শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ০৬:২৬ অপরাহ্ন

ক্যানসার সম্পর্কে সচেতন হোন

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
  • ১৯৪ বার

পৃথিবীর প্রায় সব প্রাণীদেহেই রয়েছে লাখ লাখ ছোট কোষ। শরীরে বহনকারী এ কোষগুলো ১ থেকে ৩ মাসের মধ্যে মারা যায়। জন্ম নেয় নতুন কোষ। এ নিয়মেই কোষ নিয়ন্ত্রিতভাবে নিয়মিত বিভাজিত হয়। সাধারণত যখন এ কোষগুলো কোনো কারণে অস্বাভাবিক ও অনিয়ন্ত্রিতভাবে বাড়তে থাকে। তখন ত্বকের নিচে মাংসের দলা বা চাকা দেখা যায়। এর নাম টিউমার। এ টিউমার বিনাইন বা ম্যালিগন্যান্ট হতে পারে। ম্যালিগন্যান্ট টিউমারই হলো ক্যানসার।

অনিয়ন্ত্রিতভাবে বিভাজিত এবং বৃদ্ধি পাওয়া কোষের নাম নিওপ্লাসিয়া। একই ধরনের ক্রিয়াযুক্ত কোষের নাম নিওপ্লাস্টিক। এ কোষ আশপাশের কলা ভেদ করতে পারে না। যদি পারে, তবে তা নিরীহ বা বিনাইন টিউমার। এ টিউমার ক্যানসার নয়। নিওপ্লাসিয়া কলা ভেদক ক্ষমতাসম্পন্ন হয়ে থাকে।

ম্যালিগন্যান্ট টিউমার এবং তার অনিয়ন্ত্রিত বিভাজনক্ষম ভেদক ক্ষমতাযুক্ত কোষগুলোই হলো ক্যানসার কোষ। অনেক ক্যানসার প্রথমে বিনাইন টিউমার হিসেবে শুরু হয়। পরে কিছু কোষ পরবর্তীকালে ম্যালিগন্যান্ট অর্থাৎ ভেদক ক্ষমতাযুক্ত হয়। তবে বিনাইন টিউমার পরবর্তীকালে ক্যানসারে রূপান্তরিত হবে, তার কোনো স্থিরতা নেই। কিছু বিনাইন টিউমারসদৃশ ব্যাধি আছে, যা ক্যানসারে রূপান্তর হতে পারে। এর নাম প্রিক্যানসার। নিরীহ হলেও চাপ দিয়ে আশপাশের কলার ক্ষতি করতে পারে।

মেটাস্ট্যাসিস হলো ক্যানসারের একটি পর্যায়, যাতে ক্যানসার কোষগুলো অন্যান্য কলা ভেদ করে এবং রক্ত লসিকাতন্ত্র খুসঢ়যঃরপ ঝুংঃবস ইত্যাদির মাধ্যমে দূরবর্তী কলায় ছড়িয়ে পড়ে। এককথায়, অনিয়ন্ত্রিত কোষ বিভাজন সংক্রান্ত রোগের সমষ্টি হলো ক্যানসার। ক্যানসার প্রায় দুইশ ধরনের। দেহের যে কোনো স্থানে বাসা বাঁধতে পারে। প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পড়লে চিকিৎসায় ভালো হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com