২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একচেটিয়া বিজয়ের পর টানা তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসীন হয় আওয়ামী লীগ। এর এক সপ্তাহ পর, গত বছরের ৭ জানুয়ারি সরকার গঠন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। সরকারের যাত্রার শুরুতেই চমক উপহার দেন টানা তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রীর আসনে আসীন শেখ হাসিনা। মন্ত্রিসভা গঠনে আগের দুবারের ধারাবাহিকতা থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি; হেভিওয়েট প্রায় ২৩ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ছিটকে পড়েন এ যাত্রায়। সেখানে স্থান হয় অপেক্ষাকৃত নতুনদের। এতে করে একটি বার্তা স্পষ্ট হয়ে যায় যে, এবার তার নেতৃত্বাধীন সরকারের পথচলায়ও থাকবে নতুনত্ব।
একাদশ নির্বাচনোত্তর ৪৮ সদস্যের মন্ত্রিসভা নিয়ে গঠিত সেই সরকারের পথচলার এক বছর পূর্ণ হলো আজ। সঙ্গত কারণেই প্রশ্ন এসে যায়, সরকার গঠনের সময় যে বার্তা উঠে এসেছিল, তা কতটুকু বাস্তবতা পেয়েছে? মন্ত্রিসভা গঠনের মতো সরকারের কাজেও নতুনত্ব এসেছে কি? সরকার কি সচেষ্ট ছিল ক্ষমতাসীন দলে দীর্ঘদিন ধরে চর্চিত অচলায়তনগুলো থেকে বেরিয়ে আসতে এবং দলীয় দৃষ্টিভঙ্গির ঊর্ধ্বে থাকতে?
সরকারের এক বছরে দৃশ্যমান হয়েছে মেট্রোরেল প্রকল্প; প্রমত্তা পদ্মার বুকে দৃশ্যমান হয়েছে নির্মিতব্য সেতুর তিন কিলোমিটারেরও বেশি অংশ। তবে এসবের চেয়েও বেশি প্রশংসিত হয়েছে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের অটল অবস্থান এবং দল-মত নির্বিশেষে দুর্নীতি রোধে প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স নীতি। বিশ্লেষকরা মনে করেন, আরও বেশকিছু ক্ষেত্রে সরকার সফলতার দিকেই হাঁটছে।
এর পাশাপাশি নিত্যপণ্যের মূল্যে ঊর্ধ্বগতির লাগাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা; ব্যাংক খাতে আর্থিক সংকট, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ক্রয় খাতে সংশ্লিষ্টদের ‘বালিশকাণ্ড’, দেশজুড়ে ডেঙ্গুর প্রকোপ ও তা যথার্থভাবে মোকাবিলায় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যর্থতা এবং সর্বশেষ বিজয় দিবস উদযাপনের প্রাক্কালে রাজাকারের তালিকা প্রকাশের পর এ নিয়ে তোলপাড়- ইত্যাদি বিষয় সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে।
বিশ্লেষকরা মনে করেন, এসব কাণ্ড সরকারের সফেদ সফলতায় কালো কালি মেখে দিলেও সব মিলিয়ে দেশ পরিচালনায় ইতিবাচক পথেই হাঁটছে সরকার; দেশের উন্নয়নে সজাগ ও সচেষ্ট। এরই ধারাবাহিকতায় ‘মন্ত্রিত্বের পারফরমেন্স মূল্যায়ন’ করে খুব শিগগিরই মন্ত্রিসভায় রদবদল আনতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী।
রাজনীতিবিষয়ক বিশ্লেষকরা বলছেন, সরকারের উন্নয়ন কর্মকা- ঢাকা পড়েছে দলীয় নেতাকর্মী ও কর্মকর্তাদের দুর্নীতির কারণে। বালিশকাণ্ডই শুধু নয়, ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পর্দা কেনায় বিস্ময়কর দুর্নীতির খবরও সরকারের অর্জনকে ম্লান করেছে। পুলিশের কর্মকর্তা কিংবা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কর্মকর্তাদের ঘুষ লেনদেনের ঘটনা যখন প্রকাশ হয়, তখন সরকারকে খুব বিব্রতই হতে হয়। যদিও এসব কাণ্ডেসরকার কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। পুলিশের ডিআইজি মিজানুর রহমান ও দুদকের পরিচালক এনামুল বাছিরের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে আইনি পদক্ষেপ চলমান।
এ ছাড়া ফেনীর আলোচিত নুসরাত হত্যার ঘটনায় দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিচার শেষ করে সরকার বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে। ঢাকায় ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান এবং যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীকে বহিষ্কারের ঘটনা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুর্নীতিবিরোধী অটল অবস্থান জানান দিয়েছে।
ক্যাসিনোকাণ্ডে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল হোসেন সম্রাট ও সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদকেও গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এসব ঘটনা ইতিবাচকভাবেই নিয়েছে দেশের মানুষ। তবে ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুরের ওপর বারবার হামলার ঘটনাকে সাধারণ মানুষ ভালোভাবে নেয়নি। নুরের ওপর হামলার ঘটনায় সরকারও বেশ বিব্রত।
