বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫, ০৮:৫৬ পূর্বাহ্ন

জনসম্মুখে গাদ্দাফির ছেলে, প্রেসিডেন্ট হওয়ার ইঙ্গিত!

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ৩১ জুলাই, ২০২১
  • ১১৭ বার

আগামীতে লিবিয়ার নেতৃত্ব দিতে চান দেশটির সাবেক স্বৈরশাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফির একমাত্র জীবিত ছেলে সাইফ আল ইসলাম।

সম্প্রতি নিউইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে লিবিয়া এবং নিজের বিষয়ে নানা পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন তিনি।

২০১১ সালের নভেম্বরে লিবিয়ার সাবেক বিদ্রোহী গোষ্ঠী আজমি আল-আতিরি সাইফ গাদ্দাফিকে আটক করে এবং তখন থেকে সাইফ এ গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রিত কারাগারে আটক ছিলেন।

সাংবাদিক সাইফকে জিজ্ঞেস করেন, তিনি বন্দী কি না। জবাবে সাইফ বলেন, তিনি এখন মুক্ত এবং রাজনৈতিক ক্ষমতা ফিরে পেতে কাজ করছেন। এক দশক আগে যারা তাকে গ্রেফতার করেছিল, পরে তারা হতাশ হয়ে পড়ে। একসময় সেই বিপ্লবীরা উপলব্ধি করে, সাইফ তাদের শক্তিশালী মিত্র হতে পারে।

সাইফ বলেন, আপনি কল্পনা করতে পারেন? যারা আমাকে বন্দী হিসেবে পাহারা দিয়ে রাখার কথা ছিল, তাঁরা এখন আমার ভালো বন্ধু।

লিবিয়া সরকার অবশ্য দাবি করেছিল সাইফ গাদ্দাফি তাদের নিয়ন্ত্রিত কারাগারে রয়েছেন। ২০১৩ সালে ত্রিপোলির একটি আদালত সাইফসহ গাদ্দাফির শাসনামলের প্রায় ৩০ জন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাকে ২০১১ সালের অভ্যুত্থানের সময়কার অপরাধের জন্য অভিযুক্ত করেছে।

ওই অভুত্থানে গাদ্দাফি ক্ষমতাচ্যুত ও নিহত হন। পরে ২০১৫ সালে সাইফসহ আটজনের বিরুদ্ধে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন দেশটির একটি আদালত।

নিউইয়র্ক টাইমসকে সাইফ জানিয়েছেন লিবিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়তে চান। তিনি বলেন, আমি দশ বছর ধরে লিবিয়ার জনগণ থেকে দূরে রয়েছি। ধীরে ধীরে ফিরে আসতে হবে। জনগণের মন জয় করতে হবে।

বাবা গাদ্দাফি হত্যার পর তাকেই লিবিয়ার পরবর্তী উত্তরসূরি ভেবেছিলেন অনেকে। কিন্তু তা হয়ে উঠেনি। গাদ্দাফির সাত সন্তানের মধ্যে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন তিনজন।

২০১১ সালে বিদ্রোহীদের হাতে প্রদানমন্ত্রী গাদ্দাফি খুন হওয়ার একদিন পর সাইফও ধরে পড়েন। ২০১৭ সালে বিদ্রোহীদের কবল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর সাইফকে আর জনসমক্ষে তেমন দেখা যায়নি।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com