সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকেই মিয়ানমার একটা অস্থির সময় পার করছে। এ সরকার একদিকে যেমন দমননীতি চালিয়ে যাচ্ছে, অপরদিকে দেশের রাজনৈতিক নেতাকর্মী এবং সামরিক শাসনবিরোধী সামাজিক শক্তি, যাদের সিডিএম (সিভিল ডিজওবিডিয়েন্স মুভমেন্ট) বলা হয়, তাদের অন্তরীণ করে ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার অপপ্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে।
ইতোমধ্যে এক হাজারেরও বেশি সামরিক শাসনবিরোধী বিক্ষোভকারীকে হত্যা করেছে সামরিক জান্তা। সেই সঙ্গে কয়েক লাখ মিয়ানমারবাসী বাস্তুচ্যুত হয়েছে। অং সান সু চির দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) হাজার হাজার শীর্ষস্থানীয় নেতা ও কর্মীকে গ্রেফতার করে সামরিক শাসনবিরোধী শক্তিকে দুর্বল করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আরেকটি বিষয় লক্ষণীয়, মিয়ানমারের ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট (এনইউজি)- জাতীয় ঐক্যের সরকার-যাকে প্রবাসী সরকার বলা হচ্ছে, এ সরকারকে পর্যন্ত সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হিসাবে আখ্যায়িত করে কোণঠাসা করে রাখা হচ্ছে।
এতকিছুর পরও জান্তা সরকারের চলার পথ খুব একটা মসৃণ নয়। কারণ মিয়ানমারের সেনাশাসকরা ক্রমাগতভাবে একটি আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক চাপের মধ্যে রয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ মিয়ানমারের সামরিক সরকারের বিরোধিতা করে যাচ্ছে। যদিও মিয়ানমার প্রশ্নে আসিয়ান খুব একটা সফল হয়নি, তবুও আসিয়ানভুক্ত দেশগুলো মিয়ানমারের পরিস্থিতি নিয়ে বিশেষ বৈঠক করেছে।
এ বৈঠক থেকে মিয়ানমারের সামরিক সরকারকে ক্ষমতা ছেড়ে দিতে বলা হয়েছে। অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে আমরা লক্ষ করছি, পশ্চিমা দেশগুলোসহ বিশ্বের অনেক রাষ্ট্র মিয়ানমারের সামরিক অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে কথা বলেছে। এমনকি মিয়ানমারের সঙ্গে অতীতে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল এমন রাষ্ট্রও এ অভ্যুত্থানকে মেনে নেয়নি। সিঙ্গাপুর তাদের মধ্যে অন্যতম। এরূপ নানামুখী চাপ ছাড়াও জাতিসংঘের থার্ড কমিটি, সাধারণ পরিষদসহ বিভিন্ন পর্যায়ে মিয়ানমারের সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাশ করা হয়েছে।
সম্প্রতি জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে সর্বসম্মতভাবে মিয়ানমারের সামরিক জান্তাদের বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাশ করা হয়। বিশেষ করে মিয়ানমারে যে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে, রোহিঙ্গাসহ বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ওপর যে নির্যাতন-নিপীড়ন হয়েছে, তার নিন্দা জ্ঞাপন করেই এ প্রস্তাবটি পাশ করা হয়েছে। এখানে লক্ষণীয় বিষয়টি হচ্ছে-চীন এ প্রস্তাবের কোনো বিরোধিতা করেনি। যদিও মিয়ানমারের সামরিক জান্তাদের প্রতি তাদের সমর্থন লক্ষ করা যায়, তারপরও তারা নিশ্চুপ ছিল। রাশিয়াও এ প্রস্তাবের বিরোধিতা করেনি।
