দাম বাড়ছে, আবার কমছে। এভাবেই বাজারে পণ্যমূল্যের হ্রাস-বৃদ্ধির খেলা চলছে। গত বুধবার যে পেঁয়াজ ছিল ৩৫ টাকা, গতকাল শুক্রবার তা বিক্রি হয়েছে ৪০ টাকায়। আবার ১৫ টাকা থেকে বেড়ে আলুর কেজি এখন ২০ টাকায়। ক্ষেত থেকে সদ্য তুলে আনা রসুন বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকায়। সবজির মধ্যে বাজারে দাপটের সাথে আছে করলা-উস্তে। বেড়েছে মুরগি, ডিম, লেবুরসহ অনেক পণ্যের দাম। অপরিবর্তিত রয়েছে ভোজ্যতেল, গরু ও খাসির গোশতসহ অন্যান্য পণ্যের দাম। তবে এর প্রতিটিই সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে বাজারে। ২০ টাকায় শিম পাওয়া গেলেও মানের তারতম্যে সেই শিমই কোথাও বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি।
গতকাল রাজধানীতে বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এখন বাজারে যে শীতের সবজি বিক্রি হচ্ছে তা নিম্নমানের। যে কারণে দামও কম। আবার যেসব সবজি ভালো মানের তার দামও বেশি। প্রতি কেজি মুলা ২০ টাকায়, শালগম ২০ টাকায়, গাজর ২০ টাকা, শিম ২০ থেকে ৫০ টাকায়, বেগুন ৩০ টাকায়, টমেটো ১৫-২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ফুল কপি আর বাঁধা কপি প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ১০-২০ টাকায়।
বাজারে এখন দাপট নিয়ে আছে উস্তে আর করলা। ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি। ঢেঁড়স ৪০-৫০ টাকায়, বরবটি ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি পিস লাউ আকারভেদে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৫০ টাকায়। ভালো মানের মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৩০ টাকা। কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে। প্রতি কেজি পেঁপে ২০ থেকে ৩০ টাকায়, ক্ষীরাই ২০-৩০ টাকায়, শসা ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মটরশুঁটির কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা। প্রতি কেজি চিচিঙ্গা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। প্রতি কেজি শিম বিচি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। চালের দাম আগের মতোই আছে। প্রতি কেজি বিআর-২৮ চাল বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৫ টাকায়, মিনিকেট ৬৫ টাকায়, নাজির ৬৫ থেকে ৬৮ টাকায়, স্বর্ণা চাল ৪৬ থেকে ৪৭ টাকায়, চিনিগুড়া চাল ৯০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে ডিমের দাম বেড়েছে প্রতি ডজনে ৫ টাকা। প্রতি ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। হাঁসের ডিমের ডজন ১৫০ টাকা। দেশি মুরগির ডিমের ডজন ২০০ টাকা। পাকিস্তানি মুরগির ডিমের ডজন ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মুরগির দামও বেড়েছে। প্রতি কেজিতে ৬০ টাকা দাম বেড়ে সোনালি মুরগি ৩০০ টাকায় ও ব্রয়লার মুরগি ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লেয়ার মুরগি কেজি ২০০ টাকা।
এসব বাজারে অপরিবর্তিত আছে গরু ও খাসির গোশত এবং মসলাসহ অন্যান্য পণ্যের দাম। বাজারে প্রতি কেজি খাসির গোশত ৭৫০ থেকে ৮৫০ টাকায়, গরুর গোশত ৫৬০ টাকায়, মহিষ ৫৫০ থেকে ৫৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গোশতের দাম সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে বলে ক্রেতারা অভিযোগ করেন।
মাছের দাম মোটামুটি নাগালের মধ্যেই আছে। বাজারে প্রতি কেজি রুই মাছের দাম বেড়ে (আকারভেদে) ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকায়, দেশী মাগুর মাছ ৬০০-৭৫০ টাকায়, প্রতিকেজি শিং মাছ (চাষের) ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, দেশী শিং মাছ বিক্রি হচ্ছে ৮০০-৯০০ টাকা কেজি। মৃগেল ১১০ থেকে ১৫০ টাকায়, পাঙ্গাশ ১২০ থেকে ১৫০ টাকায়, চিংড়ি (চাষের) প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায়, নদীর চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ১০০০-১১০০ টাকা কেজি। বোয়াল মাছ প্রতি কেজি ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায়, কাতল ১৭০ থেকে ২৮০ টাকায়, ফলি মাছ (চাষের) ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায়, পোয়া মাছ ২০০ থেকে ২৫০ টাকায়, পাবদা মাছ ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায়, টেংরা মাছ ৩০০-৪০০ টাকায়, টাটকিনি মাছ ২০০ টাকায়, তেলাপিয়া ১৪০ টাকায়, সিলভার কার্প ১০০ থেকে ১৪০ টাকায়, কৈ দেশি মাছ ৫০০-৬০০ টাকায়, কাঁচকি ও মলা বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৪৫০ টাকায়, আইড় মাছ ৫০০-৭০০ টাকায়, রিঠা মাছ ২২০ টাকায় ও কোরাল ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায়, গুঁড়া বেলে ২০০ টাকায়, রূপ চাঁদা মাছ ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।