বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) গত ৫ নভেম্বর জিরো আওয়ার হতে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম এক লাফে লিটার প্রতি ১৫ টাকা বৃদ্ধির ঘোষণা কার্যকর করার সাত ঘণ্টা আগে থেকেই পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সংগঠন ভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে অঘোষিত ধর্মঘট পালন শুরু করায় চাকরিপ্রত্যাশী লাখ লাখ বেকার যুবক, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ইচ্ছুক লাখ লাখ শিক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবকরা যে অমানবিক বিড়ম্বনার সম্মুখীন হয়েছিলেন তা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। দুঃখজনক হলেও সত্য, পরিবহন মালিক সমিতির নেতা হচ্ছেন জাপা দলীয় এমপি সাবেক মন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গা এবং পরিবহন শ্রমিক সংগঠনের আজীবন সভাপতি হচ্ছেন সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান খান এমপি। তার চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে একজন প্রতিমন্ত্রী থাকায় বিদ্যমান আইনানুযায়ী ওই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর হাতে। তার সম্মতি ব্যতিরেকে যে তেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়নি তা বিপিসির চেয়ারম্যানের বক্তব্য থেকেই প্রতীয়মান হয়। তাহলে বোঝা যাচ্ছে, তেলের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্তে সম্মতি জ্ঞাপন করেই তিনি বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে যোগদানের লক্ষ্যে যুক্তরাজ্য এবং ফ্রান্সে ১৫ দিনের সফরে গিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে এ ব্যাপারে দলের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর নীরবতা রহস্যজনক মনে হতে পারে। কারণ পরিবহন ভাড়া বৃদ্ধির সংস্থা বিআরটিএ তার মন্ত্রণালয়ের অধীনে হওয়ায় তিনি পারতেন তার সাবেক দুই সহকর্মীকে অনুরোধ জানিয়ে নভেম্বরের ৬ থেকে ৮ তারিখ পর্যন্ত গণপরিবহন সচল রাখতে। লিটারে ১৫ টাকা হারে তাদের অতিরিক্ত যে খরচ হয় সেই টাকা ভর্তুকি হিসেবে গাড়ির মালিকদের দেয়ার আশ্বাস দিলেই তারা পরিবহন সচল রাখতেন। প্রধানমন্ত্রীকে দেখা গেল, তারা দেশের জনগণের চেয়ে তার একমাত্র রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীর ভবিষ্যৎ নিয়ে বেশি উৎকণ্ঠিত।
‘জিরো আওয়ার’ ক্ষণটি বর্তমান ক্ষমতাসীন ১৪ দলের কাছে ব্যবসায়ীদের চাঁদ রাতের বেচাকেনার মতো মাহেন্দ্রক্ষণ। কারণ জেনারেল মঈন-মাসুদের চাপে পড়ে ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি জিরো আওয়ারে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহমেদ জরুরি অবস্থা জারি করে সব ক্ষমতা অলিখিতভাবে জেনারেল মঈনের হাতে সমর্পণ করেছিলেন, এ পরিপ্রেক্ষিতে জেনারেল মঈন ভারতের তৎকালীন অর্থমন্ত্রী পরে রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির পরামর্শ মোতাবেক ২০০৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের নামে তার ভাষায় লাইনচ্যুত গণতন্ত্রের ট্রেনে ১৪ দলের ২৬৫ জন যাত্রী তুলে দেয়ার পর শক্তিশালী ক্রেন দিয়ে ট্রেনটি সঠিক ট্র্যাকে তুলে দিতে সক্ষম হয়েছিলেন যার শুভ ফল ভোগ করছে ১৪ দল আর তিক্ত স্বাদ পাচ্ছে জনগণসহ সব রাজনৈতিক দল। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর জিরো আওয়ারে প্রশাসন, পুলিশ ও পোলিং অফিসারদের লজিস্টিক সাপোর্ট পেয়ে আওয়ামী লীগের দলীয় অ্যাক্টিভিস্টরা ৯৭.৩৩ শতাংশ আসনে কাস্টিং ভোটের ৯৭.৩৩ শতাংশ ভোট কেটে প্রধানমন্ত্রীর মনোনীত প্রার্থীদের বাক্সবন্দী করার মাধ্যমে ক্ষমতার মেয়াদ আবারো ১৮২৬ দিনের জন্য নবায়ন করতে সক্ষম হয়েছেন। যা হোক, তাই জনগণের প্রতি সরকারের দায়বদ্ধতা না থাকায় পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের ধর্মঘটের তাণ্ডব বিনা বাধায় ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত চলেছিল।
তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণ হিসেবে জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, ‘ভারতে তেলের দাম বাংলাদেশের চেয়ে বেশি হওয়ায় তাদের সাথে দামের সমন্বয় না করলে তেল পাচার হয়ে যাবে। তাই তেল পাচার রোধে সরকার বাধ্য হয়ে লিটার প্রতি ১৫ টাকা দাম বৃদ্ধি করেছে।’ ২০১৩ সালের ৩ জানুয়ারি জিরো আওয়ার থেকে তেলের মূল্যবৃদ্ধির সময় একই যুক্তি প্রদর্শন করা হয়েছিল। টাকা পাচারের মতো তেল পাচার অত সহজ নয়। কারণ তেল পাচার করতে তেলের ট্যাংকার অথবা পাইপলাইনের প্রয়োজন। সীমান্ত এলাকায় এ দুটোর কোনোটিই নেই। দাম বৃদ্ধি করে যদি তেল পাচার বন্ধ করা যায় তা হলে টাকার মূল্যবৃদ্ধি করে সহজেই টাকা পাচার বন্ধ করতে পারলে বছরে যে ৬০-৭০ হাজার কোটি টাকা পাচার হয় তা দেশে বিনিয়োগ করলে যেমন কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে তেমনি বিদেশী বিনিয়োগের জন্য লন্ডন ও দুবাইতে প্রদর্শনী করার প্রয়োজন পড়বে না। ভারতে সব সময় আমাদের চেয়ে তেলের দাম বেশি থাকা সত্ত্বেও ভারত থেকে বেশি দামে তেল আমদানির জন্য দীর্ঘ ১৩১ কিমি ইন্ডিয়া বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন নির্মাণের জন্য ২০২০ সালে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করে এর নির্মাণকাজ শুরু করা হয়েছে কেন?
তেলের মূল্য বৃদ্ধির কারণে আগামী জুন পর্যন্ত বিপিসির আয় মাত্র সাত হাজার ৫০০ কোটি টাকা বাড়লেও এর বিপরীতে ভোক্তাদের পকেট থেকে যাবে ৭৫ হাজার কোটি টাকা। চট্টগ্রাম থেকে একটি ট্রাক ঢাকা আসতে ১০০ লিটার তেলের প্রয়োজন পড়লে অতিরিক্ত খরচ হবে ১৫০০ টাকা। অথচ তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে মালিক ভাড়া বৃদ্ধি করবে ৫০০০ টাকা। চাল, ডাল, তেল, নুন, শাকসব্জি, কাপড়-চোপড়, ওষুধসহ সব নিত্যপ্রয়োজনীয় ও নিত্যব্যবহার্য দ্রব্যের পরিবহন খরচ বাবদ দাম বৃদ্ধির ফাঁদে পড়ে জনগণের মাথাপিছু ব্যয় বৃদ্ধি পাবে ৫০০০ টাকা। ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’ হিসেবে দেখা দিয়েছে ডলারের তুলনায় টাকার ক্রমাগত মূল্য পতন। ফলে আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় গত ৬ মাস যাবৎ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি চলছে। বিএনপি সরকারের সর্বশেষ বাজেটের আকার ছিল ৫০ হাজার কোটি টাকা।
ক্ষমতায় যাওয়া ও থাকার জন্য ভোটের প্রয়োজন পড়ে না কারণ ১৯৯৬ সালে সরকারি কর্মকর্তাদের বিদ্রোহ এবং ২০০৭ সালে সেনাপ্রধান জেনারেল মঈনের সহায়তায় এক-এগারো ঘটিয়ে জনগণকে ভুল বুঝিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার পর তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করে ক্ষমতায় থেকে নির্বাচন করায় প্রশাসন, পুলিশ ও পোলিং অফিসারদের সহায়তায় ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনের মাধ্যমে দেশ থেকে নির্বাচনকে নির্বাসনে পাঠিয়ে যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে তা জনগণ হয়ে পড়েছে মূল্যহীন। কাজেই সব কিছুর ওপর ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট আরোপ করে মাথাপিছু