প্রথম বিদেশ সফরে সফরে গুয়েতেমালায় গিয়ে দেশটির নাগরিকদের সরাসরিই যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে যেতে নিষেধ করলেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। সোমবার গুয়েতেমালার প্রেসিডেন্ট আলেজান্দ্রো জামাতেইয়ের সাথে বৈঠকের পর এক সংবাদ সম্মেলনে এই কথা বলেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে কমলা হ্যারিস বলেন, ‘আমি এই অঞ্চলের জনগণের কাছে পরিষ্কারভাবে বলতে চাই যারা চিন্তা করছেন মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ পথে যুক্তরাষ্ট্রে আসার, অবশ্যই এই ভাবে আসবেন না।’
তিনি আরো বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র আইন-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা ও সীমান্ত সুরক্ষায় কাজ করে যাবে।’
সংবাদ সম্মেলনে কমলা হ্যারিস আরো বলেন, গুয়েতেমালার জনগণ যাতে নিজ দেশেই যথার্থ জীবিকার আশা করতে পারেন, এই লক্ষ্যে বাইডেন প্রশাসন কাজ করছে।
এর আগে ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথম বিদেশ সফরে রোববার সন্ধ্যায় গুয়েতেমালায় যান কমলা হ্যারিস।
গুয়েতেমালা সিটির বাইরে এক বিমানবাহিনীর ঘাঁটিতে অবতরণের পর দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্যাড্রো ব্রোলো ও মার্কিন রাষ্ট্রদূত উইলিয়াম পপ তাকে স্বাগত জানান।
মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট গুয়েতেমালা থেকে অভিবাসনের মূল কারণগুলোর মোকাবেলার লক্ষ্য রেখেই এই সফরে যান।
যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করা অনিবন্ধিত অভিবাসীদের মধ্যে গুয়েতেমালার নাগরিকরাই সর্বাধিক। বিষয়টি নিয়ে হোয়াইট হাউস তীব্র সমস্যার মুখে রয়েছে।
সফরে হ্যারি গুয়েতেমালায় আদিবাসী নারী ও মেয়েদের শিক্ষা ও অর্থনৈতিক সাহায্যে চার কোটি ডলারের অনুদানের ঘোষণা দেন। এছাড়া দেশটিতে করোনা মহামারী রোধ করতে পাঁচ লাখ টিকার সরবরাহ করা হবে বলে জানান।
সোমবার সন্ধ্যায় কমলা হ্যারিস মেক্সিকোর উদ্দেশ্যে গুয়েতেমালা ছাড়েন।
সূত্র : বাসস ও এনপিআর