শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:০৫ অপরাহ্ন

বাসায় করোনা রোগীর চিকিৎসা

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ১৯ জুলাই, ২০২১
  • ২৪০ বার

দেশে করোনা রোগীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ায় হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর চাপ, যা কিনা হাসপাতালের ধারণক্ষমতার চেয়ে অনেক বেশি। করোনায় আক্রান্ত হওয়া মাত্রই যে হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে, এমন নয়। আমরা বাসায় থেকেও করোনা রোগীর চিকিৎসা করাতে পারি।

যদি শারীরিক অবস্থার অবনতি যেমন- শ্বাসকষ্ট, অতিরিক্ত কাশি, রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যাওয়া ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দেয়, তাহলে হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন হয়। বাসায় আইসোলেশনের মাধ্যমেও করোনা থেকে আরোগ্য লাভ করা সম্ভব। এক্ষেত্রে টেলিমেডিসিনের ভূমিকা অনেক। আমরা ঘরে বসেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছ থেকে চিকিৎসাসেবা পেতে পারি।

বাসায় বিচ্ছিন্ন থাকা, বাইরে এলে সবসময় মাস্ক পরিধান করা, স্যানিটেশন ব্যবহার করা, ব্যবহৃত জিনিসপত্রে জীবাণুনাশক ব্যবহার করা, পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবার খাওয়া, নিয়মিত ব্যায়াম করা, মেডিটেশন, ব্রিদিং এক্সারসাইজ করাও চিকিৎসার অংশ। শারীরিক কোনো অস্বাভাবিক পরিবর্তন লক্ষ করা মাত্রই চিকিৎসকের পরামর্শ এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।

অপ্রয়োজনীয় সব কাজ যেমন-অক্সিজেন মজুত করে রাখা, হাসপাতালের সিট বুক করা এসব থেকে নিজেদের বিরত রাখতে হবে এবং অন্যদেরও নিরুৎসাহিত করতে হবে। উপরোক্ত কাজের জন্য হাসপাতালের বিছানা স্বল্পতা, অক্সিজেন সরবরাহের অভাব দেখা দিতে পারে। ফলে সংকটাপন্ন রোগীরা প্রয়োজনীয় সেবা থেকে বঞ্চিত হবেন, যাদের হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা দেওয়া প্রয়োজন।

চিকিৎসার পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর খাবারের ভূমিকা অনেক। প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় এমন কিছু খাবার রাখতে হবে যেগুলো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি। এগুলো আমাদের শরীরে ইমিউনিটি বাড়াতে সাহায্য করে। যেমন-

১. ভিটামিন-‘সি’সমৃদ্ধ খাবার- লেবু, আমলকী, কমলা, মাল্টা, জাম, জাম্বুরা। পাশাপাশি ভিটামিন-সি সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করা যেতে পারে। ২. জিংকসমৃদ্ধ খাবার যেমন-মাছ, মাংস, ডিম, দুধ এবং প্রয়োজনে জিংক সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করা যাবে। ৩. ভিটামিন-‘ডি’সমৃদ্ধ খাবার করোনায় খুব গুরুত্বপূর্ণ। যাদের ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি রয়েছে, তাদের উচিত বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুয়ায়ী ভিটামিন-ডি সাপ্লিমেন্ট নেওয়া।

প্রতিদিন ১০-১৫ মিনিট রোদের আলোতে থাকার চেষ্টা করা। ৪. মধু ও কালোজিরা খাওয়া। এতে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা আমাদের ইমিউনিটি বাড়ায় এবং প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ৫. আদা ভেষজ ওষুধ হিসাবে ব্যবহার করা হয়। হাঁপানি ও ফুসফুসের সংক্রমণ রোধে সাহায্য করে। করোনা মোকাবিলায় প্রতিদিন আদার পানি কিংবা আদা-চা খাওয়ার অভ্যাস করা উচিত। ঠাণ্ডা খাবার পরিহার করে যতটা সম্ভব কুসুম গরম পানি এবং গরম খাবার গ্রহণ করতে হবে। সবাইকে সচেতন হতে হবে এই মহামারি পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হলে।

ডা. সাবিহা হাসান : ইনডোর মেডিকেল অফিসার, ঢাকা সেন্ট্রাল ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com