বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা ও অলিম্পিকের মতো এখন থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা (আইসিসি) নিলামের মাধ্যমে বিশ্বকাপসহ আইসিসির সব টুর্নামেন্টের আয়োজক দেশ ঠিক করবে। বাংলাদেশও বিশ্বকাপসহ অন্যান্য টুর্নামেন্ট আয়োজনের জন্য নিলামে অংশগ্রহণ করবে।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন এ তথ্য জানিয়েছেন। আইসিসির প্রধান নির্বাহী মানু সোহনী এবং কমার্শিয়াল জেনারেল ম্যানেজার ক্যাম্পবেল জেমিসনসহ আজ সোমবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সংগে বৈঠক করেন বিসিবি সভাপতি। মূলত এই বিষয়ে আলোচনা করতেই আইসিসির উচ্চপর্যায়ের দুই সদস্য ঢাকায় আসেন।
নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘বিশ্বকাপ, সব আইসিসি ইভেন্ট, চ্যাম্পিয়নস ট্রফি, বিশ্বকাপ যা আছে বাংলাদেশ অবশ্যই বিট করবে। আমাদের সুবিধা হচ্ছে একটা, যে অন্য কেউ যদি নতুন করে চায় তারা পারবে কিন্তু তাদের অবশ্যই কাঠামোগত অনেক কাজ করতে হবে, প্রচুর টাকা লাগবে।’
বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য বাংলাদেশ এগিয়ে আছে জানিয়ে পাপন আরও বলেন, ‘ছেলেদের একটি বিশ্বকাপ আয়োজন করতে গেলে অন্তত আটটা স্টেডিয়াম লাগবে। অনেক দেশ আছে যাদের ৮টা ক্রিকেট স্টেডিয়াম নাই। আমরা বা অন্য আরও টেস্ট প্লেয়িং দেশ যারা আছি তাদের সুবিধা হলো আয়োজন করতে গেলে সরকারের তরফ থেকে আলাদা কোনো বিনিয়োগ লাগছে না। সেজন্য একটু এগিয়ে আছি আরকি।’
‘২০২৩ বিশ্বকাপের পর থেকে মূলত এই নিলাম পদ্ধতিতেই আয়োজক দেশ ঠিক করা হবে। মূলত এর আগে আইসিসির ইভেন্টগুলো যেভাবে বন্টন হতো তার সঙ্গে এবারের অনেক পার্থক্য। ওরা নতুন একটা প্রস্তাব নিয়ে এসেছে যে ২০২৩ থেকে ২০৩১ সাল পর্যন্ত যে ইভেন্টগুলো হবে ছেলেদের, মেয়েদের ও অনূর্ধ্ব ১৯ এর মিলিয়ে মোট ২৪টা ইভেন্ট বন্টন করা হবে কোন পদ্ধতিতে। আগে যেটা হতো কখনো ঘুরে ঘুরে, কখনো মেম্বারদের দ্বারা হতো, টেস্ট প্লেয়িং দেশ এসব ব্যাপার ছিল বোর্ডের সঙ্গে কথা বার্তা হতো। এবার যেটা হচ্ছে বিডিং, ফিফায় কিংবা অলিম্পিকে যেটা করে সাধারণত বিড করে। তারা এবার সে সিস্টেমে যেতে চাচ্ছে, এখানে কেবল দুটি দেশ নয় এটা ওপেন’, এভাবেই বলছিলেন পাপন।’
এর আগে ২০১১ ক্রিকেট বিশ্বকাপ বাংলাদেশ ভারত ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে সহআয়োজক দেশ ছিল। ওই বার জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠান মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হয়েছিল। আগামী ২০২৩ বিশ্বকাপ ভারতে অনুষ্ঠিত হবে।