প্রত্যাশামতোই নতুন বছরের শুরুতেই হতে চলেছে ভারতের দিল্লি বিধানসভার নির্বাচন। সোমবার সংবাদ সম্মেলন করে দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করেন ভারতের প্রধান নির্বাচন কমিশনার সুনীল আরোরা। ৭০ আসনের দিল্লি বিধানসভা নির্বাচন হবে ৮ ফেব্রুয়ারি। ১১ ফেব্রুয়ারি ভোট গণনা এবং ফলাফল ঘোষণা হবে। ২২ ফেব্রুয়ারি মেয়াদ শেষ হচ্ছে বর্তমান দিল্লি বিধানসভার। আর এই নির্ঘন্ট ঘোষণার পরই জনমত জরিপ অনুযায়ী আবার দিল্লির মসনদে হেসেখেলে ফিরতে চলেছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। সেইসঙ্গে কার্যত ধুয়েমুছে যেতে পারে বিজেপি।
এবিপি নিউজের জনমত জরিপ অনুযায়ী, ৭০ আসনের দিল্লি বিধানসভায় ৫৯টি আসন পেতে পারেন অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি। বিজেপি পেতে পারে বড়জোর ৮টি আসন, আর কংগ্রেস পেতে পারে সর্বোচ্চ ৩টি আসন।
শুধু তাই নয়, গতবারের থেকে প্রাপ্ত ভোট বাড়তে চলেছে আপের। গতবার ৫৪ শতাংশ ভোট পেয়েছিল আপ। এবার তা বেড়ে হতে পারে ৫৫ শতাংশ। বিজেপির ভোট কমতে পারে অনেকটাই। গতবার ৩২ শতাংশ ভোট পেলেও এবার তা কমে আসতে পারে ২৬ শতাংশে। ভোট কমতে পারে কংগ্রেসেরও। গতবার ৯ শতাংশ ভোট পেলেও এবার তারা পেতে পারে ৫ শতাংশ।
বস্তুত মহারাষ্ট্র, ঝাড়খণ্ডে ধরাশায়ী হওয়ার পর দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনকেই পাখির চোখ করেছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, বিজেপির সভাপতি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহরা। দিনকয়েক আগেই দিল্লির জনসভা থেকে কেজরিওয়ালকে আক্রমণ করেছেন নরেন্দ্র মোদি। তার সরকার দিল্লির জনগনের জন্য কী কী করেছে, তাও বিস্তারিত বলেন। এমনকী দিল্লিতে সাম্প্রদায়িক সমস্যা হলে তার দায় কেজরিওয়ালকে নিতে হবে বলে আক্রমণ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কিন্তু এতকিছুর পরও যে দিল্লিতে বিজেপি আসছে না, তা একপ্রকার স্পষ্ট হয়ে গেল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একটা বড় অংশ।
নির্বাচন কমিশনারের সংবাদ সম্মেলন করার পরই টুইট করেন বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। বলেন, ‘এবারের নির্বাচন কাজের ভিত্তিতে হবে।’ পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেছে বিজেপিও। দলের তরফে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাওড়েকর জানান, ‘আমরা আশাবাদী, দিল্লির ভোটাররা ভারতীয় জনতা পার্টিকেই ভোট দেবেন।’
সূত্র : এই সময়