শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫, ০৬:৩৭ অপরাহ্ন

হাইকোর্ট এলাকায় খুন হওয়া সেই হামিদুল হত্যার রহস্য উদঘাটন, গ্রেপ্তার ৫

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২৬ জানুয়ারী, ২০২১
  • ২০৩ বার

রাজধানীর শাহবাগ থানা এলাকায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে মো. হামিদুল ইসলাম (৫৫) হত্যার রহস্য উদঘাটনসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা রমনা বিভাগের একটি টিম। গতকাল সোমবার রাজধানীর উত্তর মুগদা ও কামরাঙ্গীরচর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের হেফাজত হতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি চাকু, একটি মোটরচালিত রিকশা, লুন্ঠিত মোবাইল ও মানিব্যাগ উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মো. সোহেল ওরফে এরাবিয়ান সোহেল, মো. জাহিদ হোসেন, মো. শুক্কুর আলী, মো. শাকিল ওরফে ডুম্বাস ও মো. সোহেল মিয়া।
আজ মঙ্গলবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) এ কে এম হাফিজ আক্তার। তিনি বলেন, হামিদুল ইসলাম গত ২৫ বছর ধরে সেগুনবাগিচা হাইকোর্ট এলাকায় ক্যাবল টিভি নেটওয়ার্কের ব্যবসা করতেন। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে তিনি সেগুনবাগিচা এলাকায় থাকতেন। তিনি জাসদের শাহবাগ থানা এলাকার সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এর সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, গত ২৩ জানুয়ারি পুরান ঢাকায় অবস্থিত তার ফ্ল্যাটের ভাড়া তুলে বাসায় ফেরার পথে ছিনতাইকারীদের হাতে খুন হন হামিদুল ইসলাম। এ ঘটনায় শাহবাগ থানায় একটি মামলা রুজু হয়। ডিবি রমনা বিভাগ এই মামলার ছায়া তদন্ত শুরু করে।
ঘটনার বর্ননা দিয়ে তিনি আরও বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে নিজেদের সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করেছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা ঘটনার দিন মোটরচালিত রিকশাযোগে হাইকোর্ট মাজার গেটের বিপরীত পাশে এসে অবস্থান করে। সাকিল মোটরচালিত রিকশা নিয়ে সেখানে অপেক্ষারত থাকে। আনুমানিক ৮টা ৩০ মিনিটে বাকি চারজন হাইকোর্টের ঈদগাহ মাঠের সামনে ফুটপাতের উপরে হামিদুর রহমানের গতিরোধ করে তার নিকটে থাকা একটি স্যামসাং এ ২১-এস মোবাইল ফোন ও পকেট হতে মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেয়।
তারা হামিদুলের পকেটে থাকা টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে ভিকটিম চিৎকার করে। তখন গ্রেপ্তারকৃত মো. সোহেল তার নিকটে থাকা চাকু দিয়ে তার পায়ে ও হাতে আঘাত করে। পরে হামিদুলকে সড়কে ফেলে রেখে ছিনতাইকারী দল দ্রুত পালিয়ে যায়। পথচারীরা আহত অবস্থায় হামিদুল ইসলামকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ডিবির এই কর্মকর্তা বলেন, ‘ঘটনার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আমরা ছিনতাইকারী চক্রটিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।’ ভবিষ্যতে কেউ যদি এমন ঘটনার সম্মুখীন হন তাহলে পুলিশকে অবহিত করার জন্য সবাইকে অনুরোধ করেন পুলিশের এই গোয়েন্দা কর্মকর্তা।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com