বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) চেয়ারম্যান এ বি এম আজাদ বলেছেন, ডিজেলের দাম নিয়ন্ত্রণে সব ধরনের আগাম কর মওকুফ করা হয়েছে। পাশাপাশি আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এখনো ডিজেলের দাম প্রতি ব্যারেলে ১৩২ ডলার পড়ছে, যেটা আমাদের কস্টিংয়ের চেয়ে লিটারে সাড়ে ৯ থেকে ১০ টাকা বেশি।
মন্ত্রণালয়ে আলোচনার পর জ্বালানি তেলের দাম কমানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
আজ সোমবার বিপিসি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে বিপিসি চেয়ারম্যান এসব কথা জানান।
এর আগে দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বিপিসি কার্যালয়ে পেট্রোল পাম্প মালিক অ্যাসোসিয়েশনের সাথে বৈঠক করেন বিপিসি চেয়ারম্যান। তার আশ্বাসে পেট্রোল পাম্প মালিকদের ৩১ আগস্টের কর্মবিরতি স্থগিত করা হয়েছে।
এ বি এম আজাদ বলেন, তেলের দাম কমানোর বিষয়ে যদি আপনাদের লেটেস্ট তথ্য দেই, এভারেজে আগস্ট মাসে গত ২৮ দিনের যে রেট, যেটা রিফাইন ওয়েলে, সেটা এখনো ১৩২ ডলার প্রতি ব্যারেলে পড়ছে। যেটা আমার কস্টিংয়ের চেয়ে সাড়ে ৯ থেকে ১০ টাকা বেশি প্রতি লিটারে। আমি ডিজেলের কথা বলছি।
শুধু ল্যাবে পরীক্ষার জন্য রাশিয়া থেকে খুবই অল্প পরিমাণে তেল আনা হয়েছে। এর সাথে আমদানির কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানান বিপিসি চেয়ারম্যান।
এনবিআরের নতুন প্রজ্ঞাপনে ভ্যাট ট্যাক্স কমানোয় তেলের দামে কোনো প্রভাব পড়বে কি না- এই প্রশ্নের জবাবে এ বি এম আজাদ বলেন, এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। মন্ত্রণালয়ে আলোচনার পর জ্বালানি তেলের দাম কমানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
রোববার (২৮ আগস্ট) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা রহমাতুল মুনিমের স্বাক্ষর করা এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, ডিজেল আমদানিতে এখন থেকে ব্যবসায়ীদের আমদানি শুল্ক পাঁচ শতাংশ, আগাম আয়কর তিন শতাংশ এবং ১৫ শতাংশ ভ্যাট দিতে হবে। আজ (রোববার) থেকে কার্যকর হওয়া এই আদেশ আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বহাল থাকবে।