বর্তমান বিশ্বের অনন্য এক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মতোই তার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা এক সাহসী রাজনৈতিক প্রতিভা। তার দূরদর্শী নেতৃত্ব ও মানবিক রাষ্ট্রদর্শন বাংলাদেশের ভূগোল পেরিয়ে আজ সারা পৃথিবীর মানুষের কাছে স্বীকৃত। শেখ হাসিনার গতিশীল ও সাহসী নেতৃত্বের কারণে বিশ্বমানবের কাছে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোলমডেল হিসেবে আখ্যায়িত। দারিদ্র্য দূরীকরণ, পৃথিবীর সুরক্ষা এবং সবার জন্য শান্তি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করাই রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার প্রাতিস্বিক রাজনৈতিক দর্শন। এ রাজনৈতিক দর্শন এই প্রাতিস্বিক বিশ্ববীক্ষাকে বাস্তব রূপ দেওয়ার জন্য শেখ হাসিনা যেসব উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন, সেখানে প্রতিভাত হয়েছে তার বহুমাত্রিক সমাজ ও রাজনৈতিক দর্শন।
শেখ হাসিনার বহুমাত্রিক সমাজ রাজনৈতিক দর্শনকে দেশিক ও বৈশ্বিক- এ দুভাবেই অবলোকন করা যেতে পারে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার জন্য শেখ হাসিনা যেসব উদ্যোগ জাতীয় পর্যায়ে গ্রহণ করেছেন, তার মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য- একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প, আশ্রয়ণ প্রকল্প, ডিজিটাল বাংলাদেশ, শিক্ষা-সহায়তা কর্মসূচি, নারীর ক্ষমতায়ন, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, কমিউনিটি ক্লিনিক ও মানসিক স্বাস্থ্য, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি, বিনিয়োগ বিকাশ এবং পরিবেশ সুরক্ষা কর্মসূচি। এসব উদ্যোগ ও কর্মসূচির সফল বাস্তবায়নের ফলে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে মধ্যম আয়ের দেশের কাতারে উঠে এসেছে। বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু বার্ষিক আয় এখন দুই হাজার মার্কিন ডলারেরও ওপরে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নতি পৃথিবীর সেরা অর্থনীতিবিদদের কাছে একটা রহস্য বলে মনে হচ্ছে। অনেকেই বাংলাদেশকে এখন মিরাকল (অলৌকিক) অর্থনীতির দেশ হিসেবে আখ্যায়িত করছেন। এমনকি পাকিস্তানের সংসদে এমন কথা উচ্চারিত হয় যে, কীভাবে সামাজিক-অর্থনৈতিক উন্নতি করতে হয়, সেজন্য শেখ হাসিনার বাংলাদেশের দিকে তাকালেই চলে।
শেখ হাসিনার দূরদর্শী রাজনৈতিক দর্শন থেকে উদ্ধৃত একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প বাংলাদেশের সামাজিক অগ্রগতিতে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছে। তার এই প্রকল্পের মূল কথা- ‘দিন বদলের স্বপ্ন আমার, একটি বাড়ি একটি খামার।’ এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য হলো গ্রামীণ মানুষের নিজস্ব পুঁজি গঠন ও তা বিনিয়োগ করে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি এবং দারিদ্র্য বিমোচন। এই প্রকল্পের আওতায় সমগ্র বাংলাদেশে পঞ্চাশ হাজারের মতো গ্রাম উন্নয়ন সমিতি গড়ে উঠেছে। শেখ হাসিনার প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে সুনির্দিষ্ট পথরেখার (রোডম্যাপ) আলোকে এসব সমিতি গ্রাম উন্নয়নে দূরদর্শী ভূমিকা পালন করে চলেছে।