দেশের তৈরি পোশাক, চামড়া ও প্লাস্টিকসহ বড় বড় খাতে রপ্তানি ও রপ্তানি আয় কমেছে গত এক বছরে। চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে রপ্তানি কমেছে ১২ দশমিক ৭৭ শতাংশ। অর্জিত আয় আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৫ দশমিক ৮৪ শতাংশ কম। তবে আলোচিত সময়ে পাট ও পাটজাত পণ্যের রপ্তানি বেড়েছে। গত রবিবার রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশের রপ্তানি আয়ের সিংহভাগই তৈরি পোশাক খাতের ওপর নির্ভরশীল। বিশ্ববাজারে পোশাকের চাহিদা কম। বছরের শুরু থেকেই রপ্তানি আদেশ কমেছে। সঙ্গে সঙ্গে পণ্যের মূল্যও কমেছে। এ ছাড়া অবকাঠামোগত সমস্যা, ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন না করা, ব্যাংকঋণের উচ্চ সুদহারসহ বিভিন্ন কারণে রপ্তানি কমে গেছে।
ইপিবির তথ্যানুযায়ী, ২০১৯-২০ অর্থবছরে (জুলাই-ডিসেম্বর) পণ্য রপ্তানি আয়ের লক্ষ্য ঠিক করা হয় ২ হাজার ২১২ কোটি ডলার। এর বিপরীতে রপ্তানি আয় হয়েছে ১ হাজার ৯৩০ কোটি ডলার।
সারা বছরের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজারের চিত্রই বলে দিচ্ছে দ্রব্যমূল্যের ওপর নিয়ন্ত্রণ নেই সরকারের। বিশেষ করে পেঁয়াজের কেজি ২৫০ টাকা ছাড়িয়ে যাওয়ার মতো ঘটনা। বাজারে পেঁয়াজের হাহাকার ও অতিরিক্ত দাম বৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষ সরকারের ওপর চরম বিরক্ত। নিয়ন্ত্রণহীন বাজারের জন্য বাণিজ্যমন্ত্রীকেই দুষছেন সাধারণ মানুষ। মন্ত্রীর ব্যাপক সমালোচনা হলেও তিনি দায় নেননি। বরং সরকারের তরফ থেকে সিন্ডিকেটকে দায়ী করা হয়েছে বারবার।
দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়া ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব সরকারকে বেশ বেকায়দায় ফেলে। ডেঙ্গুতে ১৫৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশের মানুষ ডেঙ্গু মোকাবিলায় কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হলেও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার বিভাগ কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছে বলে মনে করেন না সংশ্লিষ্টরা।
ঢাকার দুই মেয়র ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার কারণেই ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে মেয়র পদে এবার মনোনয়ন পাননি সাঈদ খোকন। বলতে গেলে ডেঙ্গু সরকারকে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি দাঁড় করায়।
বহুল প্রত্যাশিত পদ্মা সেতু প্রকল্পের ৭৩ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। এখন পর্যন্ত স্প্যান বসেছে ২০টি। আগামী ১২ জানুয়ারির মধ্যে ২১তম স্প্যান বসানোর কথা রয়েছে। বলতে গেলে সরকার পদ্মা সেতু নির্মাণে কোনো ধরনের গাফিলতি দেখাচ্ছে না। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের অগ্রগতি সাড়ে ১৮ শতাংশ।
এ ছাড়া মেট্রোরেল ৩৫ দশমিক ৩৪ শতাংশ, পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ প্রকল্পের ১৭ দশমিক ১৫ শতাংশ, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৪১ দশমিক ২১ শতাংশ, মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ প্রকল্পে ২৬ দশমিক ৭২ শতাংশ, পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দরের ৫৬ দশমিক ৬৪ শতাংশ এবং দোহাজারী-ঘুমধুম পর্যন্ত রেল সংযোগ প্রকল্পের অগ্রগতি হয়েছে ২৯ শতাংশ।
সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে নতুন সড়ক পরিবহন আইন কার্যকরের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের চাপের কাছে নতিস্বীকার করেনি সরকার। এ আইন বাস্তবায়ন হলে সড়ক দুর্ঘটনা কমবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
২০২১ সালের মধ্যে ঘরে ঘরে বিদ্যুতের যে প্রতিশ্রুতি সরকার দিয়েছে, সেটিও বাস্তবায়নের কাজ এগিয়ে চলছে। বিদ্যুৎ খাতে বর্তমান সরকারকে সফল বলতেই হবে।
কক্সবাজারের উখিয়ায় মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গাদের ভরণ-পোষণ সরকারকে বেশ চাপে ফেলেছে। এসব চাপ সামাল দেওয়াকে সরকারের সফলতা হিসেবেই দেখছেন কেউ কেউ। আবার অনেকে বলছেন, রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরাতে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে সরকার। সরকারের দুর্বল কূটনীতির কারণেই মূলত রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না।
বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে বাংলাদেশ চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। প্রতিবছরই বন্যা-জলোচ্ছ্বাসে লাখ লাখ মানুষের ক্ষতি হয়। তা ছাড়া ভারত থেকে আসা উজানের পানিও এ দেশের মানুষকে ডুবিয়ে মারে। সে ক্ষেত্রে বলা যায় প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করে সামনে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই সরকার।
সরকারের গত এক বছরের মূল্যায়ন করতে গিয়ে শিক্ষাবিদ ও গবেষক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আহসানউল্লাহ বলেন, সরকার দুর্নীতিবিরোধী যে অভিযান শুরু করেছে তা খুবই প্রশংসা কুড়িয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নিজের দলের লোকদের বিরুদ্ধে যেভাবে আইনি ব্যবস্থা নিয়েছেন তা দেশের ইতিহাসে খুবই বিরল। তিনি বলেন, সময়মতো ঝামেলাহীনভাবে শিশুদের হাতে পাঠ্যবই তুলে দিতে পারা সরকারের বড় সাফল্য। পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস বন্ধ করাও ছিল সরকারের বড় চ্যালেঞ্জ। সে চ্যালেঞ্জে সরকার সফলতা দেখিয়েছে বলেও মনে করেন প্রফেসর আহসানউল্লাহ।
সরকারের সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার আমাদের সময়কে বলেন, বর্তমান সরকার অর্থনৈতিক দিক দিয়ে বেশকিছু সফলতা দেখিয়েছে। যেমন-দেশে জিডিপি ও রেমিট্যান্স বেড়েছে। তবে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সরকারের দুর্বলতার দিকটিও উল্লেখ করেন আলী ইমাম মজুমদার। তিনি বলেন, বিদেশে রপ্তানি কমেছে। এ ছাড়া দিন দিন মানুষের মধ্যে আয়বৈষম্য বেড়েই চলেছে। এটি অর্থনীতির জন্য সুখকর নয়।
তিনি বলেন, সরকার পদ্মা সেতু ও মেট্রোরেলের মতো বড় বড় প্রকল্প নিয়ে বেশ সাফল্য দেখাচ্ছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে দেশের মানুষ ভবিষ্যতে ব্যাপক সুফল ভোগ করবে।
তবে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থায় কিছুটা হতাশা প্রকাশ করে সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, গণতন্ত্রের কথা ছিল সবাই মিলে একসঙ্গে পথচলা। কিন্তু সে পরিস্থিতি বাংলাদেশে অনুপস্থিত। বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে সরকারের দূরত্ব দিন দিন জোরালো হচ্ছে। এর জন্য সরকারই দায়ী বলে মনে করেন আলী ইমাম মজুমদার।
সরকারের গত এক বছরের সফলতা-ব্যর্থতা মূল্যায়ন করতে গিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামানও মেগা প্রকল্প; বিশেষ করে পদ্মা সেতু ও মেট্রোরেল নির্মাণযজ্ঞের জন্য সরকারের প্রশংসা করেছেন। তবে বছরের শেষদিকে এসে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজার সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাওয়াকে সরকারের দুর্বলতা হিসেবেই দেখেন তিনি।
ইফতেখারুজ্জামান বলেন, আর্থিক খাত বিশেষ করে ব্যাংকিং খাতে সুদের হার সিঙ্গল ডিজিটে আনার পদক্ষেপ অবশ্যই ইতিবাচক। সরকারি কর্মচারী-কর্মকর্তাদের বেতন-ভাতা বাড়লেও সাধারণ মানুষ প্রত্যাশিত সেবা না পাওয়ার বিষয়টিকে তিনি সুশাসনের অভাব হিসেবেই দেখছেন। এ ছাড়া সরকারি বড় বড় প্রকল্পে দুর্নীতির যেসব প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে সেগুলো উল্লেখ করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, রূপপুরের বালিশকা- কিংবা ফরিদপুর মেডিক্যালে পর্দা কেলেঙ্কারি সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে। অবশ্য এসব দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সরকার তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিয়েছে। এটা জনমনে সরকারের প্রতি আস্থা তৈরি করেছে।
তিনি আরও বলেন, বছরের শেষদিকে এসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে দুর্নীতিবিরোধী অভিযান শুরু করেছেন তা বেশ প্রশংসিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নিজের দলের লোকজনের বিরুদ্ধে যেভাবে ব্যবস্থা নিয়েছেন তা অবশ্যই ইতিবাচক পদক্ষেপ। তবে অভিযান স্তিমিত হয়ে যাওয়ায় জনমনে প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে যে, সত্যিকার অর্থে অভিযান কতদূর চলবে।
আজ জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত বর্তমান সরকারের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে প্রধানমন্ত্রীর এ ভাষণ রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেল, বিটিভি ও বাংলাদেশ বেতারে একযোগে সম্প্রচার করা হবে। গতকাল প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এ তথ্য জানান। তবে বেসরকারি কিছু টেলিভিশন চ্যানেল ও রেডিও স্টেশনও প্রধানমন্ত্রীর এ ভাষণ প্রচার করবে বলে জানা গেছে।