মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ইসকন ইস্যুতে দেশি-বিদেশি ইন্ধন থাকতে পারে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যা, যে নির্দেশ দিলেন প্রধান উপদেষ্টা স্বৈরাচার পালিয়ে গেলেও তাদের লেজ রেখে গেছে : তারেক রহমান আইনজীবীকে ‘কুপিয়ে হত্যা করল’ ইসকন সদস্যরা অনির্দিষ্টকালের জন্য সেন্ট গ্রেগরি হাইস্কুল বন্ধ ঘোষণা অহিংস গণঅভ্যুত্থানের আহ্বায়কসহ ১৮ জনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ ঢাকা ও চট্টগ্রামে ১০ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন রাষ্ট্রদ্রোহের ঘটনায় যুক্ত থাকলে ছাড় দেয়া হবে না : আসিফ মাহমুদ চিন্ময়কে গ্রেফতারের নিন্দা জানিয়ে ভারতের বিবৃতি মানুষ কেন তাদের ওপর বিক্ষুব্ধ, গণমাধ্যমের তা স্পষ্ট করা উচিত : নাহিদ ইসলাম

মৃত ঘোষণার পর মা কোলে নিতেই নড়ে উঠল সদ্য ভূমিষ্ঠ শিশুটি

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী, ২০২০
  • ২৬২ বার

প্রসূতি জিনিয়া খাতুনের কোলজুড়ে জন্ম নেয় এক কন্যাশিশু। কিন্তু শিশুটি জন্ম নিলেও বাবা-মায়ের মুখে হতাশার ছাপ। কারণ, সদ্য জন্ম নেয়া শিশুটিকে মৃত বলে ঘোষণা করেছে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ। সোমবার ভোরে চুয়াডাঙ্গা শহরের হাসপাতাল সড়কের উপশম নার্সিং হোমে নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে জন্ম নেয় শিশুটি। শিশুটিকে যখন মৃত ভেবে প্যাকেটে ভরার প্রস্তুতি চলছিল, ঠিক তখনই শিশুটি নড়ে উঠে তার প্রাণের জানান দেয়। এরপর তড়িঘড়ি করে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ শিশুটিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। সোমবার সন্ধ্যার পর জানাজানি হলে বিষয়টি ‘টক অব দ্য টাউনে’ পরিণত হয়।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার হাজরাহাটির আবদুল হালিম ও জিনিয়া খাতুনের বিয়ে হয় কয়েক বছর আগে। এরই মধ্যে জিনিয়ার গর্ভে সন্তান আসে। তাকে নিয়মিত চেকআপ করতেন ডা. জিন্নাতুল আরা। গত রোববার বিকেলে জিনিয়ার প্রসববেদনা শুরু হলে তাকে নেয়া হয় ডা. জিন্নাতুল আরার মালিকানাধীন জেলা শহরের উপশম নার্সিং হোমে। সেখানেই ডা. জিন্নাতুল আরার তত্ত্বাবধায়নে চিকিৎসাধীন ছিলেন প্রসূতি জিনিয়া। এরপর সোমবার ভোর চারটার দিকে সময়ের আগেই একটি কন্যাসন্তান প্রসব করেন জিনিয়া খাতুন।

প্রসূতি জিনিয়া খাতুন জানান, রোববার বিকেলে প্রসববেদনা উঠলে পরিবারের সদস্যরা তাকে উপশম নার্সিং হোমে ভর্তি করেন। ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে সিজার করার কথা জানানো হলেও সোমবার ভোরে নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে তার কন্যাসন্তান ভূমিষ্ঠ হয়। ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর ক্লিনিকের আয়া ও চিকিৎসকেরা তার মৃত কন্যাশিশু হয়েছে বলে জানান।

প্রসূতি জিনিয়ার মা কুলসুম বেগম জানান, ‘মৃত কন্যাসন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার খবরে আমরা যখন দাফন-কাফনের জন্য প্রস্তুতি নিতে থাকি, তখনই আমার মেয়ে তার কন্যাকে শেষবারের মতো দেখতে চায়। এরপর শিশুটিকে তার মা কোলে নিতেই নড়ে ওঠে সে। এ সময় আমরা আনন্দে চিৎকার শুরু করলে ডা. জিন্নাতুল আরা সঙ্গে সঙ্গে শিশুকে অক্সিজেন দিয়ে চিকিৎসা শুরু করেন। শিশুটির অবস্থা উন্নতি হলে শিশুটিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করতে বলেন তিনি। পরে তাঁর পরামর্শে আমরা শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করি। বর্তমানে সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।’

শিশুটির নানা সজীত মণ্ডল জানান, হঠাৎ করে শিশুটি নড়ে ওঠায় প্রথমে আমরাই বিশ্বাস করতে পারিনি। ডাক্তারদের কাছেও বিষয়টি অবিশ্বাস্য লাগে। প্রথমে চিকিৎসকেরা কোনোভাবেই মানতে চাচ্ছিলেন না যে শিশুটি বেঁচে আছে। সদ্য ভূমিষ্ঠ হওয়া আমার নাতনি যদি আমার মেয়ের কোলে নড়ে না উঠত, তাহলে হয়তো পলিথিনের ব্যাগের মধ্যেই সে মারা যেত।’

এ ব্যাপারে চিকিৎসক ডা. জিন্নাতুল আরা বলেন, ‘শিশুটি যখন হয়, তখন একেবারেই তার কোনো শ্বাস-প্রশ্বাস ছিল না। শুধু নাভির কাছে কেবল ‘ঢিবঢিব’ শব্দ শোনা যাচ্ছিল। চার ঘণ্টা অক্সিজেন দেয়ার পর সে কিছুটা সুস্থ হলে আমরা তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করার জন্য পাঠিয়ে দিই।’

এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. আসাদুর রহমান মালিক খোকন বলেন, ‘সময় হওয়ার আগেই শিশুটি জন্ম নিয়েছে। তাকে এখন ইনকিউবেটরের মধ্যে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। আমরা চেষ্টা করছি, শিশুটিকে দ্রুত সুস্থ করে তুলতে। আপাতত সে অনেকটা সুস্থ, তবে এখনো ঝুঁকিমুক্ত নয়।’

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com