বঙ্গবন্ধু-আত্মজা শেখ হাসিনার একটি অনন্য উদ্যোগ আশ্রয়ণ প্রকল্প। নানামাত্রিক প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও নদীভাঙনে ছিন্নমূল অসহায় পরিবারের পুনর্বাসনই এ প্রকল্পের মূল লক্ষ্য। ঘূর্ণিদুর্গত মানুষের জন্য নোয়াখালীর রামগতিতে বঙ্গবন্ধু গড়ে তুলেছিলেন ‘গুচ্ছগ্রাম’। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৯৭ সালে শেখ হাসিনা গ্রহণ করেন আশ্রয়ণ প্রকল্প। স্থানীয় প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর সহায়তায় এই প্রকল্পের আওতায় ছিন্নমূল লাখ লাখ পরিবার পেয়েছে স্থায়ী আবাসন। কেবল স্থায়ী আবাস নয়, দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে ঋণ প্রদান এবং নানা ধরনের প্রশিক্ষণ দানের মাধ্যমে স্বাবলম্বী করে তোলাও শেখ হাসিনার আশ্রয়ণ প্রকল্পের অন্যতম লক্ষ্য।
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে শেখ হাসিনা গ্রহণ করেন সময়োচিত এক কর্মসূচি- ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’। ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রকল্প ‘রূপকল্প : ২০২১’ বাস্তবায়নের প্রধান সহায়ক শক্তি। শেখ হাসিনার এই কর্মসূচির ফলে বাংলাদেশ নানা ক্ষেত্রে দৃশ্যমান অগ্রগতি সাধন করেছে। করোনা মহামারীর সময়খ-ে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ কর্মসূচির সুফল বাংলাদেশের মানুষ উপলব্ধি করতে পেরেছে। সাধারণ মানুষের কাছে অনলাইন রাষ্ট্রীয় সেবা পৌঁছে দেওয়া এ প্রকল্পের মূল লক্ষ্য। এই কর্মসূচির মাধ্যমে ভোগান্তিহীন, দুর্নীতিমুক্ত ও স্বচ্ছতার সঙ্গে স্বল্পতম সময়ের মধ্যে জনগণের কাছে তথ্যসেবা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। এখন ঘরে বসেই অনলাইনে সব কাজ করার দুঃসাহস দেখাচ্ছে বাংলাদেশ। শিক্ষাক্ষেত্রেও ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রকল্পের সদর্থক প্রভাব আজ ব্যাপকভাবে দৃশ্যমান। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষার হার শতভাগে উন্নীত করা এবং সব স্তরে শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধি করা শেখ হাসিনা উদ্ভাবিত শিক্ষা-সহায়তা কর্মসূচির মূল লক্ষ্য। এই কর্মসূচির মাধ্যম সনদধারী তথাকথিত শিক্ষিত নয়, বঙ্গবন্ধুকল্পিত আলোকিত মানুষ গড়ার কথা ভেবেছেন শেখ হাসিনা। এই প্রকল্পের আওতায় দেশের সব শিশুকে স্কুলে আনয়ন, মাধ্যমিক পর্যায়ে বিনামূল্যে পাঠ্যবই সরবরাহ, মেয়েদের বিনা বেতনে অধ্যয়নের সুযোগ প্রদান, মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা-সহায়তা বৃত্তি প্রদান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পর্যায়ক্রমে জাতীয়করণ এবং আইটিনির্ভর, শিক্ষাব্যবস্থা প্রবর্তনসহ শ্রেণিকক্ষগুলোয় মাল্টিমিডিয়া ও ইন্টারনেট সংযোগ নিশ্চিত করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।
শেখ হাসিনার একটি উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক দর্শন নারীকে ক্ষমতার মূল স্রোতে নিয়ে আসা। নারীর প্রত্যাশিত ক্ষমতায়নে শেখ হাসিনা পালন করে চলেছেন অনন্য ভূমিকা। রাষ্ট্রের সর্বক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি নারীর প্রতি বৈষম্য দূর করার জন্য নারীর ক্ষমতায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন শেখ হাসিনা। এ উদ্দেশ্যে তিনি প্রণয়ন করেছেন ‘জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতিমালা ২০১১।’ জাতীয় প্রবৃদ্ধি অর্জন, দারিদ্র্য বিমোচন এবং দেশের আর্থসামাজিক ও মানব উন্নয়নে অন্যতম চালকশক্তি বিদ্যুৎ। ২০০৯ সালে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসেই শেখ হাসিনা ‘ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ’ কর্মসূচি গ্রহণ করেন। তার দূরদর্শী ও সাহসী সিদ্ধান্তের ফলেই দেশের সর্বত্র এখন বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে। বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে বিদ্যুতের উৎপাদন। প্রচলিত ব্যবস্থার পাশাপাশি সৌরবিদ্যুৎ, উইন্ডমিল ও বায়োগ্যাস থেকে এখন বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে। তার সাহসী সিদ্ধান্তের ফলেই বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো পরমাণু বিদ্যুতের জগতে প্রবেশ করতে যাচ্ছে। গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবার জন্য শেখ হাসিনা গ্রহণ করেছেন ‘কমিউনিটি ক্লিনিক ও মানসিক স্বাস্থ্য প্রকল্প।’ দেশের সব মানুষের জরুরি প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করাই এ কর্মসূচির মূল লক্ষ্য। মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবার মান বৃদ্ধিতে এই প্রকল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। শেখ হাসিনার অনন্য এক মানবিক প্রকল্প ‘সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি।’ বয়স্ক ও শারীরিকভাবে অক্ষম জনগোষ্ঠীর আর্থসামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, বিধবা এবং স্বামী পরিত্যক্ত নারীদের আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও সামাজিক নিরাপত্তা বিধান, গ্রামীণ দরিদ্র নারীদের স্বাস্থ্য-পুষ্টি শিক্ষা সম্পর্কে উদ্বুদ্ধকরণ- এসবই শেখ হাসিনার সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির মূল লক্ষ্য। এই কর্মসূচির আওতায় অসচ্ছল প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্য মাসিক ভাতার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভূমিহীন ছিন্নমূল মানুষরাও এই কর্মসূচি থেকে আর্থিক সাহায্য পেয়ে থাকেন।
সরকারের দায়িত্ব নিয়েই শেখ হাসিনা দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য অনেক যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ, যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়ন, মহাসড়কগুলো চার লেনে বিস্তৃতকরণ, সেতু-কালভার্ট-ফ্লাইওভার নির্মাণ, অনেক রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল সৃষ্টি- এসব উদ্যোগের কারণে বৈদেশিক বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে এগিয়ে এসেছেন। সমুদ্রবন্দরগুলো উন্নত ও আধুনিক করা হয়েছে, পদ্মা সেতুর কাজ শেষপর্যায়ে, গভীর সমুদ্রবন্দরের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলেছে, এগিয়ে চলেছে কর্ণফুলী নদীতে বঙ্গবন্ধু টানেল নির্মাণের কাজ। বৈদেশিক বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে এসব উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
পরিবেশ সুরক্ষায় শেখ হাসিনার ভূমিকা সারাবিশ্বে অবিশ্বাস্য প্রশংসা অর্জন করেছে। এজন্য তিনি অর্জন করেছেন জাতিসংঘের পরিবেশবিষয়ক সর্বোচ্চ সম্মাননা ‘চ্যাম্পিয়ন্স অব দ্য আর্থ পুরস্কার’। শেখ হাসিনার ‘পরিবেশ সুরক্ষা’ কর্মসূচির মূল লক্ষ্য হচ্ছে প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ, জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলা, গবেষণা ও উদ্ভিজ্জ জরিপ এবং বনজসম্পদ উন্নয়নের মাধ্যমে মানববান্ধব পরিবেশ ও বনাঞ্চল নিশ্চিতকরণ। এই কর্মসূচির প্রধান উদ্দেশ্যই হচ্ছে বনজসম্পদ উন্নয়ন, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও বনভূমির পরিমাণ সম্প্রসারণ।
