আসন্ন মূলধারার নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ-পুর্বাঞ্চলীয় জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের ডিসট্রিক্ট ৪১ আসনে স্টেট সিনেটর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন জর্জিয়া বাংলাদেশ সমিতির সাবেক সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন।
তিনি জর্জিয়ার রাজ্যের মেট্রো আটলান্টার ডিকাব কাউন্টি ও গুইনেট কাউন্টির লরেন্সভিল, লিলবার্ন ও টাকার শহরের আংশিক অঞ্চল নিয়ে গঠিত আসন থেকে আগামী ২০২০ জাতীয় নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির টিকেট লাভে আগামী ১৯ মে তারিখে অনুষ্ঠেয় প্রাইমারী নির্বাচনে অংশ নেবেন। প্রথা অনুসারে, ওই প্রাইমারীতে দলীয় অন্যান্য প্রার্থীদের মধ্য থেকে সর্বোচ্চ ভোটে জয়ী হতে পারলেই তিনি আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির দলীয় প্রার্থী হিসেবে প্রতিপক্ষ রিপাবলিকান প্রার্থীর সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার যোগ্যতা অর্জন করবেন। তবে সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, আসন্ন প্রাইমারীতে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নির্বাচিত বর্তমান স্টেট সিনেটর স্টিভ হ্যানসন পুনঃ নির্বাচনে অংশ না নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে জাহাঙ্গীরের নির্বাচনী প্রচারণার শুভ কামনা করেছেন। জাহাঙ্গীর ছাড়া ডেমোক্র্যাটিক পার্টির আর কোন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীই এপর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থিতা ঘোষণা দেয়নি। অবশ্য কোন কোন মাধ্যম থেকে নিকি ও ওয়াই টি’র নাম প্রার্থী হিসেবে শোনা গেলেও সে সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আর অন্যদিকে রিপাবলিকান পার্টির পক্ষ থেকে বরাবরের মতো এবারও কোন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন না বলে জানা গেছে। স্মরণ করা যেতে পারে, ওই আসনে বিগত ২২ বছর ধরে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির আধিপত্যের কারণে রিপাবলিকানরা ভোট যুদ্ধ থেকে বরাবর দূরেই রয়েছে। ফলে এই হিসেব অনুযায়ী, আর কোন প্রার্থী আসন্ন প্রাইমারীতে অংশ না নিলে ডিসট্রিক্ট ৪১ আসনে জাহাঙ্গীরই হবেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত স্টেট সিনেটর এবং প্রথম বাংলাদেশি স্টেট সিনেটর শেখ রহমানের পর মূলধারার রাজনীতিতে তিনি হবেন দ্বিতীয় বাংলাদেশি জনপ্রতিনিধি। তবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার বিষয়টি আগামী মার্চ মাসের আগে নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।
এদিকে জাহাঙ্গীরকে আনুষ্ঠানিক সমর্থন দিয়েছেন ওই আসনের ক্লার্কস্টন শহরের পুনঃ নির্বাচিত উপ মেয়র মোহাম্মদ ইয়াসু, একই শহরের নির্বাচিত কাউন্সিল ওমেন লওরা হকিন্স, ডেব্রা জেনসন, সিরিয়ান কমিউনিটি নেতা ফাতেমা হিজ্জি, ইথিওপিয়ান নেতা আমিনা ওসমান, নেপালী কমিউনিটি নেতা ললিতাসহ বেশ কয়েকজন অভিবাসী সংগঠক। ওই আসনে বসবাসকারী বাংলাদেশি ও ভারতীয় উপমহাদেশীয় ভোটাররাও জাহাঙ্গীরের নির্বাচনী প্রচারনায় জোরে শোরে মাঠে নেমেছেন। জাহাঙ্গীর জর্জিয়া বাংলাদেশ সমিতির বিভিন্ন সময়ে কার্যকরী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সাধারণ সম্পাদক এবং সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া রিয়েলেটর ব্যবসায়ী হিসেবে তাঁর পরিচিতি রয়েছে। দারুস সালাম মসজিদ ও জর্জিয়া ইসলামিক ইনইস্টিটিউট অব লরেন্সভিলের সেচ্ছাসেবক হিসেবেও জাহাঙ্গীর হোসেন মুসলিম কমিউনিটিতে সক্রিয় ভূমিকা রেখে যাচ্ছেন।
ইতিমধ্যে তার নির্বাচনী প্রচারণায় ক্যাম্পেইন চেয়ারম্যান হিসেবে জর্জিয়া বাংলাদেশ সমিতির সাবেক সভাপতি রেজা করিম ও সমন্বয়ক হিসেবে জর্জিয়া ককার্সের সভাপতি আহমেদুর রহমান পারভেজ মাঠে নেমেছেন বলে জাহাঙ্গীর জানান।