গড়ে ২০ হাজার টাকা ভ্যাট ও ট্যাক্স আদায় করে ৫০ হাজার কোটি টাকার বাজেটকে ছয় লাখ তিন হাজার কোটি টাকায় উন্নীত করে সরকার গর্বে হাসছে। সরকারি কর্মচারীদের খুশি রাখতে ২০০৯ সালে প্রবর্তিত সপ্তম জাতীয় বেতন স্কেলে ৭৫ শতাংশ বেতন ভাতা বৃদ্ধি করা হয়েছে আবার ২০১৫ সালে অষ্টম জাতীয় বেতন স্কেলে শতভাগ বেতন ভাতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। সরকারের ইচ্ছা পূরণের জন্য অপ্রয়োজনীয় ও উচ্চাভিলাষী উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ ও দুই-তিন গুণ বেশি ব্যয়ে তা বাস্তবায়নের জন্যই প্রতিবছর বাজেটের আকার বৃদ্ধি করায় এক কেজি কাঁচামরিচের ওপর ট্যাক্স ২০ টাকা, এক লিটার ভোজ্যতেলে ৫০ টাকা, এক লিটার জ্বালানি তেলে ৩০ টাকা ও এক কেজি চিনির ওপর ৩০ টাকা হারে ভ্যাট জনগণের কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে। হাসপাতালের বিলের ওপর ভ্যাট ১৫ শতাংশ জানা গেলেও জীবন রক্ষাকারী ওষুধের ওপর ভ্যাটের পরিমাণ সরকার ও আল্লাহ মাবুদ ভালো জানে। তারপরেও গত অর্থবছরে রাজস্ব আয় সংশোধিত লক্ষমাত্রার চেয়ে ৮৫ হাজার কোটি টাকা ও মূল লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এক লাখ কোটি টাকা বেশি হয়েছে। চলতি অর্থবছরেও অনুরূপ হবে। রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা তিন লাখ ৭৯ হাজার কোটি টাকা শতভাগ অর্জিত হলেও উন্নয়ন বাজেট বাস্তবায়নের জন্য দুই লাখ ১৪ হাজার কোটি টাকা ঋণ গ্রহণ করতে হবে। ফলে মাথাপিছু ঋণ করতে হবে ১২ হাজার টাকা করে এবং বাজেট অনুযায়ী মাথাপিছু সুদ পরিশোধ করতে হবে চার হাজার ৫০০ টাকা করে।
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে জনগণের যে নাভিশ্বাস উঠবে এটি সরকার ভালোভাবে অনুধাবন করতে পারলেও তাদের করণীয় কিছুই নেই। কারণ তিন লাখ ৭৯ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আয়ের ভিত্তিতে বাজেট পাস করা হয়েছে। গত বছর রাজস্ব আয় হয়েছিল দুই লাখ ৬৬ হাজার কোটি টাকা। সেই নিরিখে চলতি বছর তা তিন লাখ কোটি টাকার বেশি হয়তো হবে না যা থেকে সুদ খাতে ব্যয় ৬৯ হাজার কোটি টাকা বাদে সরকারের হাতে থাকে দুই লাখ ৩১ হাজার কোটি টাকা। অথচ বাজেটে সরকার পরিচালনা ব্যয় তিন লাখ ৯ হাজার কোটি টাকা অর্থাৎ সরকার পরিচালনা ব্যয় নির্বাহের জন্য উল্টো ৭৮ হাজার কোটি টাকা ঋণ করতে হবে। কাজেই তেলের দাম বৃদ্ধি না করে সাত হাজার ৫০০ কোটি টাকা ভর্তুকি দেয়ার জন্য যতই দাবি করা হোক না কেন তা দেয়ার মতো সক্ষমতা সরকারের নেই। এটি ‘ভোট ছাড়া’ একটানা ১৩ বছর ক্ষমতায় থাকা কুফল। অতীতের সরকারের ওপর দোষ চাপানোর সুযোগ নেই। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে যাদের পক্ষে নিজের সীমিত উপার্জনে সংসারের ব্যয় নির্বাহে সম্ভব হয় না তারা প্রথমে স্ত্রীর সঞ্চয়ের দিকে পরে তার গয়নার দিকে হাত বাড়ায় এবং জমিজিরাত না থাকলে সর্বশেষ বসতবাড়ির ২ শতাংশ প্রতিবেশীর কাছে বিক্রি করে হলেও জীবনযাত্রার বর্ধিত ব্যয় নির্বাহ করে। তেমনি সরকারও জাতীয় সংসদে আইন পাস করে বিপিসি, পিডিবি, জীবনবীমা করপোরেশনসহ সব সরকারি সংস্থার সঞ্চিত অর্থ আগেই নিয়ে খরচ করে রিক্ত হয়ে আছেন। করোনার ছোবলে এমনিতেই অর্থনীতি রোগে আক্রান্ত হয়েছে। তদুপরি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে অর্থনীতি আরো আক্রান্ত হওয়ায় সরকার পড়েছে উভয় সঙ্কটে। যেন, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে জন্ডিস বেড়ে যাচ্ছে আবার জন্ডিসের চিকিৎসা দিতে গেলে ডায়াবেটিস বেড়ে যাচ্ছে। সরকার যাবে কোন দিকে?
