চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার আলীগঞ্জ হাইস্কুলের খন্ডকালীন শিক্ষক শাহেদুল ইসলাম শাহেদ। হার্টে দুইটি ব্লক নিয়ে এখন রাজধানীর হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন রয়েছে। অর্থাভাবে চিকিৎসা হচ্ছে না বিধায় মা মাফিয়া বেগম এখন দিশেহারা।
হাজীগঞ্জ পৌরসভার কংগাইশ পশ্চিমপাড়া মাদ্রাসা বাড়ির মৃত হোসেন মিয়ার দ্বিতীয় ছেলে শাহেদ। নবম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় সে বাবাকে হারায়। তারপর বড় ভাই মারা যান। নয় সদস্যের পরিবারের গ্লানি টানতে দায়ভার পড়ে এই শাহেদের ওপর। পড়ালেখার পাশাপাশি শুরু করে টিউশনী।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত ২৫ নভেম্বর বুকে ব্যাথা নিয়ে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়। তারপর কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। সেখান থেকে হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে। পরীক্ষা-নিরিক্ষা শেষে হার্টের দুইটি ব্লক ধরা পড়ে। এর একটি ৯০ শতাংশ অকেজো হয়ে পড়েছে বলে নিশ্চিত করেন চিকিৎসক। চিকিৎসার যাবতীয় খরচ প্রয়োজন প্রায় চার লাখ টাকা। সংগ্রামী ও মেধাবী ছাত্র শাহেদ হাজীগঞ্জ মডেল কলেজ থেকে ব্যবস্থাপনা বিষয়ে অনার্স শেষ করে। সে চাঁদপুর সরকারি কলেজে মাস্টার্সে অধ্যায়নরত। সংসারে তিনবোন ও মাসহ তিন ভাতিজা-ভাতিজি ও ভাবীর ভরণ-পোষণের দায়িত্ব নেয়া এই শাহেদ এখন মৃত্যু শয্যায়।
শাহেদের মা মাফিয়া বেগম বলেন, আমার সোনার টুকরা ছেলে শাহেদ। তার বাবার অবর্তমানে সেই একমাত্র অভিভাবক। গত কয়েকদিন না খেয়ে কোন রকম জীবন যাপন করছি। আমার শাহেদ আজ মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। শাহেদকে বাঁচাতে সবার সহযোগিতা চাই। আপনারা আমার শাহেদকে বাঁচাতে এগিয়ে আসুন।
উল্লেখ্য, শাহেদকে সহযোগিতা করতে বিকাশ- ০১৬৮৭১৯৪৩১০ অথবা রকেট ০১৬৮০৪০৯৬৭৮০। শাহেদের পরিবারের সাথে যোগাযোগে করতে চাইলে ০১৮১২৮১১৯২৭।