রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০:০২ অপরাহ্ন

সেরামের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের চিন্তা

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ১০ মে, ২০২১
  • ১৬৭ বার

চুক্তি অনুযায়ী অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনাভাইরাসের টিকা না দিতে পারায় ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবতে বলেছে সংসদীয় কমিটি। আজ রোববার সংসদ ভবনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠক থেকে এমন সুপারিশ করা হয়।

বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি মুহাম্মদ ফারুক খান বলেন, ‘গত ফেব্রুয়ারি মাসেই সংসদীয় কমিটি বলেছিল, একাধিক সোর্স থেকে টিকা আনার ব্যবস্থা করতে হবে। এখন একটা সোর্স থেকে নিলেন কেন? এটা আমরা জিজ্ঞেস করেছি।’

তিনি বলেন, ‘মন্ত্রণালয় আমাদের ব্যাখ্যা দিয়েছে, এটা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিষয়। তবে তারা, এখন মাল্টিপল সোর্স থেকে টিকা আনার চেষ্টা করছে। ভারত থেকেও আশা করছে পাবে। আমেরিকা থেকে পাওয়ার চেষ্টা করছে। রাশিয়া ও চায়না থেকে আনার চেষ্টাতো করছেই।’

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি জানান, দেশে প্রথম ডোজে যারা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা পেয়েছেন, দ্বিতীয় ডোজেও তাদের একই টিকা পাওয়া নিশ্চিত করতে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে থাকা ওই কোম্পানির টিকা আনার উদ্যোগ ‘দ্রুত করার’ পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বৈঠক থেকে।

তিনি বলেন, ‘ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউট যে আমাদের দিল না, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেন কিনা- সে ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করতে বলেছি।’

ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তিন কোটি ডোজ টিকা কিনতে গত বছরের নভেম্বরে চুক্তি করে বাংলাদেশ। বেক্সিমকো ফার্মা ওই টিকা সংরক্ষণ ও সরবরাহের দায়িত্বে রয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ করে ছয় মাসে তিন কোটি ডোজ টিকা পাওয়ার কথা ছিল। প্রথম চালানে ৫০ লাখ ডোজ পাওয়ার পর গত ফেব্রুয়ারিতে দেশে গণটিকাদান শুরু হয়। ফেব্রুয়ারিতে দ্বিতীয় চালানে ২০ লাখ ডোজ টিকা পাঠায় সেরাম ইনস্টিটিউট। ভারত সরকারের উপহার হিসেবে দুই দফায় আসে আরও ৩২ লাখ ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা।

এর মধ্যে এপ্রিলে সারা দেশে টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া শুরু করে সরকার। কিন্তু নিজেদের চাহিদা মেটাতে ভারত টিকা রপ্তানি নিষিদ্ধ করলে বাংলাদেশ সঙ্কটে পড়ে। এ অবস্থায় প্রথম ডোজের টিকাদান বন্ধ রাখতে হয় সরকারকে। সরকারের হাতে যে মজুদ এখন আছে, তা দিয়ে প্রথম ডোজের সবাইকে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়াও সম্ভব হবে না। এই পরিস্থিতিতে সরকার চীন ও রাশিয়ার টিকা আনার তোড়জোড় শুরু হয়। দুই দেশের দুটি টিকা বাংলাদেশে জরুরি ব্যবহারের অনুমোদনও পেয়েছে।

ফারুক খান বলেন, ‘কোভিডের ভ্যাকসিন কেন আনা যাচ্ছে না এটা নিয়ে আমরা প্রশ্ন তুলেছিলাম- উনারা চেষ্টা করার কথা বলেছেন। কিন্তু আমরা বলেছি, চেষ্টা করলেতো হবে না। এই মুহূর্তে আমরা একটা সঙ্কটের মধ্যে পড়ে যাচ্ছি। যারা এক ডোজ টিকা নিয়েছেন, তাদের দ্বিতীয়বার না পেলে তো হবে না।

তিনি আরও বলেন, ‘মন্ত্রণালয় জানিয়েছে জুলাই মাসের দিকে ভারত থেকে টিকা আসবে। যুক্তরাষ্ট্রে কিছু টিকা অতিরিক্ত আছে। তারা সেখান থেকেও আনার চেষ্টা করছে। এ ছাড়া চীন ও রাশিয়া থেকে টিকা আসবে এবং সেটা হলে সমস্যার সমাধান হবে।’

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com