এ রকম দুটি বৃহৎ শক্তি নিশ্চুপ থাকার ফলে মিয়ানমারের সামরিক সরকার আরও চাপের মুখে পড়েছে। ফলে দেশটি রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে একটা সংকটের মধ্যে আছে। এর পাশাপাশি বর্তমানে মিয়ানমারজুড়ে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু সংকটের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। হাসপাতালগুলোতে প্রতিদিনই ভর্তি হচ্ছে শত শত করোনা রোগী।
এতকিছুর পরও মিয়ানমারের সামরিক জান্তা একটুও দমিত হচ্ছে না। তাদের দৃষ্টিভঙ্গিতে বড় ধরনের কোনো পরিবর্তন ঘটছে না। তারা তাদের দাম্ভিকতা নিয়েই ক্ষমতার মসনদ আঁকড়ে আছে। তবে এ রকম একটা পরিস্থিতির মধ্যে সামরিক জান্তা কতদূর এগোতে পারবে, তা নিয়ে প্রশ্ন এসে যায়। যদিও তারা এক ধরনের শক্তি প্রদর্শন করে যাচ্ছে এবং দেশের ভেতরে তাদের দমননীতি, নির্যাতন, হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে। সব চাপ অগ্রাহ্য করে তারা তাদের ক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী করার চেষ্টা করছে।
এমনকি এক পর্যায়ে তারা তাদের নিজেদের তৈরি করা ইলেকশন কমিশন পুনর্গঠিত করে সেখানে এমন ব্যক্তিদের বসিয়েছে, যারা সামরিক জান্তাদের পক্ষেই কথা বলছেন। আমরা আরও লক্ষ করেছি, মিয়ানমারের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং গত নির্বাচনে ৩৯৯টি আসনে বিজয়ী দল এনএলডিকে বিলুপ্ত করে দেওয়ার অপচেষ্টাও তারা চালিয়ে যাচ্ছে।
এ ধরনের রাজনৈতিক দমন-নিপীড়ন-নির্যাতন চালিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্য হচ্ছে অতীতের মতো ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করা। ১৯৬২ সালে যেভাবে সামরিক অভ্যুত্থান ঘটিয়ে ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করা হয়েছিল, এবারেও সেই চেষ্টাই করা হচ্ছে। বস্তুত ৫০ বছরেরও অধিক সময় ধরে ক্ষমতায় থাকার যে ঐতিহ্য, তা ধরে রাখার স্বপ্ন দেখছে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা। দীর্ঘ ৫০ বছরের ক্ষমতার শেষ পর্যায়ে তারা অং সান সু চির সঙ্গে ক্ষমতা কিছুটা ভাগাভাগি করলেও মূল ক্ষমতা তাদের হাতেই ছিল।
এখন যেহেতু একটি পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আবার নতুন করে সামরিক অভ্যুত্থান ঘটিয়ে তারা ক্ষমতায় এসেছে, সেহেতু তারা মনে করছে সহজেই ক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী করতে পারবে। মিয়ানমার সম্পর্কে অনেক বিশেষজ্ঞ বলে থাকেন, দেশটির সামরিক বাহিনী এত শক্তিশালী যে কোনো ধরনের রাজনৈতিক শক্তি তাদের পরাস্ত করতে পারবে না। কারণ প্রতিবেশী রাষ্ট্র চীনের ব্যাপক সমর্থন, এমনকি ভারতের সমর্থনও সামরিক জান্তার প্রতি আছে। ফলে এ রকম একটি বাস্তবতায় তারা এগিয়ে যাচ্ছে।
তবে অন্যান্য সময়ের চেয়ে এবার কয়েকটি বিষয়ে ভিন্নতা রয়েছে। আমরা লক্ষ করছি, বর্তমানে সামরিক অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে যে ধরনের বিক্ষোভ, প্রতিবাদ, আন্দোলন হচ্ছে, সেটি মিয়ানমারের ইতিহাসে বিরল। অতীতেও সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন হয়েছে। যেমন, নব্বইয়ের দশকে যখন একইভাবে নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে সামরিক শাসকরা ক্ষমতা কুক্ষিগত করার চেষ্টা করেছে, তখনও ছাত্র আন্দোলন হয়েছে, প্রতিবাদ হয়েছে; তবে সে প্রতিবাদ খুব একটা স্থায়ী হয়নি।
কিন্তু এবারের যে প্রতিবাদ আমরা লক্ষ করছি, সেটি অনেক ব্যাপক। কারণ এবারের আন্দোলনে শুধু ছাত্ররাই নয়, বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন যুক্ত হয়েছে এবং এ আন্দোলন চারদিকে ছড়িয়ে দিচ্ছে। এটি একটি নতুন দিক। আরেকটি দিক হচ্ছে, এবারের আন্দোলনের মধ্যে আমরা লক্ষ করছি, মিয়ানমারের বিভিন্ন জাতিগত গোষ্ঠীও সামরিক শাসকদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। এ মুহূর্তে যেসব সামরিক সংঘাত ঘটছে, তা মূলত প্রাচীন শক্তিশালী যে জাতিগত গোষ্ঠীগুলো আছে তাদের সঙ্গেই ঘটছে এবং এ কারণে সামরিক শাসকরা অতীতের চেয়ে অনেকটা দুর্বল অবস্থানে রয়েছে।
মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর অনেক সদস্য এ সংঘাতে প্রাণ হারিয়েছেন। তাদের অনেক শক্তিও ক্ষয় হয়েছে। এই সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে একটি প্রবাসী ছায়া সরকারও গঠিত হয়েছে। এমনকি এ ছায়া সরকার রোহিঙ্গাদের ব্যাপারেও ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করছে এবং ভবিষ্যতে তারা ক্ষমতায় গেলে রোহিঙ্গাদের দেশে ফিরিয়ে নিয়ে তারা তাদেরকে নাগরিকত্ব প্রদান করবে বলে জানিয়েছে। এটা অবশ্যই বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের জন্য একটি ইতিবাচক দিক। সার্বিক বিষয় পর্যালোচনায় বলা যায়, মিয়ানমারের সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে ঘরে ও বাইরে একটি শক্তিশালী অবস্থান তৈরি হয়েছে।
এতকিছুর পরও সামরিক সরকার তাদের ক্ষমতা ও প্রভাব প্রদর্শন করেই যাচ্ছে। অবশ্য এর কারণও রয়েছে-সামরিক বাহিনীর দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার পূর্ব অভিজ্ঞতা এবং মিয়ানমারের সমাজের ভেতরে ‘ত্রিনিটি’ নামে একটি শক্তির অবস্থান। এসব শক্তির বলেই তারা এতসব করতে পারছে। ‘ত্রিনিটি’ মানে হচ্ছে, তিনটি পক্ষের একটি ঐক্য। এ তিনটি পক্ষ সবসময়ই একসঙ্গে কাজ করে। পক্ষগুলো হচ্ছে-বৌদ্ধদের উগ্র ধর্মীয় গোষ্ঠী, সামরিক বাহিনী এবং একইসঙ্গে উগ্র জাতীয়তাবাদী গোষ্ঠী। তারা একসঙ্গে যে কোনো জাতিগত গোষ্ঠী কিংবা যে কোনো ধরনের বহিঃশক্তিকে মোকাবিলা করে থাকে।
এই ত্রিনিটি শক্তি জাতীয়তাবাদের জিকির তুলে ধর্মীয় উগ্রবাদ বা ধর্মীয় শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিষ্ঠা করার ইস্যুগুলো সবসময় ব্যবহার করে থাকে। যেহেতু মিয়ানমার একটি বহুজাতিক দেশ এবং সেখানে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর বসবাস, সেহেতু স্বাভাবিকভাবেই মিয়ানমারের সামরিক জান্তারা বা রাজনৈতিক এলিটরা এটাকে সবসময় ব্যবহার করে তাদের অপশাসন কিংবা দুঃশাসন বা সামরিক শাসনকে এক ধরনের বৈধতা দিয়ে আসছে। বর্তমানেও তারা সেই কাজটিই করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তবে আগেই বলেছি, বিষয়টি এবার বিভিন্নভাবে তাদের জন্য অত্যন্ত চ্যালেঞ্জ হিসাবে দেখা দিয়েছে।
মিয়ানমার যেহেতু গত ১০-১২ বছরে এক ধরনের অর্থনৈতিক উন্নয়ন বা পরিবর্তনের দিকে যাচ্ছিল এবং সেখানে তাদের অনেক অবকাঠামো উন্নয়ন থেকে শুরু করে অনেক পরিবর্তন হচ্ছে, সেহেতু বিশ্বের একটা সুনজর ছিল মিয়ানমারের ওপর। কিন্তু সামরিক অভ্যুত্থানের পর এ উন্নয়নের গতি অনেকটা শ্লথ হয়ে গেছে। ফলে তাদের অর্থনীতি একটা বড় ধরনের চাপের মধ্যে রয়েছে। বৈশ্বিক করোনা মহামারির কারণে এ চাপ আরও বেড়ে গেছে।
এ পরিপ্রেক্ষিতে নিঃসন্দেহে আমরা বলতে পারি, অতীতে মিয়ানমারের সামরিক জান্তারা ক্ষমতা দখল করে যত সহজে তাদের অবস্থান সুসংহত করতে পেরেছিল এবং দীর্ঘমেয়াদে দেশ শাসন করতে পেরেছিল, এবারে হয়তো সেটি সম্ভব হবে না। এবার জান্তাবিরোধী বিক্ষোভের যে তীব্রতা দেখা যাচ্ছে, সেটি অবশ্যই সামরিক জান্তাদের জন্য হুমকিস্বরূপ। যদিও এখন পর্যন্ত এ বিক্ষোভ তেমন কোনো চূড়ান্ত অবস্থায় যায়নি, তবে এটা আমরা বলতে পারি, মিয়ানমারের সামরিক শাসকরা খুব একটা ভালো অবস্থায় নেই। তাদের সামনের দিনগুলো নিঃসন্দেহে খুব একটা সুখকর হবে না।
তাছাড়া মিয়ানমারের রাজনৈতিক নেতারা, যারা একসময় তাদের সঙ্গে ছিল এবং জনগণের মধ্যে যাদের ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে, তাদের এভাবে অন্তরীণ রাখা সামরিক জান্তার জন্য সুখকর কোনো বিষয় নয়। বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কল্যাণে এখন জনগণের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদকে যেভাবে ছড়িয়ে দেওয়া সম্ভব হয়েছে, সেটি অতীতে সম্ভব হয়নি, আশি-নব্বইয়ের দশকেও সম্ভব হয়নি। কাজেই অনেকগুলো বিষয় এই সেনাশাসকদের প্রতিকূল অবস্থায় রেখেছে।
তবে আসিয়ান এককভাবে মিয়ানমারের সেনাশাসকদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে পারছে না, কারণ আসিয়ান সদস্যদের মধ্যে দ্বিমত আছে। অতীতে সিঙ্গাপুরসহ অনেক দেশ মিয়ানমার সরকারকে সমর্থন দিয়েছিল। এমনকি জাপান ও কোরিয়ার মতো রাষ্ট্রও মিয়ানমারের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেছিল। তারাও এবার সেনাশাসকদের বিরুদ্ধে পরিষ্কারভাবে অবস্থান নিয়েছে। ফলে মিয়ানমার কূটনৈতিকভাবে একটা বিচ্ছিন্ন অবস্থার মধ্যে আছে। অপরদিকে চীনও নিজেই কোয়াড ও পশ্চিমা দেশগুলোর কাছ থেকে একটা কূটনৈতিক চাপের মধ্যে আছে।
কারণ মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী রোহিঙ্গা গণহত্যা ও জাতিগত নিধনে অংশ নিয়েছে; আর এমন রাষ্ট্রকে সমর্থন করা চীনের মতো রাষ্ট্রের জন্য বড় ধরনের একটি নৈতিক পরাজয়। এসব বাস্তবতার কারণে মিয়ানমারের সামরিক জান্তার ওপর চীনের দিক থেকেও অন্যরকম একটা চাপ আছে। চীন পশ্চিমা বিশ্বের কিংবা জাতিসংঘের প্রস্তাবকে সমর্থন না করলেও তাদের দিক থেকে তারা হয়তো কিছুটা চেষ্টা করছে কীভাবে মিয়ানমারে একটা স্থিতিশীলতা আনা যায়। তবে সামরিক বাহিনী সহজেই হয়তো ক্ষমতা ছাড়বে না, যদিও তাদের ভবিষ্যৎ যে খুব নিরাপদ এবং তারা অতীতের মতো নির্বিঘ্নে ক্ষমতা ভোগ করতে পারবে, সেটাও মনে হয় না।
ড. দেলোয়ার হোসেন : অধ্যাপক, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়