চলনবিলে অভিনব কায়দায় দেশী-বিদেশী বিভিন্ন প্রজাতির পাখি ধরছেন শিকারিরা। বিলের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিন শত শাত পাখি শিকার করছেন বলে অভিযোগ করছেন স্থানীয়রা। সোমবার সকালে কৃষ্ণপুর আত্রাই নদীর বাঁধে খেজুর গাছের রসের হাড়িতে বিষ দিয়ে বুলবুলিসহ শতাধিক দেশীয় পাখি শিকার করেন তারা। পরে স্থানীয় পরিবেশ কর্মীরা পাখিগুলো উদ্ধার করেন।
এসময় চলনবিল জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো: সাইফুল ইসলাম, কলম প্রকৃতি ও পরিবেশ রক্ষা কমিটির সভাপতি প্রভাষক হারুন অর রশিদ, সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক আব্দুল্লাহ আল মামুন, পরিবেশ কর্মী মনির হোসেন, মিজানুর রহমান প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
চলনবিলের কলম ডিগ্রি কলেজের ভূগোল ও পরিবেশ বিদ্যা বিভাগের প্রভাষক হারুন-অর রশিদ জানান, বর্ষার শেষ ভাগে বিলে পানি কমতে শুরু করার মাছ খাওয়ার লোভে অতিথিসহ দেশীয় প্রজাতির পাখিরা বিলে ভিড় জমায়। আবার শীতে খেজুর গাছের রসের হাড়িতে পাখিদের আনাগোনা দেখা যায়। আর এই সুযোগেই কিছু লোভী শিকারীরা দানাদার বিষ, কারেন্ট জালসহ বিভিন্ন ফাঁদ পেতে পাখি শিকার করে।
চলনবিল জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো: সাইফুল ইসলাম বলেন, পাখি শিকার বন্ধে আইন থাকলেও চলনবিল এলাকায় সরকারি তেমন কোন পদক্ষেপ ও তৎপরতা দেখা যায় না। তবে বিলের পাখি শিকার বন্ধে সকলের সমন্বিত পরিকল্পনা ও প্রতিটি আইন শৃংখলা সভায় বিষয়টি উপস্থাপন দরকার।
সিংড়া উপজেলা বন কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, চলনবিল একটি বৃহৎ এলাকা হওয়ায় পাখি শিকার বন্ধ করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে এ বিষয়ে চলনবিলের বিভিন্ন এলাকায় সচেতনতা সভা করছে বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট ও রাজশাহী বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ।