অবিভক্ত ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেক হোসেন খোকার স্মরণসভায় বক্তারা বলেছেন, সাদেক হোসেন খোকা ছিলেন প্রকৃত দেশপ্রেমিক। তিনি ছিলেন অসাম্প্রদায়িক, মানবতাবাদী এবং প্রকৃত দেশপ্রেমিক একজন নেতা। তিনি ছিলেন দলমতের উর্ধ্বে। সাদেক হোসেন খোকাকে হারিয়ে বাংলাদেশ একজন দেমপ্রেমিক ও গণতান্ত্রিক নেতাকে হারিয়েছে। স্থানীয় সময় রবিবার সন্ধ্যায় নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের বেলোজিনা পার্টি হলে প্রবাসী নাগরিক সমাজের ব্যানারে আয়োজিত এ স্মরণসভায় সর্বস্তরের প্রবাসীরা যোগ দেন। এতে সভাপতিত্ব করেন আয়োজক কমিটির আহবায়ক আতিকুর রহমান সালু এবং সঞ্চালনায় ছিলেন ডা. ওয়াজেদ এ খান।
স্মরণসভায় বক্তারা সাদেক হোসেন খোকার বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের কথা তুলে ধরে বলেন, তিনি ঢাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের নামে সড়কের নামকরণ করেছেন দলের উর্ধ্বে থেকে। তিনি ছিলেন সার্বজনীন নেতা। বক্তারা বলেন, সাদেক হোসেন খোকা সবসময় দেশ এবং বাংলাদেশের মানুষের জন্য কাজ করেছেন। স্মরণসভায় সাদেক হোসেন খোকার মেয়ে সারিকা সাদেক এবং ছোট বোন মাজেদা হোসেনসহ পরিবারের বেশকয়েকজন আত্মীয়-স্বজন উপস্থিত ছিলেন।
সারিকা সাদেক স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল আয়োজন করার জন্য প্রবাসীদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘সবাই আমার বাবার প্রতি যে ভালবাসা দেখিয়েছেন সে জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। তিনি বলেন, ‘এখনো বিশ্বাস হয় না যে বাবা নেই। তাকে সব সময় অনুভব করি।’
স্মরণসভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন সাংবাদিক মুহম্মদ ফজলুর রহমান, মনজুর আহমেদ, মঈনুদ্দীন নাসের, আবু তাহের ও নাজমুল আহসান, বিএনপি নেত্রী ও সঙ্গীতশিল্পী বেবী নাজনীন, বিএনপি নেতা জিল্লুর রহমান জিল্লু, অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন, মিজানুর রহমান ভুইয়া মিল্টন, কাজী আজম, হেলাল উদ্দিন, জসীম ভুইয়া, আবুল কাশেম, মোশাররফ হোসেন সবুজ, গোলাম এম হায়দার মুকুট, সেলিম রেজা, শেখ হায়দার আলী ও জাকির এইচ চৌধুরী, কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট আলী ইমাম শিকদার, ফখরুল আলম, মোহাম্মদ হোসেন খান, ড. শওকত আলী, মজিবুর রহমান, আব্দুর রহিম হাওলাদার, রুহুল আমিন সিদ্দিকী, কাজী নয়ন, মোহাম্মদ আলী, খন্দকার ফরহাদ, ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার, মুফতি মোহাম্মদ ইসমাইল প্রমুখ। স্মরণসভা শেষে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারের পেশ ইমাম মাওলানা মির্জা আবু জাফর বেগ।