মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘হংকং মানবাধিকার এবং গণতন্ত্র অধিকার’ বিলে সই করার পরেই হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছিল চীন। এ বার হংকংয়ে মার্কিন যুদ্ধবিমান ও রণতরীর প্রবেশ আটকে দিলো বেইজিং।
সোমবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানিয়েছেন, মার্কিন সেনা বাহিনীর কোনো জাহাজ বা বিমান হংকংয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। তাদের স্পষ্ট বার্তা, আমেরিকা এত দিন যে ভাবে বিক্ষোভকারীদের পাশে দাঁড়িয়েছে, তাদের প্ররোচনা জুগিয়েছে, তাতে এই মুহূর্তে ওই স্বশাসিত এলাকায় জন্য মার্কিন সামরিক বাহিনীকে ঢুকতে দেয়ার কোনো প্রশ্নই নেই। একইসঙ্গে বেশ কয়েকটি মার্কিন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার উপরে নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে চীন।
চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প প্রশাসনকে বার্তা দিয়ে বলেছেন, ‘‘আমেরিকাকে ভুল শোধরানোর জন্য আমরা অনুরোধ করছি। আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মাথা গলানো বন্ধ করুক ট্রাম্প প্রশাসন। হংকংয়ের স্থিতিশীলতা ও উন্নয়ন ও সার্বভৌমত্ব বজায় রাখতে ভবিষ্যতে আরো কঠোর পদক্ষেপ করবে চিন।’’
হংকংয়ের উপকূলে মার্কিন সামরিক বাহিনীর মহড়া নতুন নয়। প্রতি বছরই এই ধরনের অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। গত এপ্রিলে মার্কিন যুদ্ধ জাহাজ ব্লু রিজকে হংকং উপকূলে আটকে দেয়া হয়েছিল। তখনও পুরো মাত্রায় হংকং অশান্ত হয়নি। তার পরে গত অগস্টেও মার্কিন রণতরীকে হংকংয়ে ঢুকতে দেয়া হয়নি। এ বার সরাসরি আমেরিকাকে হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখল চীন।
হংকং নিয়ে চীনের হুঁশিয়ারির কোনো প্রতিক্রিয়া অবশ্য এখনও পর্যন্ত জানায়নি হোয়াইট হাউস। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও কোনো টুইট করেননি। তবে হংকং নিয়ে দু’দেশের টানাপড়েনের প্রভাব বাণিজ্য চুক্তিতে পড়তে চলেছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
চীনের বারবার হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও হংকংয়ের মানুষ অবশ্য বিক্ষোভের পথ থেকে সরে আসছেন না। গত সপ্তাহান্তেই সরকার-বিরোধী বিক্ষোভ সমাবেশে ফের পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ বাধে বিক্ষোভকারীদের। এই অবস্থায় গত কাল হংকং প্রশাসনের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফেরাতে এক নতুন কমিটি গঠনের কথা ভাবা হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা অবশ্য তাতে সন্তুষ্ট নন। প্রশাসক ক্যারি ল্যাম যত দিন না তাদের পাঁচ দফা দাবি মেনে নিচ্ছেন, বিক্ষোভ চলবেই বলে জানিয়েছেন তারা।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা