হত্যার ১৯ বছর পর এক সময়ের বহুল আলোচিত মডেল সৈয়দা তানিয়া মাহবুব তিন্নি (২৪) হত্যা মামলায় আজ সোমবার রায় ঘোষণা করবেন আদালত। ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ কেশব রায় চৌধুরী এই রায় ঘোষণা করবেন। মামলার একমাত্র আসামি জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক অভি বিদেশে পলাতক রয়েছেন। আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর ভোলানাথ দত্ত বলেন, পলাতক থাকায় আসামির পক্ষে রাষ্ট্র স্টেট ডিফেন্স আইনজীবী নিয়োগ দিয়েছিল। আমরা মনে করি, অভিযোগ প্রমাণ করতে পেরেছি। তাই প্রত্যাশা করছি আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি হবে।’
মামলা থেকে জানা যায়, ২০০২ সালের ১০ নভেম্বর খুন হন সৈয়দা তানিয়া মাহবুব তিন্নি (২৪)। বুড়িগঙ্গার চীন-মৈত্রী সেতুর নিচ থেকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। পরের দিন কেরানীগঞ্জ থানাপুলিশ অজ্ঞাত আসামির নামে মামলা করে। ২০০৮ সালের ৮ নভেম্বর সাবেক ছাত্রনেতা ও সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক অভির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, অভি এখন কানাডায় রয়েছেন। ১৯৯২ সালে রমনা থানায় দায়ের করা একটি অস্ত্র মামলায় ১৭ বছর সশ্রম কারাদ-ের রায়ের পর হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে তিনি দেশ থেকে পালিয়ে যান। তিন্নিকে হত্যার আগে অভি তার স্বামী পিয়ালের সঙ্গে দাম্পত্য সম্পর্কের অবসান ঘটায় এবং ফাঁদে ফেলে তার সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। কিন্তু সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত ‘দুর্র্ধর্ষ’ অভি তাকে কখনই স্ত্রীর মর্যাদা দেননি। বরং বিয়ের জন্য অভিকে চাপ দিলে পরিকল্পিতভাবে তিন্নিকে খুন করে লাশ চীন-মৈত্রী সেতুর নিচে ফেলে রাখা হয়।
মামলায় ২০১০ সালের ১৪ জুলাই অভির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে আদালত। এর পর পলাতক অভি এ বিষয়ে হাইকোর্টে একটি রিট করায় মামলার বিচার দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল। পরে হাইকোর্ট রিট খারিজ করে দিলে মামলার বিচার আবার শুরু হয়। আদালত এই মামলায় ১৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন।