রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৫০ অপরাহ্ন

করোনা বেশি ছড়ায় বাতাসের মাধ্যমেই

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২১
  • ১৭৬ বার

বাতাসের মাধ্যমেই করোনা বেশি ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষজ্ঞদের একটি টিম এ বিষয়ে শক্তিশালী প্রমাণ পেয়েছেন। ব্রিটিশ চিকিৎসাবিষয়ক ম্যাগাজিন দ্য ল্যানচেটে এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। ভারতীয় বার্তা সংস্থা এএনআই ওই প্রতিবেদনকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, করোনার এসএআরএস-কোভ-২ বাতাসের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার এমন সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং দৃঢ় প্রমাণ পাওয়া গেছে।

এর ফলে জনস্বাস্থ্যবিষয়ক যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয় চিকিৎসার জন্য, তা ব্যর্থ হয়। বলা হয়েছে- এসব ব্যর্থতার কারণ বাতাস থেকে ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া। এ অবস্থায় মানুষ অনিরাপদ হয়ে পড়ে এবং ভাইরাসের ব্যাপক বিস্তার ঘটে। এমনটা বলেছেন, ব্রিটেন, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার বিজ্ঞানীরা।

কো-অপারেটিভ ইনস্টিটিউট ফর রিসার্চ ইন এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস (সিআইআরইএস) এবং ইউনিভার্সিটি অব কলোরাডো বৌলডারের এক রসায়নবিদ হোসে লুইস জিমেনেজ বলেছেন, বাতাসের মাধ্যমে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পক্ষে বড় ধরনের তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গেছে। বড় বড় ড্রপলেট বা হাঁচি কাশির যেসব বিন্দু আকারে জলীয়বাষ্প বেরিয়ে যায়, তার মাধ্যমে এই সংক্রমণ ছড়ানোর পক্ষে প্রমাণ কম। তিনি দাবি করেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও অন্য স্বাস্থ্যসেবাবিষয়ক এজেন্সিকে সংক্রমণ বিষয়ে বিজ্ঞানসম্মত বর্ণনা প্রচার করা খুব জরুরি।

এ ধরনের প্রচার করলে বাতাসের মাধ্যমে সংক্রমণ কমিয়ে আনা যায়। গবেষণা দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন ইউনিভার্সিটি অব অক্সফোর্ডের তৃষ গ্রিনহাফ। তার নেতৃত্বে বিশেষজ্ঞরা গবেষণা পর্যালোচনা শেষে তা প্রকাশ করেছেন এবং বাতাসের মাধ্যমে যে এই ভাইরাস প্রধানত ছড়ায়, তার পক্ষে যুক্তি হিসেবে ১০টি পয়েন্ট উত্থাপন করেন। এর শীর্ষে রয়েছে স্কাগিট চোইর প্রাদুর্ভাবের মতো সুপার স্প্রেডার। এতে একজন মাত্র আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে ৫৩ জন আক্রান্ত হতে পারে। ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক, অভিন্ন

কোনো তল স্পর্শ করা বা অন্য কোনো কিছুর মাধ্যমে এই সংক্রমণ ব্যাখ্যা করা যায় না। উপরন্তু করোনা ভাইরাস সংক্রমণ অধিক হারে ইনডোর বা আবদ্ধ ঘরের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার হার বেশি। ঘরের বাইরে বা আউটডোরে এই সংক্রমণের হার কম। ফলে ইনডোরে ভেন্টিলেশন বা বাতাস যাতায়াতের পথ খোলা রাখার মাধ্যমে এ সংক্রমণকে অনেকাংশে কমিয়ে রাখা যায়।

গবেষণায় দেখা গেছে, নীরব সংক্রমণে আক্রান্ত কোনো ব্যক্তি থেকে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে। এমনভাবে আক্রান্ত হওয়ার শতকরা হার মোট সংক্রমণের মধ্যে শতকরা কমপক্ষে ৪০ ভাগ। বিশ্বজুড়ে এই নীরব সংক্রমণ করোনা ছড়িয়ে পড়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। হোটেলে পাশাপাশি রুমে অবস্থানকারী মানুষদের ওপর গবেষণা করা হয়েছে এসব বিষয়ে।

হোটেলের যেসব মানুষ করোনায় আক্রান্ত হননি বা তাদের মধ্যে কখনো লক্ষণ দেখা যায়নি- এমন ব্যক্তিদের মধ্য থেকে এই ভাইরাসও ছড়ায়। পক্ষান্তরে এ টিম বড় বড় ড্রপলেটের মাধ্যমে এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পক্ষে খুব কমই প্রমাণ পেয়েছে। এসব ড্রপলেট দ্রুতই বাতাসে মেশে এবং তলকে সংক্রমিত করে।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com