কুমিল্লার বুড়িচংয়ের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাবিনা ইয়াছমিনকে আপু নয়, মা ডাকতে বলেছেন তিনি। স্থানীয় এক ব্যবসায়ী তাকে আপু বলে সম্বোধন করায় তিনি রেগে গিয়ে তাকে আপু নয়, মা ডাকতে বলেন। এ সময় তিনি ওই ব্যবসায়ীর প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
গতকাল সোমবার দুপুরে বুড়িচং ইউএনও’র কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী জামাল উদ্দিন (৪৫) বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে শেয়ার করলে মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়।
ফেসবুক পোস্টে জামাল উদ্দিন লিখেছেন, ‘সরকারি কর্মকর্তাদেরকে সাধারণ জনগণ “স্যার” বলতে হবে এটা কি বাধ্যতামূলক? এ বিষয়ে সরকারের কোনো আইন আছে কি? ফ্যাক্ট: বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ‘আপা’ বলার কারণে খুব রাগান্বিত হয়েছেন। এটা নাকি অফিস অ্যাড্রেস না। আপা না বলে মা ডাকতাম। আমি লজ্জিত। দেশটা কি মগের মুল্লুক?’
এ বিষয়ে আজ মঙ্গলবার বিকেলে জামাল উদ্দিন বলেন, ‘গতকাল সোমবার দুপুরে আমার এক আত্মীয়ের জন্মনিবন্ধন সংশোধনের জন্য আমি ইউএনও কার্যালয়ে যাই। “স্যার” সম্বোধন করে ওনার সঙ্গে আমার কথা শুরু হয়। কথা বলার এক পর্যায়ে অপ্রত্যাশিতভাবে আমার মুখ থেকে “আপা” শব্দটি বের হয়। এ সময় তিনি রেগে গিয়ে বলেন, ‘এটাতো অফিসিয়াল ভাষা না। তাহলে আপা না ডেকে মা ডাকেন। বিষয়টি নিয়ে আমি বিব্রত। আমি লজ্জিত। যার ফলে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছি।’
এ বিষয়ে ইউএনও সাবিনা ইয়াছমিন বলেন, ‘একজন বয়স্ক লোক এসে আমাকে “আপু” ডেকেছে। আমি তাকে বলেছি, “আপনি আমার বাবার বয়সী, “মা” ডাকেন। বয়স্ক লোক “মা” ডাকবে এটা স্বাভাবিক। আপু ডাকলে বুঝতে হবে তার চরিত্রে সমস্যা আছে। যার চরিত্রগত সমস্যা আছে, সে মেয়ে দেখলেই আপু ডাকে। এটা বুঝতে হবে। যার এক পা কবরে চলে গেছে, সে আমাকে আপু ডাকলে অবশ্যই আমার আপত্তি আছে।’
প্রসঙ্গত, বুড়িচংয়ের ইউএনও সাবিনা ইয়াছমিন বিসএস ৩৩ ব্যাচের কর্মকর্তা। তিনি ২০২০ সালের ১১ সেপ্টেম্বর বুড়িচংয়ে যোগ দেন।