দেশের অন্যতম পাইকারি বাজার চাক্তাই-খাতুনগঞ্জে ফের ঊর্ধ্বমুখী পিঁয়াজের দাম। ভারত থেকে আমদানি অনুমতি (আইপি) বন্ধ এবং ডলারের বিনিময় হার বৃদ্ধির অজুহাতে এক দিনের ব্যবধানে কেজি প্রতি পিঁয়াজের দাম বেড়েছে ৮ টাকা। তবে সাধারণ ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, পিঁয়াজের পর্যাপ্ত মজুদ থাকার পরও সিন্ডিকেট কারসাজি অস্থির করে তুলেছে পিঁয়াজের বাজার।
তবে ব্যবসায়ীদের সংগঠন ‘খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন’র সাধারণ সম্পাদক ছৈয়দ ছগির আহমেদ বলেন, ‘বাজারে পিঁয়াজের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। তাই আইপি (আমদানি অনুমতি) বন্ধ রাখলেও তার প্রভাব খুব একটা পড়বে না।’
চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ আড়তদার সাধারণ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, ‘হঠাৎ করে ভারত থেকে পিঁয়াজ আমদানি বন্ধ এবং ডলারের বিনিময় গতি ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় প্রভাব পড়েছে বাজারে। এক দিনের ব্যবধানে পিঁয়াজের দাম বেড়েছে ৭ থেকে ৮ টাকা।’
জানা যায়, ভারত থেকে পিঁয়াজ আমদানির আইপি বন্ধের খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে অস্থির হয়ে ওঠে চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ। আমদানিকারকদের কাছে পিঁয়াজের পর্যাপ্ত মজুদ থাকলেও সিন্ডিকেট কারসাজির কারণে হু হু করে বাড়তে থাকে পাইকারি বাজারে পিঁয়াজের দাম। গত ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে পিঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ৮ টাকা। গতকাল চাক্তাই-খাতুনগঞ্জে ভারতীয় পিঁয়াজ বিক্রি হয়েছে কেজি ৩৮ টাকা এবং দেশি পিঁয়াজ ৪০ টাকা। অথচ এক দিন আগেও যা ছিল ৩০ এবং ৩২ টাকা কেজি।
তবে সাধারণ ব্যবসায়ীদের মতে, খাতুনগঞ্জে পিঁয়াজের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। এ মজুদ দিয়ে কোরবানি পর্যন্ত পিঁয়াজের কোনো সংকট তৈরি হবে না। অথচ কিছু সিন্ডিকেট আইপি বন্ধের খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কারসাজি শুরু করে। তাদের তৈরি কৃত্রিম সংকটের কারণে ঊর্ধ্বমুখী হয়ে পড়েছে বাজার। এ উর্ধ্বমুখী অব্যাহত থাকলে কয়েক দিনের মধ্যে পিঁয়াজের দাম দ্বিগুণ হবে।
ছগির আহমেদ বলেন, ‘দেশের কৃষকদের রক্ষা করার জন্য সরকার আইপি বন্ধ রেখেছে। কিন্তু এর সুফল পেতে হলে দেশি পিঁয়াজ উৎপাদনের অন্যতম এলাকা পাবনা, ফরিদপুর, রাজশাহী, বগুড়া, কুষ্টিয়া অঞ্চলে নজরদারি বৃদ্ধি করতে হবে। তা না হলে যে উদ্দেশে সরকার আইপি বন্ধ রেখেছে তা ব্যাহত হবে।’ প্রসঙ্গত, দেশীয় কৃষকদের স্বার্থ বিবেচনা করে ৬ মে থেকে পিঁয়াজের আইপি বন্ধ রাখে কৃষি মন্ত্রণালয়।