বৈশ্বিক পর্যায়েও শেখ হাসিনা তার অনন্য মেধা এবং প্রাতিস্বিক রাষ্ট্রদর্শনের স্বাক্ষর রেখে চলেছেন। যে কোনো বৈশ্বিক সভায় তার প্রস্তাব, অভিমত, চিন্তাধারা বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হচ্ছে। গৃহীত হচ্ছে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় তার প্রস্তাব। আঞ্চলিক শান্তির স্বার্থেই রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রতি তার মানবিক ভূমিকা বিশ্বব্যাপী নন্দিত হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষেত্রে শেখ হাসিনার সুদূরপ্রসারী উদ্যোগের জন্য জাতিসংঘের পলিসি লিডারশিপ শ্রেণিতে চ্যাম্পিয়ন্স অব দ্য আর্থ পুরস্কার তার বৈশ্বিক চেতনারই অভ্রান্ত স্বাক্ষর। জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় সুদূরপ্রসারী পদক্ষেপ গ্রহণ করে কীভাবে এগিয়ে যেতে হয়, সে সাহস ও কৌশল তিনি বিশ্বকে দেখিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে শেখ হাসিনার অর্জন বিশ্বের মানুষের কাছে অনুসরণীয় দৃষ্টান্তে পরিণত হয়েছে। জাতিসংঘের ৭০তম অধিবেশনে এসডিজি অর্জন সম্পর্কে শেখ হাসিনার বক্তব্য, আইসিটি টেকসই উন্নয়নে ভূষিত হওয়া, সক্ষমতাসূচকে বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়া- সবই শেখ হাসিনার বৈশ্বিক নেতৃত্বের অনন্য দৃষ্টান্ত। শেখ হাসিনার নেতৃত্বগুণ বিশ্ব রাজনীতিতে সঞ্চার করেছে নবতর মাত্রা।
জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) অর্জনে সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ অতিসম্প্রতি এসডিজি অগ্রগতি পুরস্কার অর্জন করেছেন। বিশ্বসভার সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সলিউশন নেটওয়ার্ক (এসডিএসএন) এই পুরস্কার প্রদান করে। দারিদ্র্য দূরীকরণ, পৃথিবীর সুরক্ষা, মানব উন্নয়ন এবং সবার জন্য শান্তি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ গ্রহণের সর্বজনীন আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাংলাদেশকে সঠিক পথে এগিয়ে নেওয়ার জন্য শেখ হাসিনাকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়। এই পুরস্কার তার বৈশ্বিক উদ্যোগেরই অনন্য স্বীকৃতি। কোভিড-১৯ দুর্যোগ থেকে স্থায়ীভাবে উত্তরণ নিশ্চিত করে ২০৩০ সাল নাগাদ এসডিজি অর্জনের জন্য শেখ হাসিনা বৈশ্বিক পথরেখার যে প্রস্তাব উত্থাপন করেন, বিশ্বের রাষ্ট্রনায়করা তা সদর্থক দৃষ্টিভঙ্গিতে গ্রহণ করেছেন।
বাংলাদেশের অনন্য গৌরব- এ দেশের মৃত্তিকায় জন্ম নিয়েছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধু কেবল বাঙালির নেতা ছিলেন না, ছিলেন বিশ্বের শোষিত মানুষের মহান নেতা। বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথ অনুসরণ করে তার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা বহুমাত্রিক প্রতিভাগুণে পিতার মতোই আজ বিশ্ব নেতৃত্বের আসনে উন্নীত। তার জাদুকরী হাতের ছোঁয়ায় জেগে উঠেছে বাংলাদেশ, জেগে উঠছে তৃতীয় বিশ্বের দরিদ্র দেশগুলো। শেখ হাসিনার রূপকল্প-২০৪১ বাংলাদেশকে উন্নত দেশের কাতারে নিয়ে যাবে এ আমাদের বিশ্বাস এবং সে লক্ষ্যেই এখন দেশপ্রেমিক সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে, মেধা-মনন-ত্যাগ ও সততা নিয়ে কাজে নিমগ্ন হতে হবে।
ড. বিশ্বজিৎ ঘোষ : প্রাবন্ধিক, গবেষক ও অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়