পাকিস্তান ক্রিকেটের চিত্র দেখে হতবাক সাবেক ব্যাটসম্যান বাসিত আলির। বলেই ফেললেন, ভারতের বিরুদ্ধে ভরাডুবি না হলে টনক নড়বে না পাকিস্তানের।
অ্যাডিলেড ওভালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে পাকিস্তানী বোলারদের বিধংসী রুপের ছিটেফোটাও দেখা যায়নি। তাদের নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলা করেছেন ডেভিড ওয়ার্নার ও লাবুসচাঙ। ওয়ার্নারের বিধ্বংসী ৩৩৫ এবং লাবুসচাঙের ১৬২ রানের অনবদ্য ইনিংসে ভর করে ৫৮৯ রানের পাহাড় গড়ে অস্ট্রেলিয়া।
পাকিস্তানের এই হাল দেখে হতভম্ব বাসিত। পাকিস্তানের একটি টেলিভিশন চ্যানেলে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘ভারতের সাথে যতক্ষণ না আমাদের কোনো ম্যাচ হচ্ছে, ততক্ষণ এই চিত্রই দেখা যাবে পাকিস্তান ক্রিকেটের। আমাদের ভাগ্য ভালো বলতে হবে, এখন ভারত-পাকিস্তান দ্বিপাক্ষিক সিরিজই হয় না। অস্ট্রেলিয়া, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে দলের ভরাডুবি হলেও বিশেষ কোনো পরিবর্তন হবে না দেশের ক্রিকেটে। তা নিয়ে কারো কোনো মাথাব্যথাও নেই। ভারতের বিরুদ্ধে ভরাডুবি হলেই টনক নড়বে পাকিস্তান ক্রিকেটের। বড়সড় পরিবর্তন আসবে তখন।’
পাকিস্তানি বোলারদের নাস্তানবুদ করতে দেখে বাসিত বলেন, ‘ড্রেসিং রুমে দেখলাম অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটাররা হাসিঠাট্টা করছে। আমাদের দেশের ক্রিকেটের মান তা হলে এতটাই নেমে গেছে যে প্রতিপক্ষ সিরিয়াসলি নিচ্ছে না?’
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে সাবেক এই পাক ক্রিকেটার বলেন, ‘এই পাকিস্তান দলে আগ্রাসন ব্যাপরাটাই চোখে পড়ছে না। অ্যাডিলেডের পিচ শুরুতে বোলারদেরই সহায়ক হয়। কিন্তু সময় যত গড়াতে থাকে, ততই তা ব্যাটিং সহায়ক হয়ে ওঠে।’ কিন্তু দ্বিতীয় টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যানদেরই দাপট চলল।
টেস্ট অধিনায়ক আজহার আলির নেতৃত্ব নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বাসিত। বলছেন, ‘আজহার আলি খুবই রক্ষণাত্মক অধিনায়ক। অ্যাডিলেডেও রক্ষণাত্মক ক্যাপ্টেন্সি করে গেলেন। ওয়ার্নারের জন্য ফিল্ডিংটাও ঠিকঠাক সাজাননি।’
অস্ট্রেলিয়ার রানের পাহাড়ের জবাব দিতে লড়ছে পাকিস্তান। খুব বেশি কিছু প্রত্যাশা করছেন না বাসিত। বলেন, ‘ফলোঅন বাঁচানো খুবই কঠিন পাকিস্তানের। আমি বলব, পাকিস্তান যদি এই টেস্ট ড্র-ও করে, তা হলে তা জেতার সামিল হবে।’