দেশে সার্বিক দারিদ্র্যের হার ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ২০ দশমিক ৫ শতাংশে নেমে এসেছে। আর অতি দারিদ্র্যের হার নেমেছে ১০ দশমিক ৫ শতাংশে। মঙ্গলবার শেরেবাংলানগর এনইসি সম্মেলনক্ষে একনেক সভাশেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যাণ ব্যুরোর (বিবিএস) প্রাক্কলিত হিসাবে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে সার্বিক দারিদ্র্যের হার ছিল ২১ দশমিক ৮ শতাংশ এবং অতি দারিদ্রের হার ছিল ১১ দশমিক ৩ শতাংশ। পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, দারিদ্রতা হ্রাস পাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সন্তোষ প্রকাশ করেন। মান্নান বলেন,দেশে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির সাথে তাল মিলিয়ে দারিদ্রতা কমেছে। উচ্চ হারে প্রবৃদ্ধি অর্জন দারিদ্র্য বিমোচনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।তবে দারিদ্র্য বিমোচনের গতি আরো বাড়াসো সম্ভব বলে তিনি মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন ,দারিদ্র্য বিমোচনের ক্ষেত্রে আমরা যে গতিতে এগুচ্ছি সেটা অব্যাহত থাকলে, ২০৩০ সালে বাংলাদেশে কোন মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে থাকবে না।
বিবিএস ২০১০ সালের খানা আয় ও ব্যয় জরিপ অনুযায়ী, তখন দেশের সার্বিক দারিদ্র্যের হার ছিল সাড়ে ৩১ শতাংশ। ২০১৬ সালের জরিপে তা কমে আসে ২৪ দশমিক ৩ শতাংশে। খানা আয় ও ব্যয় জরিপ কয়েক বছর পরপর করা হয়। মূলত খানা আয় ও ব্যয় জরিপের ওপর ভিত্তি করেই প্রতিবছর দারিদ্র্য হারের একটি অনুমিত হিসাব করে থাকে বিবিএস। সূত্র : বাসস