মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:৪৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
সিন্ডিকেট করে দাম বাড়ানোদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে চুরি করা ভারতীয় চিনি ছিনতাই করতে গিয়ে বিএনপির ২ নেতা আটক শহিদ আবু সাঈদকে ‘সন্ত্রাসী’ বলা ঊর্মির এবার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন, চেয়ারম্যান বিচারপতি গোলাম মর্তুজা সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক গ্রেপ্তার পাকিস্তানে শিয়া-সুন্নি সংঘাত, নারী-শিশুসহ নিহত ১৬ থানায় ধর্ষণের অভিযোগ করা নারী খুন, গ্রেপ্তার পুলিশ চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে সুপারিশের ব্যাখ্যা দিলেন আবদুল মুয়ীদ তারেক রহমানের সব মামলা প্রত্যাহার না হলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি পিরিয়ডের সময় যেসব খাবার খাবেন

২০১৯ সালে দুর্ঘটনায় নিহত ৮৫৪৩, আহত ১৪৩১৮

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ১১ জানুয়ারী, ২০২০
  • ২৪০ বার

বিদায়ী বছরে দেশে সড়ক, নৌ ও রেলপথের দুর্ঘনটায় মোট ৮ হাজার ৫৪৩ জন যাত্রী নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ১৪ হাজার ৩১৮ জন যাত্রী। ২০১৮ সালের তুলনায় ২০১৯ সালে সড়ক পথের দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা শতকরা ৮ ভাগ বেশি হয়েছে বলেও যাত্রী কল্যাণ সমিতির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

আজ শনিবার সকালে ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন মিলনায়ততে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি বিদায়ী বছরের সড়ক দুর্ঘনায় আহত ও নিহত ব্যক্তিদের ওপর একটি পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন তুলে ধরে। সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত আকারে প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৯ সালে শুধু সড়কেই প্রাণ ঝড়েছে ৭ হাজার ৮৫৫ জনের। আহত হয়েছে হয়েছে ১৩ হাজার ৩৩০ জন। রেলপথে নিহত হয়েছে ৪৬৯ জন, আহত হয়েছে ৭০৬ জন। একই সাথে নদীপথে দুর্ঘনটায় নিহত হয়েছে ২১৯ জন, আহত হয়েছে ২৮২ জন এবং নদীতে নিখোঁজ হয়েছে ৩৭৫ জন।
চলার পথে বিভিন্ন দুর্ঘনায় পতিত ব্যক্তিদের পরিচয় নিশ্চিত হয়ে যাত্রী কল্যাণ সমিতি তাদের পর্যবেক্ষণে বলেছে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ৯৮৯ জনই ছিলেন চালক। এছাড়া ৮৪৪ জন পরিবহণ শ্রমিক, ৮০৭ জন শিক্ষার্থী, ১১৫ জন শিক্ষক, ২১৬ জন আইনশৃংখলা রক্ষাকারি বাহিনীর সদস্য, ৮৯৪ জন নারী, ৫৪৩ জন শিশু, ৩৬ জন সাংবাদিক, ২৬ জন চিকিৎসক, ১৬ জন আইনজীবী এবং ১৫৩ জন অন্যান্য পেশার লোকজন ছিলেন।

সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, দুর্ঘনটার মূল কারণ বেপরোয়া গাড়ি চালানো। এছাড়াও অন্যান্য কারণের মধ্যে রয়েছে বিপদজনক ওভারটেকিং, রাস্তা ও গাড়ির ক্রুটি, অসর্তকতা, চালকের অদক্ষতা, চলন্ত অবস্থায় মোবাইল ফোনের ব্যবহার, রেলক্রসিং বা সংযোগ রাস্তায় অসর্কতা, ট্রাফিক আইনের দুর্বলতা এবং ছোট যানবাহন বৃদ্ধি।

সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কলামিষ্ট আবু সাঈদ খান, এফবিসিসিআই’র পরিচালক আব্দুল হক প্রমূখ।

সাংবাদিক সম্মেলনে সড়ক দুর্ঘটার কারণ অনুসন্ধান ও তার প্রেক্ষিতে বেশ কিছু সুপারিশও তুলে ধরা হয়।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সমিতির মহাসচিব বলেন, রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন সড়কে প্রতিনিয়ত যেসব দুর্ঘটনা ঘটছে সেগুলো ৮০ ভাগেরই কোনো মামলা হয় না। আবার যে ২০ শতাংশ ঘটনার মামলা হয় সেগুলোর মধ্যেও শতকরা ৯৯ ভাগ মামলার আসামির জামিন হয়ে যায়। বাকি এক শতাংশের মামলার আসামির কোনো সাজাই হয় না।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com