স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আগামী ডিসেম্বর মাসে ঢাকা আসছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। ভারতের রাষ্ট্রপতি হিসেবে এটি হবে তার প্রথম বাংলাদেশ সফর। গতকাল শনিবার দুই দেশের কূটনৈতিক সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের ঢাকা সফরটি ১৫ ডিসেম্বর শুরু হয়ে ব্যাপ্তি হতে পারে তিন দিন। সূত্র জানায়, সফরের বিষয়ে দুই দেশেই আলোচনা চলছে। এ বছর স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ, বাংলাদেশ-ভারত কূটনৈতিক সম্পর্ক, মিত্রবাহিনীর কাছে দখলদার পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের ৫০ বছর পূর্তি। আগামী ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে মুজিববর্ষ উদযাপন শেষ হচ্ছে। এই উদযাপন আরও তাৎপর্যপূর্ণ করতে এবং দুই দেশের মৈত্রী আরও জোরদারে রামনাথ কোবিন্দকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে বাংলাদেশ ও ভারত বিজয় উদযাপনের আগে আগামী ৬ ডিসেম্বর মৈত্রী দিবস পালন করবে। জানা গেছে, মৈত্রী দিবসে ভারতের অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানাকে অতিথি করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ইতিবাচক আলোচনা হচ্ছে। ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশকে একটি স্বাধীন-সার্বভৌম দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ভারত। গত মার্চ মাসে বাংলাদেশ সফরের সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৬ ডিসেম্বরকে স্মরণীয় করে রাখতে দিনটিকে মৈত্রী দিবস হিসেবে ঘোষণা করেন। উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী, বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গত ২৬ ও ২৭ মার্চ বাংলাদেশ সফর করেন।
সূত্র জানায়, ৬ ডিসেম্বর ভারতে এবং ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশে দুই দেশের মধ্যে উচ্চপর্যায়ের সফর নিয়ে প্রস্তুতি চলছে। এ সপ্তাহে এ নিয়ে দুই দেশের কূটনীতিকদের মধ্যে দিল্লিতে আলোচনা হয়েছে। জানা গেছে, ভারতের রাষ্ট্রপতি এরই মধ্যে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো ঢাকা সফরের বিষয়টি ঘোষণা করা হয়নি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছেন, বাংলাদেশ ও ভারত যৌথভাবে বিশ্বের ১৮টি দেশে, যেখানে ওই দুই দেশের মিশন আছে, সেখানে মৈত্রী দিবস উদযাপন করবে। যৌথ আয়োজনের মধ্য দিয়ে প্রতিবেশী এই দুই দেশের সম্পর্ক ও বন্ধন তুলে ধরবে। দুই দেশ নিজেদের এই দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে দৃষ্টান্ত হিসেবে উল্লেখ করে থাকে।