বিশ্ববরেণ্য বাঙালী চলচ্চিত্রকার ঋত্বিক ঘটকের পৈত্রিক ভিটা রক্ষার দাবিতে
বাংলাদেশ কনসুলেট নিউইয়র্কে স্মারক লিপি দিয়েছে নিউইয়র্কে প্রগতিশীল সামাজিক সাংস্কৃতিক নেতৃবিন্দু। ২৭ ডিসেম্বর বিকাল ৪টায় কনসুলেট ভবনে কনসাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুন্নেসা স্মারক লিপি গ্রহন করেন।শিল্পী, সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিকর্মীদের স্বাক্ষরিত এই স্মারক লিপি হস্তান্তর করেন সুচিত্রা সেন মেমরিয়াল ইউএসএ’র আহব্বায়ক গোপাল সান্যাল, বাংলাদেশ আমেরিকা প্রেস ক্লাবের সেক্রেটারী জেনারেল শহিদুল ইসলাম, প্রগতিশীল নাগরিক আন্দোলনের নেতা কমিউনিটি এক্টিভিষ্ট মুজাহিদ আনসারী প্রমুখ।এ সময় তারা ঋত্বিক ঘটকের বাড়িটিকে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় বা প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর বা পর্য়টন মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিয়ে এসে, আইনী জটিলতা থেকে একে অবমুক্ত করে যাদুঘর হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহনের দাবি জানিয়ে প্রধান মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।স্মারকলিপিতে বলা হয়, চলচ্চিত্রকার ঋত্বিক কুমার ঘটক রাজশাহী মহানগরীর মিঞাপাড়ার বাড়িতে বড় হয়েছেন। এখানে কেটেছে তার শৈশব, কৈশোর ও তারুণ্যের একটি অংশ। এই বাড়িতে কিছু সময় বসবাস করেছেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক মহাশ্বেতা দেবীও। এই বাড়িতে থাকার সময়ই ঋত্বিক ঘটক রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুল ও রাজশাহী কলেজে পড়েছেন। তিনি রাজশাহী কলেজ এবং মিঞাপাড়ার সাধারণ গ্রন্থাগার মাঠে প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে সঙ্গে নিয়ে নাট্যচর্চা করেছেন। ঋত্বিক ঘটক রাজশাহীতে ‘অভিধারা’ পত্রিকা সম্পাদন করেছেন। বিলুপ্ত কল্পনা হলের ‘ভাবীকাল’ নামে একটি চলচ্চিত্রের ব্যানারও এঁকেছেন বলে জানা যায়। এরশাদ সরকারের আমলে ১৯৮৯ সালে নামমাত্র মূল্যে তার পৈতৃক বাড়িটি রাজশাহী হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজকে ইজারা দেওয়া হয়। তারাই এখন সম্পূর্ণ বাড়িটি ব্যবহার করছে। বাড়িটির এক অংশে ইতোমধ্যে বহুতল ভবন করছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। আরেক অংশে যেসব কক্ষে ঋত্বিক ঘটকের পরিবারের সদস্যরা থাকতেন, সেসব কক্ষও ব্যবহার করছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। তারই একটি অংশ ভেঙে অস্থায়ী সাইকেল গ্যারেজ নির্মাণের মতো ঘৃন্য কাজ করা হয়েছে।
তারা দ্রুত এমন কাজ বন্ধ করে ঋত্বিকের পৈতৃক ভিটা সংরক্ষণ করে হেরিটেজ হিসেবে ঘোষণার দাবি করেন।