জনগণের ভোট ছাড়া নির্বাচনী গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য ১৪ দলের সাথে তাদের সমর্থক, বুদ্ধিজীবী, সুশীল সমাজ, বুদ্ধিজীবী আইনবিদ, সরকারি কর্মচারী ও জেনারেল মঈন-মাসুদও কম দায়ী নন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে তাদের সাথে তৎকালীন জনৈক সচিবের নেতৃত্বে সরকারি কর্মচারীরা ১৯৯৬ সালের ২২ মার্চ অফিস ছেড়ে মাঠে নেমে এসেছিলেন। তাতে তদানীন্তন সেনাপ্রধানের প্রচ্ছন্ন সমর্থন থাকায় বেগম খালেদা জিয়ার সরকার পদত্যাগে বাধ্য হলেও জনগণের ভোটে ২০০১ সালে তিনি ক্ষমতায় ফিরে আসলেও এবং সে সেনাপ্রধান চাকরিচ্যুত হলেও আওয়ামী লীগ তার জন্য কিছুই করতে পারেনি। অথচ পূর্বোক্ত সচিবকে মন্ত্রিত্ব দান করে পুরস্কৃত করেছিল। জনগণের ভোটে বেগম জিয়া যাতে আর ক্ষমতায় ফিরে না আসতে পারেন তার জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করার লক্ষ্যে ‘এক-এগারো’ ঘটানো হয়েছিল বলে অনেকের ধারণা।
২০০৭ সালে ‘তাদের’ স্লোগান ছিল রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন নিরপেক্ষ নন। তাই নির্বাচনকালীন সরকারের শতভাগ নিরপেক্ষতা প্রতিষ্ঠার কথা বলে এক-এগারো ঘটানো হয়। অথচ ২০১৩ সালে ‘তারা’ই বললেন মন্ত্রিসভা ও ১৪ দলের ২৬৫ জন এমপি সবাই নিরপেক্ষ, তাই এই সরকারের অধীনে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে যারা আসেনি তারা স্বাধীনতাবিরোধী। যাক, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বাতিলের কুফল ভোগ করতে হচ্ছে জনগণকে। জনগণের আকুল আবেদন, আপনারা আগামী নির্বাচন ১৯৯৬ সালের ১২ জুনের বা ২০০৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনকালীন সরকারের মতো দলনিরপেক্ষ সরকারের অধীনে হবে মর্মে ঘোষণা দিতে বলুন। তাহলে দেশব্যাপী ইউপি নির্বাচনের কারণে যে মারামারি হানাহানি শুরু হয়েছে তা স্তিমিত হয়ে পড়বে। কারণ একটি দলের নেতাকর্মীরা গত ১৩ বছর যাবত যে ক্ষমতার দাপট প্রদর্শন করে আসছে তার জন্য জনগণের মনোরঞ্জনের জন্য আত্মনিয়োগ করবে যাতে ১৫ বছরের উন্নয়ন ও দুই বছরের ভালো ব্যবহারের কারণে জনগণ সব কিছু ভুলে গিয়ে নির্বাচনে তাদেরকেই জয়ী করে।