শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২৭ পূর্বাহ্ন

ঢাকার ২ সিটি নির্বাচন স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে রিট

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী, ২০২০
  • ৩০৪ বার

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচন স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ শেষ না হওয়া, তফসিল সংশোধন করা অবৈধসহ বিভিন্ন যুক্তি তুলে ধরে বুধবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট দায়ের করেন আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ।

বৃহস্পতিবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের বেঞ্চে রিট আবেদনটির ওপর শুনানি হতে পারে বলে জানিয়েছেন রিটকারী এই আইনজীবী।

রিটে আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের রিটার্নিং কর্মকর্তাকে বিবাদী করা হয়েছে।

রিট আবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকা সিটি নির্বাচনের জন্য প্রথমে ৩০ জানুয়ারি তারিখ নির্ধারণ করে তফসিল ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তী সময়ে সে তফসিল সংশোধন করে ১ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের দিন ধার্য করা হয়। কিন্তু বিধি অনুসারে নির্বাচন পেছানো নিয়ে তফসিল সংশোধনের সুযোগ নেই, পুনরায় তফসিল দিতে হয়।

রিটকারী আইনজীবী বলেন, ‘প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখের পরে যেমন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করা যায় না, তেমনি নির্বাচনের তারিখও পেছানো যায় না। বিধিমতে নতুন করে তফসিল ঘোষণা করতে হবে। নির্বাচন কমিশন ১০(১) বিধি অনুযায়ী তফসিল ঘোষণা করেছে, আবার একই বিধি ১০(১) অনুযায়ী তফসিল সংশোধন করেছে, যা বৈধ নয়। নির্বাচনের তারিখ সংশোধনের কোনো বিধান আইনে নেই। এ অবস্থায় ২০১৯ সালের ২২ ডিসেম্বরের তফসিল এবং গত ১৮ জানুয়ারির সংশোধিত তফসিল অবৈধ হবে।’

তিনি জানান, ২০১০ সালের সিটি করপোরেশন নির্বাচন বিধিমালায় স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থীর ক্ষেত্রে ৩০০ ভোটারের স্বাক্ষরের বিধান রয়েছে। কিন্তু দলীয় প্রার্থীর ক্ষেত্রে এ বিধান না থাকাটা বৈষম্যমূলক এবং এটি সংবিধানের ৭, ১৯, ২৬, ২৭, ২৮ ও ৩১ অনুচ্ছেদের সাথে সাংঘর্ষিক।

তিনি আরও জানান, ২০১০ সালের সিটি করপোরেশন নির্বাচন বিধিমালার ২৭ বিধি অনুসারে নির্বাচনের আগে দুই সিটি করপোরেশনের ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হয়নি। বিধি ১১(১) অনুযায়ী, প্রতিবছর ২ থেকে ৩১ জানুয়ারি ভোটার তালিকা হালনাগাদের নিয়ম রয়েছে। কিন্তু খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ হয় গত ২০ জানুয়ারি। ভোটার তালিকা হালনাগাদের জন্য ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় থাকলেও নতুন ভোটাররা তালিকায় অন্তর্ভুক্তি থেকে বঞ্চিত হবেন।

এছাড়া বিধি মোতাবেক সিটি করপোরেশনের মেয়রের মেয়াদ হবে প্রথম সভা থেকে ৫ বছর। বর্তমান মেয়রদের প্রথম সভা ২০১৫ সালের ১৭ মে হয়। সে হিসাবে তাদের মেয়াদ চলতি বছরের ১৭ মে পর্যন্ত হওয়ার কথা। অথচ প্রায় ৬ মাস আগে নির্বাচনের তফসিল দেয়া হয়েছে। এসব যুক্তি তুলে ধরে রিটটি করা হয়েছে, যোগ করেন ইউনুছ আলী আকন্দ। সূত্র : ইউএনবি

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com