আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি আন্দোলনেও যেমন খোড়া, তেমনি নির্বাচনেও খোড়া। এ কারণে তারা নির্বাচনের আগেই সুষ্ঠু হবে না বলে অভিযোগ করছে। ভোট হওয়ার পূর্বেই তাদের কণ্ঠে পরাজয়ের সুর। এর কারণ বিএনপি সব সময় ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করে। তাই তারা এই প্রবল শীতের মধ্যেও দেশের সবচেয়ে শীতকাতর এলাকা এই উত্তরাঞ্চলে শীতার্ত মানুষের পাশে ঠাকুরগাঁ-পঞ্চগড়ের মির্জা ফখরুল এখানে নেই। বরং ঢাকায় বসে টেলিভিশনে শুধু নালিশ আর নালিশ করে যাচ্ছেন।
আজ শনিবার দুপুরে নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের শহীদ ক্যাপ্টেন সামসুল মৃধা সড়কের ফাইভ স্টার মাঠে সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামীলীগ আয়োজিত কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সি, ত্রাণ ও দূর্যোগ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাসিম, খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, নীলফামারী জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য রাবেয়া আলিম, আবু সাইদ আল মামুন, সাবেক এমপি ডালিয়া, ডা. রোকেয়া সুলতানা, নীলফামারী জেলা সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. মমতাজুল হক, উপজেলা সভাপতি আখতার হোসেন বাদল, সাধারণ সম্পাদক মহসিনুল হক মহসিন, পৌর আওয়ামীলীগে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রফিকুল ইসলাম বাবু প্রমুখ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ক্ষমতার রাজনীতি করেন না। বরং আমরা জনগণের রাজনীতি করি। শেখ হাসিনা আওয়ামীলীগের মন্ত্রী এমপিদের পকেটের উন্নতির জন্য রাজনীতি করেন না। তিনি রাজনীতি করেন দেশের মানুষের জীবন মানের উন্নয়নের জন্য। পক্ষান্তরে বিএনপি নামক একটি দল ক্ষমতার রাজনীতি করে। তাই তারা এই শীতকালে জনগণের পাশে নেই। তারা ঢাকা শহরে বসে শুধু মিডিয়ায় ইভিএমের বিরুদ্ধে বিষোদগার করছেন। নির্বাচনের আগেই বিএনপি ভোটের নিরপেক্ষতা নিয়ে, সুষ্ঠুতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন।
নির্বাচন হওয়ার আগেই সুষ্ঠু বা নিরপেক্ষ হবে কি হবে না সে বিষয়ে মির্জা ফখরুল কীভাবে সেটা জানেন-এমন প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমি আশ্বস্ত করছি শেখ হাসিনার আমলে সব নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। ঢাকা সিটি কর্পোরেশেন নির্বাচনও সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শীতে যেন একটি মানুষও কষ্ট না পায়। একজনও যেন শীতের কারণে মারা না যায়। এ কারণে এ পর্যন্ত ৪০ লাখ শীতবস্ত্র ও কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামীলীগের নেতা-মন্ত্রী-এমপিদের। তাই আমরা দেশের প্রতিটি এলাকায় শক্তিশালী টিম নিয়ে শীতবস্ত্র বিতরণ করে চলেছি। উত্তরাঞ্চলের রংপুর সিটি সহ ৯টি জেলায় ৫০ হাজার কম্বল বিতরণ করা হবে। এগুলো ইতোমধ্যে ডিসি অফিসে পৌঁছেছে। যা আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা সুষ্ঠুভাবে বিতরণ করবেন।
বিগত দিনেও সৈয়দপুরসহ উত্তরবঙ্গের শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। প্রয়োজনে আরো কম্বল বা শীতবস্ত্র দেয়া হবে। আওয়ামীলীগ সবসময় মানুষের পাশে ছিল, আগামীতেও থাকবে বলে আমি আজ আপনাদের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি। আশ্বস্ত করছি। অথচ তারা কি দুর্যোগ আক্রান্ত মানুষের পাশে আছে? নেই। তারা থাকবে না, তারা কখনো ছিলনা। সে কারণে তারা শীতার্ত মানুষের কাছে না গিয়ে নির্বাচন নিয়ে অহেতুক মিথ্যাচার করছে।