছিল মুসলমান। ফিলিস্তিনের এই ৯২ শতাংশ স্থানীয় অধিবাসীকে অস্ত্রের বলে তাদের মাতৃভূমি থেকে উচ্ছেদ করা হয়। সেখানে প্রতিষ্ঠা করা হয় সাম্রাজ্যবাদীদের তাঁবেদার মুসলিমবিদ্বেষী রাষ্ট্র ইসরাইলকে। এ রাষ্ট্রের জন্য ১৯৫৬ সালে ব্রিটেন ও ফ্রান্সের সহযোগিতায় ইসরাইল মিসরের ওপর হামলা চালায়। ১৯২১ সালে ইহুদিরা ‘হাগানা’ নামের একটি জঙ্গিবাহিনী গঠন করে। এ বাহিনী ইহুদিবাদীদের রাষ্ট্র গঠনের কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ১৯৬৭ সালে আমেরিকা ও ব্রিটেনের উসকানিতে ইসরাইল বিমান হামলা করে মিসরের সিনাই, গাজা এলাকা ও জর্দান নদীর পশ্চিম তীর দখল করে নেয়। ১৯৭৩ সালে সিরিয়ায় গোলান মালভূমি দখল করে। এই ইহুদিরাই বনি ইসরাইলের নবীদের হত্যা করেছে। ইসলাম ও নবীদের অবমাননা ইহুদিদের জাতিগত বৈশিষ্ট্য। আজো ওরা তাদের নবীবিদ্বেষী চরিত্র থেকে মুক্ত হতে পারেনি। ২০১২ সালে সেপ্টেম্বর মাসে নাকুলা বাসিলে নামের ইহুদি নির্মাণ করে ‘ইননোসেন্স অব মুসলিম’ শীর্ষক পবিত্র ইসলাম ও মহানবী সা:-এর অবমাননাকর চলচ্চিত্র। তাকে সহায়তা করেছে কুখ্যাত মার্কিন পাদ্রি টেরি জোন্স। ইহুদি ব্যবসায়ীদের অর্থে ৫০ লাখ ডলার ব্যয়ে নির্মিত ছবিটি বেশ রহস্যজনক। এ চলচ্চিত্রে বিশ্বনবী হজরত মোহাম্মদ সা:-এর চরিত্রকে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করা হয়েছে।
মোসাদের হাতে খুন হন ফিলিস্তিন লিবারেশন অরগানাইজেশনের সাবেক প্রধান ইয়াসির আরাফাতের সহযোগী, আবু জিহাদ ওরফে খলিল আল ওয়াজির। ১৯৮৮ সালে তিউনিসিয়ার রাজধানী তিউনিসে ইসরাইল কমান্ডো অভিযান চালিয়ে আবু জিহাদকে হত্যা করে। এ হত্যাকাণ্ডের ২৫ বছর পর ইসরাইলি দৈনিক ‘ইয়েদিউথ আহরোনোথ’ ১ নভেম্বর প্রকাশিত এক খবরে তাকে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছে।
ইসরাইল ১৯৮১ সালে ইরাকের পারমাণবিক প্রকল্পে হামলা চালিয়ে তা ধ্বংস করে দেয় ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’র উত্থানের আশঙ্কায়। বায়তুল মোকাদ্দাস শহরে খ্রিষ্টান ধর্মযাজকদের একটি কেন্দ্রে প্রবেশপথে হজরত ঈসা আ: ও তার মা হজরত মরিয়ম আ: সম্পর্কে হিব্রু ভাষায় অশালীন বক্তব্য লিখে তাদের অবমাননা করেছে ইহুদিবাদীরা। ইতালীয় ওয়েবসাইট ‘কাস্টডিয়া টেররা সান্টা’ এই খবর দিয়েছে। ভ্যাটিকানের সাথে সম্পর্কিত এই ওয়েবসাইট জানিয়েছে- মুসলমানদের প্রথম কেবলা অধ্যুষিত জেরুসালেমে বা বায়তুল মোকাদ্দাস শহরের জিহুন বা জায়ান পাহাড়ে ক্যাথলিকদের ধর্মকেন্দ্র, সানফ্রান্সিসকো মনাস্টারির অন্যতম প্রবেশপথের দেয়ালে এই অপকর্ম করা হয়েছে। ইহুদিবাদী দখলদাররা হজরত ঈসা মসিহের জন্ম বৈধ ছিল কি না সেই প্রশ্ন করা হয়েছে, ওই অশালীন দেয়াল লিখনে।