লেবাননের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহর মহাসচিব হাসান নাসরুল্লাহ বলেছেন, বিশ্বের সব মুজাহিদের দায়িত্ব হলো জেনারেল সোলাইমানির রক্তের ন্যায়সঙ্গত বদলা নেয়া। তিনি এক বিবৃতিতে এ মন্তব্য করেছেন।
তিনি আরও বলেছেন, “জেনারেল কাসেম সোলাইমানির চূড়ান্ত লক্ষ্য ছিল শাহাদাৎ। তার এই মহান শাহাদাৎ এবং চূড়ান্ত সাফল্যে আমার ঈর্ষা হচ্ছে”।
তিনি আরও বলেন, “আমরা শহীদ সোলাইমানি’র পথে আমাদের যাত্রা অব্যাহত রাখব, আমরা তার এই যাত্রাকে পরিপূর্ণতা দেব ও তার লক্ষ্য বাস্তবায়ন করব এবং সব ফ্রন্টে তার পতাকা উড়াব”।
এদিকে, ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস এক বিবৃতিতে কাসেম সোলাইমানির শাহাদাতের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছে, জেনারেল কাসেম সোলাইমানি ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ সংগ্রামের প্রতি ব্যাপক সহযোগিতা করেছেন। প্রতিরোধ সংগ্রাম এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
তিনি ইসরাইলকে ধ্বংসের জন্য জিহাদকে প্রাধান্য দিয়েছিলেন। হামাস আরও বলেছে, ইহুদিবাদী ইসরাইলের সমর্থনে মধ্যপ্রাচ্যে সহিংসতা ও উত্তেজনা সৃষ্টির লক্ষ্যেই আমেরিকা এসব অপরাধযজ্ঞ চালাচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যের সব হত্যাকাণ্ডের জন্য আমেরিকা দায়ী বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
ফিলিস্তিনের ইসলামিক জিহাদ আন্দোলনও হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
ইয়েমেনের হুথি নেতা আব্দুল মালিক বদরউদ্দিন হুথি বলেছেন, আমেরিকা এই অপরাধের জন্য অনুশোচনা করতে বাধ্য হবে। এর ফলে প্রতিরোধ ফ্রন্টের মধ্যে ঐক্য ও সংহতি জোরদার হবে।
ইরাকের শীর্ষ আলেম আয়াতুল্লাহ সিস্তানি আইআরজিসি’র কুদস ফোর্সের প্রধান কাসেম সোলাইমানি ও ইরাকের হাশদ আশ শাবি’র উপ-প্রধান আবু মাহদি আল মুহানদিসকে হত্যার কোনো ব্যাখ্যা থাকতে পারে না।
ইরাকের স্বেচ্ছাসেবী বাহিনী হাশদ আশ শাবি সব সদস্যকে প্রতিশোধের জন্য প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছে। পার্সটুডে।