ভোলায় শিগগিরই প্রাকৃতিক গ্যাসের নতুন তিনটি কূপে খননকাজ শুরু হবে। এর মধ্য দিয়ে এ জেলায় মোট কূপের সংখ্যা হবে ৯টি। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, সব কূপে উত্তোলন শুরু হলে ভোলায় গ্যাসের মজুদ দ্বিগুণ হয়ে যেতে পারে।
বাপেক্সের তথ্য অনুযায়ী, ভোলার বোরহানউদ্দিনে শাহবাজপুর গ্যাস ক্ষেত্রে চারটি কূপ রয়েছে। ‘শাহবাজপুর ইস্ট’ ও ‘ভোলা নর্থ’ নামে আরও দুটি কূপ রয়েছে। এ ছয়টি কূপে প্রায় ১.৩ টিসিএফ (ট্রিলিয়ন কিউবিট ফিট) গ্যাস মজুদ রয়েছে। এর মধ্যে শাহবাজপুর ইস্ট কুপে রয়েছে ৭০০ বিসিএফ (১ টিসিএফে ১০০০ বিসিএফ)। আর ভোলা নর্থ গ্যাস ক্ষেত্রে রয়েছে প্রায় ১ টিসিএফ ঘনফুট গ্যাস।
নতুন সন্ধান পাওয়া তিনটি কূপ হলো, ইলিশা-১, ভোলা নর্থ-২ এবং টবগি-১। এই ৩টি কূপের খনন শুরু হবে আগামী বছরের শুরুতে।
বাপেক্সের উপব্যবস্থাপক সৌমিত্র পাল চৌধুরী জানান, তাদের ভূতাত্ত্বিক জরিপে ইলিশা, দক্ষিণ চরপাতা এবং টবগী এলাকায় নতুন তিনটি কূপ পাওয়া গেছে।
তবে কূপগুলোতে কী পরিমাণ গ্যাস রয়েছে, তা প্রাথমিকভাবে বলা যাচ্ছে না। রাশিয়ান কোম্পানি ‘গ্যাজপ্রোম’ নতুন ৩টি কূপ খননের কাজ করবে।
বাপেক্স জানিয়েছে, বর্তমানে ভোলায় যে পরিমাণ গ্যাস মজুদ রয়েছে, তার মধ্য থেকে প্রতিদিন উত্তোলন হচ্ছে ৬৫ বিলিয়ন ঘনফুট।
বাপেক্সের এক কর্মকর্তা জানান, ভোলার গ্যাস আপাতত বাইরের জেলায় যাচ্ছে না। ভোলা-বরিশাল সেতু হলে তখন হয়তো সরবরাহ করা হতে পারে।
শাহবাজপুর ইস্ট এবং নর্থে মজুদ থাকলেও সেখান থেকে আপাতত কোনো গ্যাস উত্তোলন হচ্ছে না। তবে এসব কূপ থেকে গ্যাস উত্তোলনের প্রস্তুতি নেওয়া আছে। নতুন কোনো শিল্পপ্রতিষ্ঠান বা বিদ্যুৎকেন্দ্র না থাকায় গ্যাসের ব্যবহার হচ্ছে না।
১৯৯৩-৯৪ সালের দিকে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নে শাহবাজপুর গ্যাস ক্ষেত্র আবিষ্কার হয়। সেখানে ৪টি কূপ রয়েছে। বর্তমানে সেখানকার তিনটি কূপ থেকে গ্যাস তোলা হচ্ছে।